পাতা:প্রবাসী (ঊনত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

وام۹b প্রবালী—অগ্রহায়ণ, ১৩৩৬ [ २०* ७ीर्ण, २ग्न ५७ গষ্ঠীর এবং সমৃদ্ধিশালী একটি গ্রাম, এই মায়াপটু পৰ্ব্বত ব্যাপিয়া রহিয়াছে । সৰ্ব্বত্র আপেল নাসপাতি, আখরোট খোৰানীর গাছ। প্রথম স্তরে ফুল ও ফল, দ্বিতীয় স্তরে শাকসবজী, তৃতীয় স্তরে ক্ষেত্র। আর সকল স্তরের সম্বন্ধ স্বত্রে পরিষ্কার স্বসমতল সযত্ননিৰ্ম্মিত এবং স্বরক্ষিত রাস্তাগুলি। মায়াবতী ভারতের গৌরব। ভোজনের সময় যখন জিজ্ঞাসা করা হইল, “আপনার কোথায় ভোজন করিবেন - তপন এখানেও ভোজনব্যাপারে সঙ্গী-মহাশয় নিজ জাতিগত পবিত্রত রক্ষা করিলেন। সাধারণ ভোজনগুহে যেখানে পরিপাটি সমবেত-ভোজনের ব্যবস্থা আছে সেখানে ভোজন না করিয়া বলিলেন, তিনি কাহারও সহিত খাইবেন না, নিজ গৃহেই ভোজন করিবেন। পরে আমার দিকে দেখাইয়া ঈষৎ শ্লেষের সঙ্গে বলিলেন, "তবে এই বাৰু যদি ইচ্ছা করেন ত আপনাদের সঙ্গে খাইতে পারেন। ওঁর ত আপনাদের সঙ্গে চলে।” তাহার এইরূপ ব্যবহারে আমার অন্তর তিক্ত হইয়া উঠিল। কাঠগুদাম হইতে আরম্ভ করিয়া ভোটিয়া আশ্রয়দাতা মহাজনের আশ্রয়ে পৰ্য্যস্ত এতদিন কাটানো হইয়াছে ইহার মধ্যে র্তাহার আচারনিষ্ঠার গভীরতা যে কতটা আমার ত দেখিতে কিছুই বাকী ছিল না। কিন্তু নিজের দেশের এই পবিত্র সঙ্ঘের মধ্যে আসিয়া তাহার এই প্রকার ব্যবহার এত বিসদৃশ লাগিল, আমার আর র্তাহার সহিত বাক্যালাপের इंक्र इहेन ना । थांभांब्र निकाँ नकरणब्र नप्त्र ७कजভোজনের আনন্দই শ্রেয় বোধ হইল। আমি তাহাই করিলাম । মধ্যাহ-বিশ্রামের পর আমরা আশ্রমের সর্বস্থান তন্ন তন্ন করিয়া দেখিলাম। প্রথমে প্রবুদ্ধ-ভারত কার্ধ্যালয়, একটি বৃহৎ দ্বিতল কাষ্ঠনিশ্বিত মুন্দর গৃহ। নিম্নতলে যন্ত্র ও দপ্তরখানা প্রভৃতি। দ্বিতলে বৃহৎ একখানি কক্ষে বহুল পরিমাণে স্তরে স্তরে কাগজ সংগৃহীত আছে, অপরখানিতে এখানকার প্রকাশিত পুস্তকাবলী। - পার্থেই সম্পাদকের ঘর। আরও কয়েকখানি ঘর, তাহাতে এই বৃহৎ ছাপাখানার প্রয়োজনীয় ফ্রব্যাদি অতি পরিপাটक्ल८° ज९धंए कब्रां जां८छ् ।। ८कांथांe ८कांन बTां★ां८ब्र খুৎ নাই। সজ্জা ও পারিপাট্যের এমন মধুর সমাবেশ এই পাৰ্ব্বত্য প্রদেশে এক অদ্ভুত চিত্তাকর্ষক ব্যাপার। এই প্রবুদ্ধ ভারত কাৰ্য্যালয়ের কিছুদূরে একটি ক্ষুদ্র সাধনগৃহ আছে যেখানে সাধক একান্তে ধ্যান-ধারণা করিতে পারেন। ইহার পর নীচের স্তরে নামিয়া চিকিৎসালয় দেখিলাম। ইহার ব্যবস্থা দেখিয়া বিশিষ্ট দর্শকগণের মন্তব্যের খাতায় সঙ্গী-মহাশয় লিখিলেন, "এখানকার সকল দেখিয়া শুনিয়া নিজেকে বাঙ্গালী বলিয়া গৌরবান্বিত বোধ করিলাম।” আমরা অনেকক্ষণ এখানকার সমস্ত দেখিয়া নিম্নস্তরে নামিয়া ক্যাপটেন সেভিয়রের গৃহ দেখিলাম। সকল গুহ, সকল স্থান, উদ্যান, পথ, ক্রীড়াভূমি সকল দেখিতে দেখিতে উপভোগের আনন্দে আমাদের জীবন ধন্য হইল। নিস্তব্ধ একটি প্রেমের রাজত্ব । এখানে একটি ডাকঘর হইবার ব্যবস্থা হইয়াছে যদিও তখনও কাৰ্য্যারম্ভ হয় নাই। সেই স্থানটিও দেখিলাম। আমার প্রাণের মধ্যে এমন স্থানে কিছুদিন থাকিবার ইচ্ছা এতটা প্রবল হইয়াছিল যে, সঙ্গী-মহাশয়কে বলিয়া ফেলিলাম, “দুই একদিন আরও থাকিলে ক্ষতি কি ?” তিনি একেবারে দেশের লোক দেশে পৌছাইয়া চূড়ান্ত বিশ্রাম করা যাইবে বলিয়া শেষ করিয়া দিলেন। যাহা হউক স্বামীজীদের অনুরোধে সন্ধ্যার পর সঙ্গীতে ভজন করিতে হইল, তাহাতে সকলেই আনন্দ পাইলেন। পর দিন প্রাতে আমরা যাত্রার সঙ্কল্প করিয়া রাত্রে ভোজনান্তে ভগবান রামকৃষ্ণের কথা আলোচনা করিতে করিতে শয়ন করিলাম । প্রাতে জল আরম্ভ হইল। আশ্রমের সাধুজন সকলেই আর একবার একবাক্যে থাকিয়া যাইবার জন্ত অনুরোধ করিলেন। কিন্তু সঙ্গী-মহাশয় অটল। অগত্য র্তাহারা খেচরান্ত্রের ব্যবস্থা করিয়া দিলেন । আহারাদির পর বৃষ্টি থামিতেই সঙ্ঘের সাধুগণকে নমস্কার করিয়া আমরা চম্পাওয়াৎ যাত্রা করিলাম। মায়াবতী হইতে বনপথে আমরা চার মাইল অতিক্রম করিয়া দেড় ঘণ্টার মধ্যেই চম্পাওয়াং পৌছিলাম। এখানে ঘোড়া কুলি বাহক প্রভৃতির এজেন্সি আছে ।