পাতা:প্রবাসী (ঊনত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>8 SAT MASAeAAASAAAAASA SAAAS AAAAAS প্রবাসী—কাৰ্ত্তিক, ১৩৩৬ [ २>* छाँगं, २ग्न थ७ বিজাপুরের ৪৩ মাইল পশ্চিমে আখ নতে পৌছিলেন। তিনি এই প্রকাও ধনজনপূর্ণ বাজার লুঠ করিয়া পুড়াইয়া দিয়া স্থানীয় অধিবাসীদের ক্রীতদাস করিতে চাহলেন ( ২০ নবেম্বর ) । তাহারা সকলেই হিন্দু ; শঙ্কুজী এই অত্যাচারে বাধা দিলেন ; দিলির তাহার নিযেধ শুনিলেন না। সেই রাত্রে শভূজী নিজ স্ত্রীকে পুরুষের বেশ পরাইয়: দুজনে ঘোড়ায় চড়িয়া শুধু দশজন সওয়ারের সঙ্গে দিলির থার শিবির হইতে গোপনে বাহির হইয়া পড়িলেন এবং পরদিন বিজাপুর পৌছিয়া মাস্কদের আশ্রয় লইলেন। কিন্তু সেখানে থাকা নিরাপদ নয় বুঝিয়া আবার পলাইলেন, এবং পথে পিতার কতকগুলি সৈন্যের দেখা পাইয়া তাহাদের আশ্রয়ে পনহালা পৌছিলেন ( ৪ঠা ডিসেম্বর ১৬৭৯ ) । ইতিমধ্যে শিবাজী ৪ঠা নবেম্বর সেলগুড় হইতে বাহির হইয়। মুঘল-রাজ্যে ঢুকিলেন ; দ্রুতবেগে অগ্রসর হইয়া পথের দ্বধারে লুঠিয়া পুড়াইয় দিয়া ছারখার ‘করিয়৷ চলিতে লাগিলেন । প্রায় ১৫ই তিনি জালনা শহর ( আওরঙ্গাবাদের ৪• মাইল পূর্বে ) লুঠ করিলেন। কিন্তু এই জনপূর্ণ বাণিজ্যের কেন্দ্রে তেমন ধন পাওয়া গেল না। তখন জানিতে পারিলেন যে জালনার মহাজনেরা নিজ নিজ টাকাকড়ি শহরের যাহিরে সৈয়দ জান মহম্মদ নামক মুসলমান সাধুর আশ্রমে লুকাইয়া রাখিয়াছে, কারণ সকলেই জানিত ষে শিবাজী মন্দির ও মসজিদ, মঠ ও পীরের আস্তান মান্ত করিয়া চলিতেন, তাহাতে হাত দিতেন না। তখন মারাঠা সৈন্যগণ ঐ আশ্রমে ঢুকিয়া পলাতকদের টাক কাড়িয় লইল, কাহাকেও কাহাকেও জথম করিল। সাধু তাহাদের আশ্রমের শান্তি ভঙ্গ করিতে নিষেধ করায় তাহার র্তাহাকে গালি দিল ও মারিতে উদ্যত হইল। তখন ক্রোধে সেই মহাশক্তিবান পুণ্যাত্মা পুরুষ শিবাজীকে অভিসম্পাত করিলেন। ইহার পাচমাস পরে শিবাজীর অকাল মৃত্যু হইল ; সকলেই বলিল যে পীরের ক্রোধের ফলেই এরূপ ঘটিয়াছে । - মারাঠা-সৈন্ত চারিদিন ধরিয়া জালনা নগর এবং তাহার শহরতলীর গ্রাম ও বাগান লুঠ করিয়া দেশের দিকে—অর্থাৎ পশ্চিমে, ফিরিল । সঙ্গে অগণিত লুঠের টাকা, মণি, অলঙ্কার, বস্ত্র হাতী ঘোড়া ও উট ; সেগু দ্য তাহারা ধীরে ধীৱে চলিতে লাগিল । রণমস্ত খী নামে একজন চটুপটে সাহসী মুঘল ফৌজদার এই সময় মারাঠা-সৈন্যদের পশ্চাতে আসিয়া আক্রমণ করলেন। শিধোঞ্জী নিম্বলকর পাচ হাজার সৈন্ত লইয়া র্তাহার দিকে ফিরিয়া বাধা দিল ; তিন দিন ধরিয়া যুদ্ধ হইল, শিধোজী ও তাহার দুই হাজার সৈন্য মার। পড়িল। আর, ইতিমধ্যে মুঘল-দক্ষিণাত্যের রাজধানী আওরঙ্গাবাদ হইতে অনেক সৈন্য রণমস্ত খার দলপুষ্টি করিবার জন্ত আসিতেছিল। তৃতীয় দিন তাহারা যুদ্ধক্ষেত্র হইতে ৬ মাইল দূরে পৌছিয়া রাত্রির জন্য থামিল । শিবাজী চারিদিকে ঘেরা হইয়া ধরা পড়েন আর কি। কিন্তু ঐ নূতন সৈন্যগণের সর্দার কেশরী সিংহ গোপনে সেই রাত্রে শিবাজীকে পরামর্শ দিয়া পাঠাইল যে সামনের পথ বন্ধ হইবার আগেই তিনি যেন সৰ্ব্বস্ব ত্যাগ করিয়৷ অবিলম্বে দেশে পলাইয় যান। অবস্থা প্রকৃতই খুব সঙ্কটাপন্ন দেখিয়া, শিবাজী লুঠের মাল, নিজের দু-হাজার ঘোড়া ইত্যাদি সব সেখানে ফেলিয়া, মাত্ৰ পাচশত বাছাবাছ। ঘোড়সওয়ার সঙ্গে লইয়া স্বদেশের দিকে রওনা হইলেন। র্তাহার স্বদক্ষ প্রধান চর বহিরঙ্গী একটি অজানা পথ দেখাইয়া দিয়া তিনদিন তিন রাত্রি ধরিয় তাহাকে অবিরাম কুচ করাইয়া নিরাপদ স্থানে আনিয়া পৌছাইয়া দিল । শিবাজীর প্রাণ রক্ষা হইল ; কিন্তু এই যুদ্ধে ও পলায়নে তাহার চারি হাজার সৈন্ত মারা পড়ে, সেনাপতি হান্ধীর রাও আহত হন, এবং অনেক সৈন্য মুঘলদের হাতে বন্দী হয় । লুঠের জিনিষ সমস্ত ফেলিয়া দিয়া মাত্ৰ পাচশত রক্ষীর সহিত, শিবাজী অবসন্ত্রদেহে পাট্রা দুগে পৌছিলেন ( ২২ নবেম্বর ) । ইহা নাসিক শহরের ২৯ মাইল দক্ষিণে এবং তলঘাট ষ্টেশনের ২০ মাইল পূৰ্ব্বে । এখানে কিছু দিন বিশ্রাম করিবার পর আবার তিনি চলিবার শক্তি ফিরিয়া পাইলেন ; এজন্য পাট্রাকে “বিশ্রামগড়" নাম দিলেন । ইহার পর ডিসেম্বর মাসের প্রথমে তিনি রায়গড়ে