পাতা:প্রবাসী (ঊনত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ সংখ্যা SAASAASAA AA ASASASA AAA AAASA SAAAAS میع ہے۔--- সতুকে গলায় করার আগে বংশীর দিন বেশ কেটে ধাচ্ছিল। চান করে পাড়ার উঠানে পিসিম, খুড়ীমা বলে রব ছাড়তে র্তার বলে উঠতেন,—‘আহা ! বেটাছেলে কি রাধতে বাড়তে পারে ? জায় ! খেয়ে যাবি, আয় !’ এখন রান্নার মানুষ হ’ল, সে সব আর চলে না । ংসারে সতু কোনোদিন ছুটি লোক একত্রে পায়নি। স্বামীর প্রতি অচলা ভক্তির পথে সমস্ত উদ্যম সে ছড়িয়ে চলছিল। ছ'টি বছর কতক গহনা বেচে, কতক নিজের হাতের তৈরি জানাজপত্র বেচে সে চালিয়ে দিলে । আর চলে না । সেদিন রাত্রির বেলা কাছে বসে মিনতি করে সে বললে,— - "এত রাত করে এস, ঘরের মটকার বঁাশঝাড় টা যে ক্টাচ, কোচ শব্দ লাগায়, ভয়ে আমার গা হিম হয়ে যায়। কাল ত উঠোনের কোণের আকন্দ গাছটা দেখে ভাবলুম, সাদা কাপড় জড়িয়ে একটা মানুষ বুঝি ওৎ পেতে বসে রয়েছে। কতক্ষণ পরে চোখের ঘোর কাটুল—তবে ইপি, ছেড়ে বাচি ” বংশ তখন বালিশে ভর দিয়ে স্বর ভাজ ছিল,— “দেখ পিতঃ । আজ তব পালিয়াছি অক্ষরে অক্ষরে । স্বরঞ্জিত মম সৰ্ব্ব অঙ্গ, মম মাতু-রক্তে । দেশ ! পার কি চিনিতে ?—--” গলার ভাজে ভাঙ্গে স্বরের স্পন্দন উঠে নেমে সতুর কানে যেন মধু ঢেলে দিলে। ওতে ত পেটভরার কিছুই নেই। গলার কাছে এল, বলে যে,—“পিতার আজ্ঞায় মাতৃরক্ত নাই বা নিলে ? বিধাতার কাছে আদেশ মেগে স্ত্রীর বুকের রক্তটাই নাও-জুড়িয়ে তোল।” মুখে বেধে গেল। সে বললে,-“আমি যে কি বল্লুম, শুনতে পেলে ?” বংশী বললে, “কি ?” “এইবার কিন্তু হাড়ি শিকের উপর উঠল। বললে কথা কানে তোল না। মেয়েমানুষ আমি, কি করে চালাই বলজিকিনি ?” বংশী তার স্বরের নেশায় মস্গুল ছয়ে জবাব দিলে, *সে হবে-এখন একদিন। মারি ত গণ্ডার-লুটি ত মানী - هےv-۔ہم ( විම් w στα πη, ω- **** - on so--- --so ভাণ্ডার। যখন নড়ে-চড়ে বৃসব, লোকে বলবে যে—ইn ৷ পরশুরামের পাটটা দিয়েছে আমায়। কেমন লাগল ?" সতু বললে, "চান করে এসে কি কুটি, কি রাখি, আমি যেন আকাশ-পাতাল খুঁজে বেড়াই। ডান হাতের কাছ বন্ধ হলে যে বড় লজ্জা ! ও বাড়ীর ভুলে-ঠাকুরপো চাড়াল-পোদের দেশে চাকৃরী করে এক নেীকে ধান আনলে। অতবড় সংসারটা একলাই ত সে চালাচ্ছে ।" বংশী দেখত,—আঞ্জ উঠানের কোণে একপানী মাচা উঠল—নীচে লাউ কুমড়োর চারা । দু’দিন বাদে দেখত—গাছগুলি লতিয়ে লতিয়ে মাচাখানা ছেয়ে ফেলেছে । ফলও অনেকগুলি ঝুলছে। ঋতুমত পলিম, পুই, শসা, শিম প্রভৃতি গাছের দ্বারা সতুর হাতের চর্চার নিদর্শন সে পেত। সংসারের সাশ্রয়ও এর দ্বারা অনেক-কিছু হচ্ছে সে বুঝতে পাবৃত। মাঝে মাঝে উপবাস যে না যেত এমন ময়—গায়ে তেমন লাগত না । কাজেই যা খুড়িয়ে দাড়িয়ে চলছে, তার উপর অতিরিক্ত চলার কথায় সে ভেবে নিলে,—এ বুঝি তার কুড়েমিরই খবরদারী। স্ত্রী—সে তো দাসীবাদীরই সমপৰ্য্যায়ভুক্ত । এ যেন তাকে ইট ছুড়ে মারলে। সে উত্তপ্ত হয়ে দাত খিচিয়ে বলে উঠল,—

  • ভুলে-ঠাকুরপো ঠাওরালি নাকি আমাকে অত বড় পণ্ডিত ? তাও আবার চোয়াড়ের দেশে 7 ছোটলোকের মেয়ে কিনা ?”

পিতার প্রতি এই অচিস্তনীয় আক্রমণে সতুর গলা যেন কিসে চেপে পরল—মুখ খুল্ল না। সে কাপ্পা চাপতে লাগল। বংশল্প বিদ্যে কিছু কম ছিল না । পিতার তোমামোদের গুণে প্রধান শিক্ষকের স্বাক্ষরযুক্ত মধ্য-ইংরেজী পরীক্ষার একখানা সার্টিফিকেট, তিনচারখানা বাক্ষে কাগজে মোড়ক করা, নেকুড়ার টুকরায় বাধা, ৰাক্সের সকল জিনিসপত্রের নীচে সযত্নে সংগৃহীত আছে। হয়ত গণ্ডার মাৰ্বতে অথবা ভাণ্ডার লুটুতে একদিন কাজে লাগবে। পরদিন রান্নার কিছুই ছিল না। ক্ষুদ্ভিতে শিশ দিতে দিতে বংশী ঘরে ফিরল। তেলের বাটিটা গামছাথান৷ চৌকির নিকটে ধরাই ছিল। সে চান করে এসে দেগলে