পাতা:প্রবাসী (ঊনত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬৭৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্যা ] শঙ্করের অধ্যাস ৬২৩ दनिया दूवाहेरउ शांग्नि ना । चौब, जगं९ स बळकब्र পারমার্থিক ভাবের স্বতন্ত্র অস্তিত্ব আমরা বুঝিতে পারি না। शनि बला श्वाञ्च, बौदनकल *ब्रग्णब्र चडब्ल, डांश इझेरल थन्त्र হইতে পারে যে, পরস্পর স্বতন্ত্র জীবসকলের পরস্পর সম্বন্ধ-স্বচনা কেমন করিয়া হইতে পারে? অর্থাৎ পরস্পর স্বতন্ত্র জীবসকল পরম্পরের সম্বন্ধে আসে কেমন করিয়া ? একজন আর একজনের সহিত আলাপ করিতে পারে, তাহার কথা শুনিতে পায়, তাহার অস্তিত্ব বুঝিতে পারে কেমন করিয়া ? কি এমন সংযোগস্বত্র আছে, যাহা আমাদের সকলের সহিত সম্বন্ধ স্বচনা করিতেছে ? কোন সংযোগসূত্র ব্যতীত ষে আমাদের পরম্পরের মধ্যে সম্বন্ধসুচনা হইতে পারে, তাহা আমাদের ধারণাতীত । স্বতরাং আমরা অনুমান করিতে বাধ্য হই যে, এমন কোন বস্তু নিশ্চয়ই আছে, ষাঁহ সাধারণ তত্ত্বরূপে আমাদের সকলেরই মধ্যে অমুস্থ্যত আছে। কেবল জীবসকলই যে পরম্পর পরম্পরের সম্বন্ধে আসে, তাহা নহে ; এই পরিদৃশ্যমান জগৎও আমাদের সম্বন্ধে আসে এবং আমরা এই পরিদৃশুমান জগতের সম্বন্ধে আসি। বৃক্ষ, লতা, পাহাড়, পৰ্ব্বত, নদী, সমুদ্র, সকলেরই সহিত আমাদের ঘনিষ্ঠ সম্বন্ধ, ব্যোমমার্গে বিচরণশীল নক্ষত্রপুঞ্জও আমাদের দৃষ্টিপথে পতিত হয়, আমরা তাহাদের গতি-নিৰ্দ্ধারণেও সমর্থ হই, সমুদ্রপথে অর্ণবধানে অবস্থিত থাকিয় তাহাদের সাহাধো দিঙনিৰ্ণয় করিতে পারি। স্বতরাং নক্ষত্রাবলীর সহিতও আমাদের ঘনিষ্ঠ সম্বন্ধ আছে। কিন্তু এই সম্বন্ধ স্বচনাকার্ধ্যে আমরা কোন স্বত্রের সাহায্য পাই ? আমরা কি অম্বুমান করিতে বাধ্য হই না, এমন কোন সাধারণ স্বত্র সমগ্র বিশ্ব ব্যাপিয়া অস্থস্থ্যত আছে, যাহা এই বিশ্বের প্রত্যেক অংশের সহিত অপর অংশের সম্বন্ধ স্থচনা করিতেছে ? যদি এমন কোন সাধারণ স্বত্র থাকে, তবে তাহার বিশ্বের কোন অংশের সহিত পার্থক্য থাকিতে পারে না। কারণ, সকল অংশেরই সহিত আবার তাহার সম্বন্ধ আছে । তাহা যদি না হুইত, তাহা হইলে কখনই তাহা সকল অংশের মধ্যে অকুস্থাত থাকিয়া, বিশ্বের সকল অংশের পরম্পর সম্বন্ধ সুচনা করিতে পারিত না । আমি যে তোমার কথা শুনিতে পাই, বায়ুমণ্ডল তোমার ও আমার মধ্যের ব্যবধানটকে পূর্ণ করিয়া রহিয়াছে তাই, স্বধ্য, পৃথিবী, গ্রহ, নক্ষত্র প্রভূতি যে ব্যোমমার্গে পরম্পর পরস্পরকে আকর্ষণ করিয়া আবৰ্ত্তিত ও বিমূর্ণিত হইতেছে, ঈশ্বর নামক সূক্ষ্ম পদার্থ বিশ্ব ব্যাপিয়া রহিয়াছে তাই। মধ্যে সংযোগ-সুত্র না থাকিলে এক সাধারণ সম্বন্ধ সূত্র বিশ্ব ব্যাপিয়া, বিশ্বের সকল অংশের মধ্য দিয়া অস্থস্থাত না থাকিলে কখনই বিশ্বের অংশসকল নিয়মবদ্ধ থাকিয়া ও পরস্পর পরম্পরের সম্বন্ধ রক্ষা করিয়া চলিতে পারিত না। এই সংযোগ-স্বত্ৰটী গীতাঞ্জ স্বন্দরভাবে নির্দেশ করা হইয়াছে। গীতা শ্রীতিরই প্রতিধ্বনিস্বরূপ বলিতেছেন,— বহিরস্তশ্চ ভূতানামচরং চরমেব চ। স্বস্বত্বাত্তদবিজ্ঞেয়ং দুরন্থং চাস্তিকে চ তং । পুনশ্চ— "যো লোকত্ৰয়মাবিগু বিভৰ্ত্ত্যব্যয় ঈশ্বরঃ ॥” সমগ্র বিশ্বব্ৰহ্মাও যে একেরই সভা স্বচনা করিতেছে, এক এবং অদ্বিতীয় ব্ৰহ্মসভা যে সমস্ত বিশ্বমধ্যে অন্থস্থাত তাহা প্রাচীন হিন্দুঋষিগণ কতপূৰ্ব্বে হৃদয়ঙ্গম করিয়৷ গিয়াছেন । মহাকবি কালিদাসের কুমারসম্ভব গ্রন্থে, তারকাস্থর-প্রপীড়িত দেবতাগণের ব্রহ্মার স্তুতি মধ্যে লিখিত আছে – নমন্ত্রিমূৰ্ত্তয়ে তুভ্যং প্রাকৃম্বঃে কেবলাত্মনে । গুণত্রয়বিভাগায় পশ্চাদভেদমুপেয়ুসে । हेक्ष्। अप्•को श्रद्देश्ठबोटलब्र श्ञ्ज्हे मिलथेंन चान्न कि হইতে পারে ? শ্লোকটির প্রাকৃস্থষ্ট্রে; কেবলাত্মনে” শুধু এই কথাটার উপর যদি লক্ষ্য রাখা যায়, তাহা হইলে বুঝা যায় যে, কালিদাস শ্রীতিরই প্রতিধ্বনি করিয়াছেন।