পাতা:প্রবাসী (ঊনত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ఆసెర్రీ [ २>* छाँगं, २ञ्च थ७ AMAMMAMAMS MA MMAAAS হেমাঙ্গিনী তরকারি কোটে, ভাড়ার দেয়, পিলিমার পূজোর আয়োজন করে। মেঝেতে হাটু পেতে বসে স্ত পাকার ধোপার কাপড় বার বার গুণে ঠিক করে দেয়। কুমুদ বারান্দায় খেতে বসলে, রান্নাঘরে উবু হয়ে বসে ঠাকুরকে থাবার গোছাতে উপদেশ দেয়—খোলা দরজার র্যাকে তার পিঠের খানিকটে দেখা যায়। সন্ধ্যার সময়ে অন্ধকারে যখন অক্ষর অস্পষ্ট হয়ে ওঠে, হেমাঙ্গিনী চৌকাঠে দাড়িয়ে ঝুকে হাতটা বাড়িয়ে পাশের স্বইচটা টিপে দিয়ে যায়। সংসারের কোথাও কিছু বেঠিক আছে, হেমাঙ্গিনীর ব্যবহারে তার এতটুকু আভাস নেই। তার এই নিতান্ত সাদা চালে কুমুদের অসহিষ্ণুতা বেড়ে চলেছে। স্বরমার শোক তারই জন্ত প্রতিদিন সে একটু একটু ক’রে দৃঢ় করেছে । সেই শোকের গৌরবে সে মশগুল । সে তার প্রখম প্রণয়ের ওপর একনিষ্ঠতার নিশান উড়িয়ে তারই পরাভবের প্রতীক্ষায় প্রস্তুত হয়ে বসেচে। তাকে সন্তায় জয় করা চলবে না । তার ওপর স্বরেশ তাকে ঠকিয়েছে—ম্বরমার সঙ্গে হেমাঙ্গিনীর মিল নেই। স্থতরাং তার চেষ্ট হবে প্রাণপণ, তপস্তা গৌরীর তপস্তাকে ছাড়িয়ে উঠবে, তবে স্বরমার শূন্ত সিংহাসনে তা’র चर्शिकांग्र । কিন্তু তপস্বিনীর সেদিকে কোন খেয়ালই নেই। সে ঘর-গেরস্তাগী, ভাড়ার, রান্না ধোপা কাপড় সেরে অবসরমত হয় চিঠি লেখে নতুবা এটা ওটা বই পড়ে। মাঝে মাঝে অত্যন্ত সন্তপণে এসরাজে গুন গুন করে রাগিণী আলাপ করে । স্বরমার স্মৃতিতে যে ছায় পড়েছে, কুমুদ প্রবল উদ্যমের সঙ্গে তা মুছে ফেলবার জন্য প্রস্তুত হ’ল। ভ্রমসংশোধন। স্থযোগও অন্থকূল হ’ল । গুরুদেব তীৰ্থপৰ্য্যটন করে এই সময়ে এলেন নূতন শিষ্যের ধাড়ীতে । গুরুদেব আত্মার অমরত্ব ও দাম্পত্য সম্বন্ধের জন্মषन्नाखदनङ्ग श्रृ उस्र दिषट्झ ५३b। ७१ग्लभ विश्वानि । কুমুদের সেটা ভারি মনে ধরেচে। হৃদয়ঙ্গম করেচে স্বরমার আত্মার সঙ্গে মিলন শুধু সাধনাসাপেক্ষ । স্বরমার ছবিগুলি নূতন করে বাড়ামোছা হল। ফুল-সাইজ ছবির ক্ষণিক অনাদর দ্বিগুণ যত্নে ডুবে গেল। কুমুদের শয্যা হল সেই ছবির সম্মুখে—মেঝেতে। কঠোর সাধনার জন্য কুমুদ প্রস্তুত হতে লাগল। এ সাধনাতেও গুরুর দীক্ষা চাই। সেজন্ত তিথি লগ্নের বিচার চলছে। কুমুদ স্বকৃত ভ্রমের জন্ত অম্লতাপের সঙ্গে গুরুদেবের কাছে অশ্রুবর্ষণ করেছে। সাত্বনা দিয়ে তিনি বলেছেন,— ভ্রম হয়েছে বটে। মানুষ মায়ার দাস । আপনার পাপ আপনার কৰ্ম্ম দ্বারাই ক্ষালিত হবে। তোমার আত্মা ক্ষণিক মায়ায় আচ্ছন্ন হয়েছিল । সুরমা-মা ত তোমাকে কথখন ত্যাগ করেন নি । স্থরমার ও কুমুদের কোষ্ঠী মিলিয়ে দেখেছেন, স্বরম পূৰ্ব্বজন্মেও তার পত্নী ছিল । এবং এই জন্মে তাকে পতিরূপে লাভ করবার জন্য সেই জন্মেই কঠোর সাবিত্ৰীযজ্ঞ সম্পন্ন করে রেখেছিল। কুমুদ ভ্রমসংশোধনে একাগ্রচিত্তে তৎপর হ’ল। নানা অনুষ্ঠানে সাধনা স্বরু হ’ল । সেই তাগুব যজ্ঞের উত্তরসাধক গুরুদেব, আহুতি হেমাঙ্গিনী। হৃদয় মনের কোনও কোণে অতর্কিতে প্রবেশ করে না সাধনাচ্যত করে, সেজন্য আয়োজনের সীমা নেই। শয়ন-ঘরের ছবিটার ঝাড়পোছ কুমুদ স্বহস্তে করে, ভূতোর উপর হুকুম,—ষখন ঘরে না থাকব, দরজা বন্ধ করে রাখবি । - পাশের ঘরে গুয়ে হেমাঙ্গিনী শুনতে পায়। বঁ-হাতে কপালের উপরকার চুল ধীরে ধীরে পিছনের দিকে টানতে টানতে ফিরে শোয় । ছুটির দিনে কুমুদ সারা দুপুর ওঘরে টুকটাক এটা-ওটা-সেটা করে। এধরে তার শব্দ আসে। বিছানায় গুয়ে বুকের নীচে বালিশ দিয়ে পা নাড়তে নাড়তে বই পড়তে পড়তে ঘুমিয়ে পড়ে। সম্প্রতি কুমুদের দিনের বেলায় গুরুদেবের পদসেবা আর রাত্রিবেলায় স্বরমার ছবির সম্মুখে ধ্যান চলেছে । কঠোর সাধন। জন্মজন্মাস্তরের দাম্পত্য প্রেমে মৃত্যুর ব্যবধান নেই। গুরুদেব পন্থা নির্দেশ করে দিয়েছেন। নিৰ্ভুলে পালন করলে স্বরমাকে ধরা দিতেই হবে। কাণ্ডকারখানা দেখে এবং বৌয়ের মুখ চেয়ে পিলিমা