পাতা:প্রবাসী (ঊনত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৮৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ԳԵ-Ե প্রবাসী—চৈত্র, ১৩৩৬ ভয়ঙ্কর মৃত্যুর মধ্যেই নীড়ের আহবান শুনিল । যুদ্ধ শেষ হইল—যাহারা ফিরিল তাহারা সৰ্ব্বনাশী নৈরাঙ্গ লইয়া ফিরিল । যৌবন আন্দোলন নান রাষ্ট্রীয় দলের শাখায় পরিণত হইল। ১৯২০-এর কাছাকাছি পুরাতন আন্দোলনের রূপান্তর দেপ। দিল-—“উড়ো পাপী’র দল বিভিন্ন বুগু বা গোষ্ঠী গড়িয়া ফেলিল। বিশেষ একটি নেতার বা নেতৃসমাজের চতুৰ্দ্দিকে এক একটি ছোট গোষ্ঠী । তাঙ্গাদের মূলমন্ত্র এক—ইতালির ফাশিস্তদের অল্পরূপ- বাধ্যতা ও সেবা । ব্যক্তিস্বাতন্ত্রোর যুগ কাটিয়া গিয়া রাষ্ট্রীয় কৰ্ম্মের যুগ দেখা দিল । বিভিন্ন গোষ্ঠীকে নিয়ন্ত্রিত করিবার কাজ চলিল ১৯২৩-১৫ পয্যস্থ । ১৯১৫-এ এষ্ট ঐক্য-বন্ধন প্রায় সমাপ্ত হইয়া গেল । জাৰ্ম্মেণীর বিভিন্ন যুবকগোষ্ঠী এক যুবকসঙ্গে পরিণত হইয়াছে । আজ ও তাঙ্গদের নীতি ও রীতি বিভিন্ন, কিন্তু আদশে তাহার এক । রাষ্ট্রের ও রাষ্ট্রসভার নিয়ন্ত্রণে তাহার একমত—নবারাষ্ট্র গড়িতে ভক্তবে । এই নব রাষ্ট্র ইতিহাসের আলোকপাত্রে ভবিষ্যতের কোলে গড়িয়৷ তুলিতে হইবে । বৰ্ত্তমানে ইগর দ্রষ্ঠ তিনটি কাজ প্রয়োজন--যুবক সঙ্গকে জাৰ্ম্মাণ শিক্ষা-পরিসদ গুলি অধিকার করিয়া নিজেদের জাতির ভাবী শিক্ষাদাতার পদ গ্রহণ করিতে হইবে, জাৰ্ম্মাণ শ্রমিক ও ধনিকের সম্পর্কটি স্বচ্ছন্দ ও সহজ করিয়া শ্রমশালাকেই পাঠশালায় পরিণত করিতে হইবে, পূৰ্ব্ব-ইয়ুরোপে এক মৃত্তল আভিজাত রুষক সম্প্রদায় গড়িয়া তুলিয় তাহার রাষ্ট্ৰীয় ও সামাজিক শক্তি দৃঢ় ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠা করিতে হইবে । জাৰ্ম্মেণীর নব্যরাষ্ট্রের স্বপ্ন এইরূপ । ( H ) স্বপ্ন যাহাই হউক জাৰ্ম্মাণ-জীবনের বর্তমান রূপ ভুল করিবার মত নয় । তাহা একটি সহজ, কঠিন সত্য, কেবলমাত্র ভাবীকালের সুন্দর স্বপ্ন নয়। এই যুগে জাৰ্ম্মেণীর আত্ম-প্রতিষ্ঠার চেষ্ট সাহিতো নয়, শিল্পে নয়, তাহার পুনপ্রচলিত শেক্সপিয়রীয় গবেষণায় নয়, তাহার পরাজয়াতুসন্ধানে ও পরাজয়ক্ষালনে নয়, এমন কি জাহ। তাহার নব্যশিক্ষপৃদ্ধতি ও নব-যৌবনান্দোলনেও সম্পূর্ণরূপে প্রকট [ ২৯ ভাগ, ২য় খণ্ড হয় নাই । তাহার প্রতিভা আজ যেখানে একান্ত গু পরিপূর্ণরূপে আপনাকে ঢালিয়া দিয়াছে সে কুলটরের প্রশস্তিতে নয়, সে অর্থনৈতিক পুনর্জীবনের সাধনায়, সে শিল্প-বাণিজ্যের আধুনিকতম উন্নতির প্রচলনে। বৰ্ত্তমান জাৰ্ম্মেণী জ্ঞানযোগী নয়, ভাবযোগী নয়, কৰ্ম্মযোগী। কাণ্ট-হেগেলের মানস-সন্তানদের জ্ঞানগরিম কৰ্ম্মের কঠিন শিলাখণ্ডকেই আশ্রয় করিয়৷ অর্থনৈতিক দূরদর্শিত ও শিল্প-নৈতিক তৎপরতার রূপে দেখা দিয়াছে ; ক্ষত্ৰ শুঙ্খলা কৰ্ম্মযোগের শ্রমযুদ্ধে অপৰ্ব্ব উদ্যম ও সহনশীলতা রূপে ফুটিতেছে। বৰ্ত্তমান জাৰ্ম্মেণীতে অর্থশাস্ত্রের সবিশেষ চচ্চা হু ওয়া স্বাভাবিক । অর্থসঙ্কটে জাৰ্ম্মেণী ওলট-পালট হইয়। গিয়াছে । তত্ত্বfজজ্ঞাময় দল নিজ নিজ তত্ত্বকে তখন উদ্ধারের একমাত্র পথ বলিয়া তত্ত্বপ্রচারে ও আলোচনায় উঠিয় পড়িয়। লাগিয়াছিলেন । কি স্থ পন বিজ্ঞানের আলোচনা এক কথা আর আর্থিক জীবন গড় আর এক কথা । সেই জীবন গড়িবার পক্ষে কাজে লাগিয়াছে একটি বিশেষ প্রয়োগ-নৈপুণ্য—এই সব ধন-বৈজ্ঞানিকের পেশয়াটে আলোচনা নয়। জাৰ্ম্মেণী কাল মার্কস-এর জন্মভূমি—যুদ্ধের পূৰ্ব্বেও জাৰ্ম্মেণার সোশালিষ্ট আন্দোলন ছিল সকলের চেয়ে শক্তিসম্পন্ন। জাৰ্ম্মাণ বিপ্লবের মৃলে ৪ চরমপন্থী ও মধ্যপন্থী সাম্যবাদীরা ছিলেন । কিন্তু স্পাটাকিষ্টদের প্রচেষ্টাকে বার্লিন ও কিল-এর পথে রক্ত-সমাধি দিয়া মধ্যপষ্ঠী গণতান্ত্রিক সাম্যবাদীরাই জাৰ্ম্মেণীর রাষ্ট্রশক্তি হস্তগত করিয়াছেন। ইহার মার্কসের শিষ্য। তাই, উগ্র গু ধীর বহুবিধ সমাজতান্ত্রিকের তত্ত্বালোচনার অভাব হয় নাই । কিন্তু একটি কথা সুস্পষ্ট--মার্কস-এর মানসসন্তানগণ মার্কসূ-কথিত ইতিহাসের অর্থনৈতিক ব্যাখ্যানে, ক্রমপুঞ্জিত দুৰ্গতির ভবিষ্যদ্বাণীতে, আদর বিপ্লবের অবশ্যম্ভাবিতায় আর এপন আস্তা রাপেন না। তাহার এই সকল তত্ত্ব সোঙ্গাল-ডেমোক্রাটিক দল তাহাদের ১৯২৫ সনের হাইডেলবেয়ার্গ সম্মেলনের কার্য্যক্রম হক্টতে বজন করিয়াছেন । সাম্যবাদের তত্ত্বভাগ ও ইতিহাস-ভাগ, দুইই বর্তমান জাৰ্ম্মেণীর শ্রেষ্ঠ ধন-বৈজ্ঞানিক অধ্যাপক