পাতা:প্রবাসী (ঊনত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৮৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬ষ্ঠ সংখ্যা] পিতৃদেবের পরিচয় জানিলে উভয়ের গুণাবলী তাহাকে কতখানি প্রভাবান্বিত করিয়াছিল তাহা উপলব্ধি করিতে পারা যায়। * অক্ষয়কুমারের পিতা মথুরানাথ কুমারখালি গ্রামে আসিবার পর এক অভিগ্নহৃদয় বাল্যসগা লাভ করিয়াছিলেন–র্তাহার নাম হরিনাথ মজুমদার। তিনিই স্বনামখ্যাত কাদাল হরিনাথ। এই দুই বালাসগ স্বগ্রামের শিক্ষা সমাপ্ত করিয়া গ্রামের উন্নতিসাধনে আত্মনিয়োগ করিয়াছিলেন ও বালকবালিকাগণের • বিদ্যালয়ে অধ্যাপনায় প্রবৃত্ত হন। স্বদেশসেবায়, গ্রামের জ্ঞানোন্নতি ও নৈতিক উন্নতি সাধনার্থ উভয়ে লিপ্ত থাকিয়া গ্রামবাসীর নেতৃত্ব পদ অধিকার করেন। স্বনামখ্যাত অক্ষয়কুমার দত্তের প্রবন্ধ ও পুস্তকাদি ইহাদের উপর প্রভূত প্রভাব বিস্তার করিয়াছিল এবং অক্ষয়কুমার দত্তের স্তায় যাহাতে স্বীয় পুত্র স্থপণ্ডিত ७ श्नांश्ििडाक झट्टेम्नां सृञईौ श्रङ *ांद्वग्न उब्ङछ মথুরানাথ পুত্রের নামকরণ করিয়াছিলেন অক্ষয়কুমার। অক্ষয়কুমারও ভাগাক্রমে তাহার পিতৃদত্ত নামকরণের সার্থকতা রক্ষা করিয়াছেন। অক্ষয়কুমারের পিতা ও পিতৃ-সখী কাঙ্গাল হরিনাথ কলিকাতা হষ্টতে প্রকাশিত “হিন্দুপেটিয়ট” ও “সংবাদ প্রভাকর” পত্রিকায় প্রজাপক্ষের মুখপাত্র হইয়া নীলকরের অত্যাচারের বিরুদ্ধে খুলখনী ধারণ করেন। তৎপরে কাঙ্গাল হরিনাথ “গ্রাম বার্তা প্রকাশিকা” নামে এক পত্রিক বাহির করিয়া উহার সম্পাদন ভার গ্রহণ করেন। অল্পদিন মধ্যেই পত্রিকাথানির স্বনাম চারিদিকে ছড়াইয়া পড়িয়াছিল। প্রাচীন প্রথানুযায়ী পঞ্চম বর্ণ বয়সে এক শুভদিনে শুভক্ষণে মণ্ডপ প্রাঙ্গনে সম্মিলিত পাঠশালায় মাটিতে দাগ বুলাইয়া অক্ষয়কুমারের হাতেখড়ি হইয়াছিল। এই পাঠশালার নামে মাত্র এক গুরু মহাশয় ছিলেন, প্রকৃত গুরুগিরি করিতেন কাদাল হরিনাথ । হরিনাথের বিদ্যালয়ে অক্ষয়কুমারের সতীর্থ ছিলেন শিবচন্দ্র

  • जनझडूनांप्तत्र पानाबीवन नषएक छैiशब्र निजबूष iोश सनिम्नांहि एsांश14ाई अवाक नरकजिऊ ह३ण ।

- و سواهد আচাৰ্য অক্ষয়কুমারের স্মৃতি-পূজা ԵՀG։ विश्वां4द e णकथंडि# नाशिडिाक ब्रांग्र बांशंछ्ब्र खनक्षत्र সেন। তাহার পর রাজকাৰ্য্য উপলক্ষ্যে মথুরানাথ রাজশাহীতে আসিলেন, অক্ষয়কুমারকেও পিতার সঙ্গে আসিতে হইল। অর্থ শতাব্দী পূৰ্ব্বে রাজশাহীর যুবকসমাজে মাতৃভাষার বিলক্ষণ চর্চা হইত। যাহার। তাছার পরিচয় দিতে পারিতেন তাহারা অনেকেই একে একে ইহলোক হইতে বিদায় গ্রহণ করিয়াছেন। রাজসাহীর সঙ্গন সমাজে বিদ্যালোচনা চিরদিন মর্যাদা লাভ করিয়া আসিতেছে। রাজসাঙ্গীর কান্তকবি রজনীকান্থ, মহারাজা জগদীন্দ্রনাথ ও অক্ষয়কুমারের অসামান্য রচনাপ্রতিভা রাজসাহীকে সমগ্র বঙ্গদেশের মধ্যে একটি উল্লেখযোগ্য জ্ঞানকেন্দ্র বলিয়া প্রসিদ্ধি দান করিয়াছে। পূৰ্ব্বাবস্থার পরিচয় পাষ্টতে হইলে অর্থ শতাব্দী পূৰ্ব্বে ছাত্রসমাজের পরিচয় সংগ্ৰহ করিতে হয়। তৎকালীন রাজসাহীর ছাত্রগণের মধ্যে বঙ্গসাহিত্য-সেবায় র্যাহারা আন্তরিক অঙ্গরাগের পরিচয় দিতেন, তাহাদের মধ্যে দেবীযুদ্ধ'-প্রণেতা শরচ্চন্দ্র রায় চৌধুরী, মোহিনীমোহন, অশ্বিকাচরণ ব্ৰহ্মচারী ও অক্ষয়কুমারের নাম বিশেষ উল্লেখযোগ্য । সতীর্থ হইলেও ব্রহ্মচারী মহাশয় অক্ষয়কুমার অপেক্ষ বয়সে বড় ছিলেন। কৈশোরেই অক্ষয়কুমার ও অকালমৃত । মোহিনীমোহনের অলোকসামান্ত প্রতিভার পরিচয় পাইয়া "ভাবি বঙ্গের ভরসা” বলিয়। তিনি যে ভবিষ্যদ্বাণী করিয়াছিলেন তাহা মিথ্যা হয় নাই। অক্ষয়কুমার বাল্যকাল হইতেই সাহিত্যচর্চা আরম্ভ করেন। তিনি সপ্তম শ্রেণীতে পড়িবার সময় গ্রে'র এলিজি'র বঙ্গানুবাদ করিয়া রচনানৈপুণ্যের পরিচয় দিয়াছিলেন। প্রবেশিক পরীক্ষা দিবার সময় তিনি “বঙ্গবিজয় কাব্য” প্রণয়ন করেন ; ছাত্রাবস্থায় "সমর সিংহ” নামে জার একখানি পুস্তিকাও রচনা করিয়াছিলেন। র্তাহার রচিত অপূৰ্ব্বপ্রকাশিত নাটক “আশা” ও “আবাহন” মুদ্রিত হইলে নাট্যজগতে সমাদর লাভ করিতে পারিত। অক্ষয়কুমারের ঐতিহাসিক নিবন্ধ "সিরাজদৌলা” সৰ্ব্বপ্রথম সাধনা ও ভারতীতে ১৩-২ সাল হইতে