পাতা:বঙ্কিমচন্দ্রের উপন্যাস গ্রন্থাবলী (তৃতীয় ভাগ).djvu/৮১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চন্দ্রশেখর মীর কাসেম অত্যন্ত বিস্ময়কর । । নবাব তখনই ডাকাইয়া আজ্ঞ দিলেন কৰ্ম্মচারীকে পরওয়ানা: অনতিদূরে বেদগ্ৰাম নামে * চন্দ্রশেখর নামে এক বিদ্বল্প ব্রায়ণ বাস করে—সে আমাকে গণনা শিখাইয়াছিল--হাছাকে ডাকাইয়। গণাইতে হইবে যে, যদি সম্প্রতি ইয়েলুপিম সৃহিত

  1. -, খিলাম, তাহা * -

যুদ্ধারম্ভ হয়, তবে যুদ্ধকালে এবং যুদ্ধপুঞ্জে স্ট্র গম কোথায় থাকিবে ?" - م. م मैौब भून्नी डाशई कहिै* **: মুরশিদাবাদে আনিতে লোক পঠাইল ঃ


. . . .

দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ ভীম। পুষ্করিণী ভীম মামে বৃহৎ পুষ্করিণীর চারিধারে ঘন ঘন । তালগাছের সারি । অস্তগমনোন্মুখ স্থৰ্য্যের হেমাভ রৌদ্র পুষ্করিণীর কাল জলে পড়িয়াছে ; কাল জলে রৌদ্রের সঙ্গে তালগাছের কাল ছায়। সকল অঙ্কিত হুইয়াছে । একটি ঘাটের পাশে কয়েকটি লতামণ্ডিত ক্ষুদ্র বৃক্ষ লতায় লতায় একত্র গ্রথিত হইয়া, জল পর্যস্ত শাখ। লম্বিত করিয়া দিয়া, জলবিহারিণী কুলকামিনীগণকে আবৃত করিয়া রাখিত । সেই আবৃত অল্পন্ধিকারমধ্যে শৈবলিনী এবং সুন্দী ধাতুকলসীহস্তে জলের সঙ্গে ক্রীড়া করিতেছিল । যুবতীর সঙ্গে জলের ক্রীড়া কি ? তাহা আমরা বুঝি না ; আমরা জল নহি । ধিনি কখন রূপ দেখিয়া গলিয়া জল হইয়াছেন, তিনিই বলিতে পরিবেন । তিনি বলিতে পারেন, কেমন করিয়া জল কলসী তাড়নে তরঙ্গ তুলিয়া বাহুবিলম্বিত অলঙ্কার-শিঞ্জিতের তালে তালে নাচে । হৃদয়োপরি গ্রথিত জলজপুষ্পের মাল দোলাইয়া সেই তালে তালে নাচে । সস্তরণ-কুতুহলী ক্ষুদ্র বিহঙ্গমটিকে দোলাইয়া, সেই তালে তালে নাচে । যুবতীকে বেড়িয় বেড়িয়া তাহার বাহুতে, কণ্ঠে, স্কন্ধে, হৃদয়ে উকি ঝুকি মারিয়া, জলতরঙ্গ তুলিয়া, তালে তালে নাচে । আবার যুবতী কেমন কলসী ভাসাইয়। দিয়া, মৃদু বায়ুর হস্তে তাহাকে সমর্পণ করিয়া, চিবুক পৰ্য্যন্ত জলে ডুবাইয়া, বিম্বাধরে জল স্পৃষ্ট করে ; বক্ত মধ্যে তাহাকে প্রেরণ করে, স্বৰ্য্যাভিমুখে 수 প্রতিপ্রেরণ করে, জল পতন-কালে বিশ্বে বিশ্বে শত সুর্য্য ধারণ করিয়া যুবতীকে উপহার দেয়। যুবতীর হস্ত-- পদ-সঞ্চালনে জল ফোয়ারা কাটিয়া নাচিয়া উঠে, জলেরও হিল্লোলে যুবতীর হৃদয় নৃত্য করে। দুই-ই সমান । জল চঞ্চল, এই ভুবনচাঞ্চল্যবিধায়িনীদিগের হৃদয়ও চঞ্চল । জলে দাগ বসে না, যুবতীর হৃদয়ে বসে কি ? পুষ্করিণীর শুমজলে স্বর্ণ রৌদ্র ক্রমে মিলাইয়৷ মিলাইয়া দেখিতে দেখিতে সব গুম হুইল—কেবল তালগাছের অগ্রভাগ স্বর্ণপতাকার ন্যায় জলিতে লাগিল । সুন্দরী বলিল, “ভাই, সন্ধ্য হইল, আর এখানে - না । চল, বাড়ী যাই ।” শৈবলিনী । কেহ নাই, ভাই, চুপি চুপি একটি

গান গা না । , . . . দূর হ ! পাপ ! ঘরে চ ! घूः تیران. শৈ ঘরে যাব না লো সই ! – чы. আমার মদনমোহন আসছে ওই ! ,. হ’ব! যাব না লো সই! স্ন সুৱৰ্ণ আর কি ! মদনমোহন ত ঘরে লোসে, সেইখানে চল না । শৈ । তার বল গিয়া ; তোমার মদনমোহিনী ভীমার জল শীতল দেখিয়৷ ডুবিয়। মরিয়াছে। স্থ । নে, এখন রঙ্গ রাখ । রাত হলো—আমি দাড়াইতে পারি না । আবার আজ ক্ষেমীর ম| বলুছিল, এ দিকে একটা গোর। এসেছে। শৈ । তাতে তোমার আমার ভয় কি ? সু । আ মলে, তুই বলিস কি ? ওঠ, নহিলে আমি চলিলাম । শৈ । আমি উঠবে ন—তুই যা ; সুন্দরী রাগ কবিয়া কলসী পূর্ণ করিয়া কুলে উঠিল। পুনৰ্ব্বার শৈবলিনীর দিকে ফিরিয়া বলিল, “ছ। লো, সত্য সত্য তুই কি এই সন্ধ্যাবেল এক পুকুরঘাটে থাকিবি না কি ?” শৈবলিনী কোন উত্তর করিল না । অঙ্গুলি নির্দেশ করিয়া দেখাইল ; অসুলিনির্দেশানুসারে তুন্দরী দেখিল, পুষ্করিণীর অপর পারে এক তালবৃক্ষতলে, সৰ্ব্বনাশ ! কক্ষ হইতে কলস ভূমে নিক্ষেপ করিয়৷ উৰ্দ্ধশ্বাসে পলায়ন করিল। পিত্তল-কলস গড়াইতে গড়াইতে ঢকৃ চক্ শব্দে উদরস্থ জল উদগীর্ণ করিতে করিতে পুনবৰ্বার বাণী-জল-মধ্যে প্রবেশ করিল। সুন্দরী আর কথা না কহিয়৷ ,