পাতা:বঙ্গের জাতীয় ইতিহাস (বৈশ্য কাণ্ড, প্রথমাংশ).djvu/১০০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

哈● বঙ্গের জাতীয় ইতিহাস [ ধৈগু-কাণ্ড । ব্যবস্থা রাখিয়াছিলেন । তিনি অবৈধ পশুহিংসার পক্ষপাতী ন হইলেও উtহার অবস্থাগারে নিত্য নৈমিত্তিক বৈদিক মুষ্ঠানগুলি অনুষ্ঠিত হইত। তাহারই সাম্রাজ্যকালে পাটলিপুত্রে ঐসঙ্ঘ আহূত হয় । হেমচন্দ্রাচার্য্যের স্থবিরাবলী চরিতের পরিশিষ্টপর্বে লিখিত আছে, জৈনশাস্ত্রসমুহ বিলুপ্ত হইবার উপক্রম ঘটিলে প্রাচীন জৈনাঙ্গসমূহ উদ্ধার করিবার জন্য পাটলিপুত্রনগরে বীর-মোক্ষের ১৭০ বর্ষ পরে (৩৫৭ খৃঃ পূর্বাব্দে ) এই ক্রসঙ্ঘে ৫০• ভিক্ষু মিলিত হইয়া শ্রাতসংগ্রহে প্রবৃত্ত হইয়াছিলেন। এই সময়ে জৈন একাদশাঙ্গ সংগৃহীত ছইয়াছিল। উক্ত বর্ষেই শ্রাতকেবনী ভদ্রবাহু-দেহত্যাগ করেন। ক্রসঙ্গের প্রভাব সমস্ত প্রাযভারতে বিস্তৃত হইয়াছিল, তাহারই প্রভাবে বৈদিক বর্ণশ্রমধর্মের নিয়মপদ্ধতি শিথিল হইয়া পড়িতেছিল, আবার জাতিনির্বিশেষে জ্ঞানী ও গুণীর সম্মান বদ্ধিত হইতেছিল। যে ব্রাহ্মণসমাজ ত্যাগ, অস্তেয় ও ব্রহ্মচৰ্য্যগুণে জৈন ও বৌদ্ধধৰ্ম্মের প্রবলবষ্ঠাতেও প্রাধান্তরক্ষায় সমর্থ হইয়াছিলেন, এখন তাহারাষ্ট্র অর্থশালী বৈশ্বসমাজের আপতমনোরম চাকচিক্যে মুগ্ধ হইয় পড়িতেছিলেন। তাহারই ফলে চম্পাবাসী ব্রাহ্মণকুমার আপনার একমাত্র কঙ্কাকে চন্দ্রগুপ্তপুত্র বিন্দুসারের অঞ্চলক্ষী করিবার জন্য সাধ্যমত যত্ন করিয়াছিলেন। সেই ব্রাহ্মণকন্যা বিন্দুসারের মন হরণ করিবার জন্য মৌর্য্যরাজান্তঃপুরে নাপিতানীর বেশে কিছুদিন অতিবাহিত করেন, অবশেষে তিনি সময় ও মুযোগক্রমে বিন্দুসারের হৃদয় অধিকার করিয়া বসেন। বিন্দুসার তাহার পরিচয় পাইয় তাহাকে আপনার পটেশ্বরী করিয়াছিলেন, সেই ব্রাহ্মণকণ্ঠার গর্ভেই মৌর্য্যসম্রাটু অশোক জন্মগ্রহণ করেন । - . . . আমরা পূর্বেই বলিয়াছি যে ৩৭২ খৃঃ পূর্বাব্দে চন্দ্রগুপ্তের রাজ্যাভিষেক । কিন্তু এই মতে পাশ্চাত্য পণ্ডিতগণ কেহই আস্থাবানু নহেন। তাহারা গ্ৰীক ঐতিহাসিকগণ-বর্ণিত মাকিদনবীর আলেক্সান্দরের সমসাময়িক Sandrocottus ও ১ম মৌর্য্যসম্রাট, চন্দ্রগুপ্তকে অভিন্ন স্বীকার করিয়া ৩২ খৃঃ পূৰ্ব্বাব্দে চন্দ্রগুপ্তের রাজ্যfরস্ত স্থির করিয়াছেন । সুতরাং জৈনশাস্ত্রে চন্দ্রগুপ্তের যে অভিষেককাল নিদিষ্ট হইয়াছে, তাহা হইতে চন্দ্রগুপ্ত (বৰ্ত্তমান পাশ্চাত্য ঐতিহাসিকগণের মতে ) ৫২ বর্ষ পরবর্তী হইতেছেন। এরূপ স্থলে কোন মত অধিক বিশ্বাসযোগ্য ? ( >> ) Numismata Orientalia, 1877, p. 41.