পাতা:বঙ্গের জাতীয় ইতিহাস (বৈশ্য কাণ্ড, প্রথমাংশ).djvu/২৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२१ e বঙ্গের জাতীয় ইতিহাস { ৰৈগু-কাণ্ড । দৃষ্ট হয়, সন্ত তঃ অগ্রসেন (বা বৈশ্ব জাতির প্রথম যোদ্ধ) শব্দটাও তদনুরূপ ব্যবহৃত হইয়াছে। বৈশ্য শৌন্ধিক জাতি দাক্ষিণাত্যে বৈদিকগণের যত্নে যেরূপ ক্ষত্রিয় হইয়া পড়িয়াছিলেন, তাহদের উত্তরশাখার সহিত দাক্ষিণাত্য-সম্বন্ধ সূচিত হইলেও র্তাহারা গুপ্তাদি বৈশ্যসম্রাট্রগণের ন্যায় স্ব স্ব বর্ণ পরিবর্তন করিতে প্রস্তুত হন নাই। এই কারণে উভয় শাখার মূল এক গুর্জর হইতেই আদিপুরুষগণের প্রতিপত্তি বিস্তৃত হইলেও পরবর্তী কালে উভয় শাখ পরস্পর সম্বন্ধ বিস্মৃত হইয়াছেন ; এমন কি, দক্ষিণাত্য শাখা বিশুদ্ধ ক্ষত্রিয় ও উত্তরশাখা বিশুদ্ধ বৈশ্ব বলিয় পরিচয় দিতে অগ্রসর । দাক্ষিণাত্যশাখা নানা যজ্ঞ করিয়া ক্ষত্রিয় হইয় পড়িয়াছিলেন এবং উত্তর-শাখা না। যাগযজ্ঞ করিলেও শ্রেষ্ঠ বৈশ্ব বলিয়াই পরিচিত রছিলেন। এই বৈশ্যসমাজের পূর্বপুরুষগণের মধ্যে সাহার এক সময়ে রাজত্ব করিতে সমর্থ হইয়াছিলেন, তাহদের বংশধরগণই অধুনা বৈশ্ব রাজপুত্রের অপভ্রংশে বৈশ রাজপুত নামে খ্যাত হইতেছেন। বৈশ্বরাজগণ যেরূপ পূর্বকালে অপর সকল রাজবংশের সহিতই ইচ্ছা ও সুবিধামত বৈবাহিক সম্বন্ধ স্থাপন করিতে পারিতেন, অধুনা বৈশ রাজপুতগণও সেইরূপ সোলংখি, চৌহান, রাঠোর প্রভৃতি রাজপুতগণের সহিত সম্বন্ধ স্থাপন করিতেছেন, কিন্তু অগরালগণ পূর্বকাল হইতেই প্রধানতঃ বাণিজ্যাদি কৰ্ম্মে লিপ্ত থাকায় এবং রাজপুতসমাজে নানাবণের সমাবেশ লক্ষ্য করিয়া তাহারা বৰ্ত্তমানকালে অনেকটা স্বাতন্ত্র্য অবলম্বন করিয়াছেন। এই কারণে র্তাহারা বর্তমান কালেও প্রকৃত ও বিশুদ্ধ বৈশ্বসন্তান বলিয়া রেহণ কবিতে কুষ্ঠিত নহেন। পশ্চিমাঞ্চলে ঠাহারা অমাবধি অনেকটা স্বাতন্ত্র্য রক্ষা করিয়া চলিতে সমর্থ হইলেও বঙ্গদেশে কিন্তু উভয় শাখাই এক হইয়া নিয়ছে। বঙ্গদেশে এই মিলিত বৈশ্বাসমাজ সাহা’ বা ’মা’ নামে অভিহিত । আবার বঙ্গের স্থানে স্থানে 'সেলুক’ নামে এবং শ্ৰীহট্ট অঞ্চলে ‘সাউ নামেও পরিচিত। পূর্বে অগরবাল বৈশ্বজাতীয় তামোলীবংশের যে কুলপরিচয় উদ্ধত করিয়াছি, তৎপাঠে অবগত হইয়াছি যে, তাহদের পূর্বপুরুষগণ মৌর্য্যসম্রাট অশোকের সময় পাটলিপুত্রে ও পরে তাম্রলিপ্তে আসিয়া হp করেন। উত্তরপশ্চিমপ্রদেশে অগরবাল বৈশ্যসমাজে অতি পূৰ্ব্বকাল হইতে সহ’ ও ‘সাহি উপাধি চলিয়া আসিতেছে। দিল্লীশ্বর আকবরের প্রিয়সচিব অগরবাল (১) অনেকে এই ‘সাহ’ শব্দ মুসলমানী উপাধিজ্ঞাপক মনে করেন, কিন্তু “সাহ৷”