পাতা:বঙ্গের জাতীয় ইতিহাস (ব্রাহ্মণ কাণ্ড, প্রথমাংশ).djvu/১৯৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ծ ՊԵ ৰঙ্গের জাতীয় ইতিহাস হইবারই অধিক সম্ভাবনা। এই দুই কারণেই বল্লালসেন শ্রোত্রিয়ে কন্যাদান নিষেধ ও শ্রোফি কন্যা গ্রহণের বিধি প্রবর্তন করিয়াছিলেন। পাছে কুলীনগণ কুলীনকন্ত গ্রহণ না করিয়া কেৰল শ্রোত্রিয়ের কন্যা গ্রহণ করিতে থাকেন এবং তাঁহাতে পাছে ভবিষ্যতে কুলীনক দ্যার পাত্রাভাৰ ঘটে, এই কারণেই পরিবর্ত-বিধির প্রবর্তন। এই বিধির অনুশাসনে কুলীনপুত্র কুলীনকন। থাকিতে শ্রোত্রিয়ের কন্যা বিবাহ করিতে পারিতেন না । কারণ তিনি জানিতেন, আজ যদি আমি কুলীনকন্যা বিবাহ না করি, কাল আমার কন্যা অপরে গ্রহণ করিবে না। তাছাতে আমার কুল অপবিত্র হইবে । এ উচ্চ সন্মান আর থাকিবে না।’ এই কারণে কোন সময়ে কুলীনের অভাব হইত না। কুলাচাৰ্য্যগ্রন্থে কুলীন-সমাজের পূৰ্ব্বতন অবস্থা পাঠ করুন, বিশুদ্ধ কুলীন গণের মধ্যে কোথাও পাত্রাভাবে কুলহানির কথা পাইবেন না । কুলীনগণের বংশবিস্তারের সহিন্ত নানা স্থানে বাসহেতু র্তাহীদের মধ্যে অবস্থা, প্রকৃতি ও বিদ্যা-ব্রাহ্মণ্যাদি অনুসারে গুণ-দোষ, কুলাচাৰ্যনিয়োগের পর্যালোচনা, নিদোষ-বংশাবলী-রক্ষা, পত্রিপাত্রী-নির্ণয় ও কুলক্রিয়া উদেষ্ণু সুসম্পন্ন করাইবার জন্তই বল্লাল সুপণ্ডিত ও নিলোভী কুলাচার্য নিযুক্ত করেন। যত দিন সেনরাজগণের আধিপত্য ছিল, যত দিন কুলীনদিগের মধ্যে কোন অভাব উপস্থিত হয় নাই, যত দিন তাহারা নিৰ্ব্বিরোধে স্ব স্ব ধৰ্ম্মকৰ্ম্ম ও বিশুদ্ধ কূলরক্ষা করিয়া আসিতেছিলেন, যত দিন কুলাচার্যাগণের হৃদয়ে স্বার্থপরতা ও বিদ্বেষবুদ্ধি স্থান পায় নাই, ততদিন কুলীন-সমাজের অধঃপতনের স্বত্রপাত ঘটে নাই, ততদিন কুলীনগণ স্ব স্ব কুন ধৰ্ম্মরক্ষা করিয়া উন্নতির পথে অগ্রসর হইতেছিলেন । ১১২• শকে গৌড়ে মুসলমান-আধিপত্য বিস্তুত হইয়াছিল বটে, কিন্তু শতাধিক বর্ষ পর্যন্ত হিন্দুসমাজে তাহার প্রভুত্ব-বিস্তারে সমর্থ হন নাই। এক হাতে কোরাণ ও অপর হাতে তর বারি লইয়া ইসলাম-ধৰ্ম্ম-প্রচারে অগ্রসর হইলেও তাহারা অধিকারভুক্ত হিন্দুসমাজের হৃদয় অধিকার করিতে সমর্থ হন নাই। তখনও পূর্ববঙ্গে হিন্দুরাজগণ স্বাধীনভাবে রাজত্ব করিতেছিলেন, স্বধৰ্ম্মানুরাগী কুলীন ব্রাহ্মণগণ তখনও তাছাদের উৎসাহে বিপথগামী হন নাই। বিশেষতঃ দিল্লীশ্বরের অনুগ্রহভাজন গৌড়ের শাসনকৰ্ত্তার অন্তর্বিবাদে সকলেই প্রায় ব্যস্ত ছিলেন। কোন শাসনকৰ্ত্তাই নিরাপদে 'ও নিশ্চিন্তভাবে শাসনকার্য নিৰ্ব্বাহ করিতে পারেন নাই। ঘরে বাহিরে শক্ৰকর্তৃত্ব এই আছে, এই নাই, আজ যে পর বিশ্বাসী, কাল সেই আবার বক্ষে ছুরি বসাইতেছে! এই গোলে পড়িয়াই উহার প্রথমত: বিজিত অধীনতাপাশবদ্ধ প্রজাসাধারণের হৃদয় অধিকার করিতে সমর্থ হন নাই । দুই এক জন স্বার্থপর চাটুকার ব্যতীত কেতই স্বেচ্ছাক্রমে মুসলমানসমাজে মিশিতে চায় নাই। কিন্তু বর্চ দিন পরে যখন পুৰ্ব্ববঙ্গ মুসলমানের অধীনতাপাশে আবদ্ধ হইল, স্বাধীন সেনরাজ্য যখন গ্রকৃত প্রস্তাবে বিলুপ্ত হইল, বিধৰ্ম্মীর অত্যাচারে ধৰ্ম্মনিষ্ঠ ব্রাহ্মণগণ পূৰ্ব্ববঙ্গ পরিত্যাগ করিয়া জাবার যখন রাঢ়দেশে আসিয়া আশ্রয় লইতে লাগিলেন, তখন হইতেই ব্রাহ্মণসমাজের অধঃপতন स्त्रीत्वच्च श्झेश ।