পাতা:বঙ্গের জাতীয় ইতিহাস (ব্রাহ্মণ কাণ্ড, প্রথমাংশ).djvu/৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

'a& বঙ্গের জাতীয় ইতিহাস সপ উবাচ । যদি তে বৃত্তত্তো রাজন ব্রাহ্মণ প্রসুনীক্ষিতঃ। বৃথা জাতিস্তদা ঝুন কৃতির্যাবর বিদ্যতে । যুধিষ্ঠির উবাচ। জাতিরত্র মহাসপ মনুষ্যত্বে মহামতে । সঙ্কল্পাৎ সৰ্ব্ববর্ণনাং দুষ্পরীক্ষ্যেতি মে মতি: | সৰ্ব্বে সৰ্ব্বাস্বপত্যানি জনয়ন্তি সদা নরাঃ । ৰাত্মিথুনমথে জন্ম মরণঞ্চ সমং মৃণাম্ ॥ ভাবমুদ্রগমে হেষ যাবদ্বেদে ন জায়তে।" সৰ্প কহিল, হে যুধিষ্ঠির । তোমার কথাতেই আমি বুঝিয়াছি, তুমি বুদ্ধিমান। আমায় বল কে ব্রাহ্মণ ? আর জানিবারই বা কি আছে ? যুধিষ্ঠির কহিলেন, নাগরাজ ! স্মৃতির মতে সত্য, দান, ক্ষম, শীল, নির্দোষ, তপ এবং ঘৃণা, যাহাতে দেখা যায় সেই ব্রাহ্মণ। দুঃখস্থখলজ্জিত ব্ৰহ্মই জানিবার জিনিষ, যে ব্ৰহ্মপদ প্রাপ্ত হইলে আর শোক করিতে হয় না । তোমার আর কি বলিবার আছে ? সপ বলিল, চারি বর্ণের পক্ষে বেদই একমাত্র প্রমাণ ও সত্য বলিয়। গ্রাহ । শূদ্রে ও সত্য, দান, অক্রোধ, আনৃশংস্ত, অহিংসা এবং ঘৃণা দৃষ্ট হয় । আর সুখদুঃখবর্জিত বস্তুকে বেদ্য বলিয়া নির্দেশ করিলে, কিন্তু সুখদুঃখহীন কোন বস্তু আছে, তাহ বোধহয় না। যুধিষ্ঠির কহিলেন, কোন শূদ্রে যে যে লক্ষণ আছে, দ্বিজেও সেই সেই লক্ষণ অাছে বটে। এরূপস্থলে শূদ্রবংশ হইলেই যে শূদ্র এবং ব্রাহ্মণবংশ হইলেই ব্রাহ্মণ বলা যাইতে পারে না । যে ব্যক্তিতে বৈদিকচারাদি দৃষ্ট হয়, সেই ব্রাহ্মণ ; যাহাতে তাহা নাই, তাহাকে শূদ্র বলিয়া নির্দেশ করা যায়, আর তুমি যে বলিলে, সুখদু:খহীন কিছুই জানিবার নাই, এরূপ বোধ হয় বটে। কিন্তু যেমন শীত ও উষ্ণ মধ্যে উষ্ণকে শীতল বল। যাইতে পারে না, সেইরূপ কোন বস্তুই সুখদুঃখহীন হইতে পারে না । আমারও এই ধারণা। তুমি কি বিবেচনা কর ? সপ কহিল, রাজম্‌ ! যদি বৃত্তি কনুসারেই ব্রাহ্মণ হইল, তবে সে রুতি ন হইলে তাছার জাতি (জন্ম ) বৃথা। যুধিষ্ঠির কছিলেন, হে মহাসর্প ! এই মনুষ্যজন্মে সকল বর্ণের সঙ্করত্ব হেতু জাতিনির্ণয় করা অতি কঠিন। সকল বর্ণের লোকেরাই সকল বর্গের গ্রীতে সস্তান উৎপাদন করিতেছে। সকলের ভক্ষ, সকলে র মৈথুন, সকলের জন্মমৃত্যু