পাতা:বিশ্বকোষ চতুর্দশ খণ্ড.djvu/১৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ত্ৰি মন্দির [ ১৭১ ] মন্দির মন্দারু ( w) बलान्। | ( উজ্জ্বল অ, •8) আসপ্তম পিতৃকুলং তথ্য মাতৃকুল नद्र६ ।। মন্দাকীয়, অযোধ্যার রাজপুত সম্প্রদাবিশেষ্ণ কাহারও মতে, ইহাদের আদিপুরুষ কৃষ্ণসিংহের অধিকৃত মণ্ডলগ্রাম হইতে এবং কাহারও মতে, আদি পুরুষের মধ্যে মন্দর শা নামক কোন এক ব্যক্তির নামানুসারে মনাৰ্কীয় নাম হইয়াছে। ইহাদের মধ্যে কতক হিন্দু আছে এবং কতক শেরশার সময় মুসলমানধৰ্ম্মে দীক্ষিত হইয়াছে । भन्माणु (क्लो) बैंक्रयाश्रम् बश्ना९। गञ्ज । মন্দিকুকুর (পূ) মৎস্যবিশেষ। মন্নিকুকুড় পাঠান্তর দৃষ্ট হয়। মন্দিন (ত্রি) ১ মদকর। হরিং যন্তে মন্দিনং চুক্ষন বুধে” (ঋকু ১১২১৮) ‘মন্দিনং মদকরং' (সায়ণ) ২ হর্ষযুক্ত। “এমেনং স্বজত মুতে মন্দিমিশ্রায় মন্দিনে।” (ঋক্ ১৯২ ) ‘মন্দিনে হৰ্ষযুক্তায়’ ( সায়ণ) মন্দিনিস্পৃশ, ত্রি ) হর্ষজনক গোমস্পর্শকারী। মন্দির (ক্লী) মন্দ্যতে স্বপ্যতে বা স্ত,য়তেৎত্র মদিঙ, স্বপনে স্বতে ইতি মদিও কিরচ, (ইষিমদিমুদীতি। উগ, ১ । ১৫২ ) গৃহ। কেহ কেহ স্বপন, জাড্য, মদ শুতি, গতি বা নামার্থে মদিঙ, উত্তর ইর প্রত্যয় করিয়া মন্দির শব্দের সাধনপ্রণালী নিরূপণ করিয়াছেন। অমরটীকায় ভরত উল্লেখ করিয়াছেন ;--অরণের মতে নগর, পুর ও মন্দির তিন শব্দই পুং ও ক্লীবলিঙ্গ মধ্যে গণ্য । ইহার স্ত্রীলিঙ্গের রূপ মন্দির। যথা—“মন্দিরায়াস্বপ্নাৰানিতি মধুমুকুটাদয়ঃ ।” মন্দির শব্দে সাধারণতঃ কোন দেব বা দেবীর আয়তন বুঝা যায়। প্রাচীন বহু পুরাণ ও ধৰ্ম্মশাস্ত্রাদিতে এই দেবমন্দিরের নিৰ্ম্মাণ, প্রতিষ্ঠ, ও তজ্জন্ত অশেষ ফলের বিষয় উল্লিখিত হইয়াছে। ভগবানের মন্দির-নিৰ্ম্মাতার যে কত ফল ও কত পুণ্য উপার্জিত হয়, তাহ অনেক পুরাণেই কীৰ্ত্তিত। বামনপুরাণ বলেন,—যিনি বিষ্ণুর মন্দির নিৰ্ম্মাণ করান, তাহার পবিত্র নিত্য লোক সকল নিত্যই করায়ত্ত । তিনি ইচ্ছামুসারে বিবিধ ভোগমুখের অধিকারী হইয় থাকেন। র্তাহার আপনার সহিত সপ্তম পুরুষ পৰ্য্যন্ত নিজ পিতৃ ও মাতৃকুল উদ্ধার হয়। পিতৃগণ সৰ্ব্বদা ভগবান হরি ও মহাপুরুষগণের নিকট এই বিষাদগান গাহিয়৷ থাকেন,—হায়! আমাদিগের কুলে কখন কি কোন বিষ্ণুভক্ত পুরুষ জন্মিবে অথবা কেছ কি কখন শুদ্ধাচারে থাকিয়া হরির মন্দির নিৰ্ম্মাণ কাৰ্য্য শেষ করিবে ? “যঃ কারয়েন্মন্দিরং কেশবস্ত পুণ্যান লোকান স জন্নেছাশ্বতান ৰৈ। 縣 দৰাবাসা পুষ্পফলাভিপয়ান্‌ ভোগান ভুঙক্তে কামতঃ শাম্বনীয়াং ॥ তাৱয়েদাত্মন সাৰ্দ্ধং বিষ্ণুমন্দিরকারকঃ ॥ ইমাশ্চ পিতরে দৈন্য-গাথ গায়ন্তি যোগিন । পুরতে যত্নসিংহস্ত হনঘস্ত তপস্বিনঃ ॥ অপি নঃ স্বকুলে কশ্চিদ্বিধুভক্তে ভবিষ্যতি । হরিমন্দিরকর্তা যো ভবিষ্যতি গুচিব্ৰত: ॥” অগ্নিপুরাণ বলেন,—যাহার হরির মন্দিয় নিৰ্ম্মাণ করিব বলিয়া মনে মনে সতত ধারণ করেন, তাহারা পুৰ্ব্বতন শত জন্মকৃত পাপ হইতে মুক্ত হন, আর ধিনি মন্দির নির্মাণ করাইয়া দেন, তাহার সম্বন্ধে ত কথাই নাই। তিনি ভূত ও ভবিষ্যতেরও অযুত কুল পর্য্যন্ত বিষ্ণুলোকে উপনীত করিয়া থাকেন। 钴 এইরূপ বিষ্ণুধৰ্ম্মোত্তরের তৃতীয় কাণ্ডেও ভগবানের মন্দিরনিৰ্ম্মাতার রাজস্বয় ও অশ্বমেধ যজ্ঞের তুল্য ফলপ্রাপ্তির কথা উল্লিখিত হইয়। পরে কিরূপ মন্দির করিলে কি পরিমাণ পুণ্য লাভ হয়,তদ্বিষয়ে এইরূপ লিখিত হইয়াছে। মন্দির—মুত্তিকা, দারু, প্রস্তর, লোহ, তাম্র, রৌপ্য, সুবর্ণ ও অন্তান্ত চিত্র বিচিত্র রত্ন দ্বারা প্রস্তুত হইয়া থাকে, তবে যিনি মৃত্তিক দ্বারা নিৰ্ম্মাণ করান, তাহার পুণ্যফল অপেক্ষ দারু দ্বারা মন্দির-নিৰ্ম্মাতার শতগুণ অধিক পুণ্য লাভ হয় । এইরূপে উপাদানের উৎকর্ষীমুসারে উত্তরোত্তর শত গুণ করিয়া অধিক পুণ্য লাভের উল্লেখ আছে । স্বাদ, নারসিংহ, হয়শীর্ষ ও বিষ্ণুরহস্ত প্রভৃতি অনেক ধৰ্ম্মগ্রন্থে বিষ্ণু-মন্দিরনিৰ্ম্মাণে এইরূপ বহুবিধ ফলপ্রাপ্তির বিষয় উল্লিখিত অেেছ। মণিায় নিৰ্ম্মাণের কাল । দেবমন্দিয় নিৰ্ম্মাণ করিতে হইলে শাস্ত্রনির্দিষ্ট শুভাশুভ কাল বিবেচনা করিয়া সে বিষয়ে প্রবৃত্ত হওয়া উচিত । শুভ কাল না দেখিয়া এইরূপ কার্য্যে প্রবৃত্ত হইলে অনেকের ভাগ্যে এই শুভ উদ্দেশু সিদ্ধি হইতে বিলম্ব ঘটে এবং কাহারও বা একেবারেই উদ্দেশু সফল হয় না ; অধিকন্তু ফলে ইহার আরস্তে ও অবসানে নানারূপ বাধা বিঘ্ন আসিয়া উপস্থিত হয়। মাস —মৎস্যপুরাণের মতে ৰৈশাখ, আষাঢ়, শ্রাবণ, কাৰ্ত্তিক, অগ্রহায়ণ, মাঘ ও ফাঙ্কন এই কয়ট মাসই মন্দিরনিৰ্ম্মাণের প্রশস্ত কাল এবং এই উল্লিখিত কয়েকট মাসের যে কোন মাসে মরিনিৰ্ম্মাণকাৰ্য্য সমাধা করিলেই মন্দিয়নিৰ্ম্মাতা একটা না একটী শুভ ফল প্রাপ্ত হইয়া থাকেন ।