পাতা:বিশ্বকোষ চতুর্দশ খণ্ড.djvu/৪৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহিম্বর শিলালিপি, তাম্রশাসন, রাজবংশচরিত্ৰাখ্যান, পাশ্চাত্য ভৌগোলিক টলেমীর বৃত্তান্ত ও মুসলমান ইতিহ্লাস পাঠে আমরা দাক্ষিণাত্যের রাজবংশসমূহের যে ইতিবৃত্ত সংগঠন করিয়াছি, তাহার আলোচনা করিলে বুঝা যায় যে, অতি প্রাচীনকালে কাদম্ববংশীয় নরপতিগণ ১৪শ শতাব্দ কাল উত্তর মহিমুরে শাসন বিস্তার করিয়াছিলেন । বনবাসিনগরে র্তাহাদের রাজধানী ছিল। এই সুদীর্ঘ শাসনে তাহার। মহিমুর রাজ্যকে কিরূপ সমুদ্ধিতে পুর্ণ করিয়াছিলেন তাহার কোন সবিশেষ প্রমাণ পাওয়া যায় না । পরবর্তিকালে তাহারা চালুক্যরাজগণের অধীনতা স্বীকার করেন। { কাদম্বরাজবংশ দেথ । ] যে সময়ে কাদম্বগণ মহিমুরে রাজ্যপ্রভাব বিস্তার করিয়াছিলেন, ঠিক সেই সময়ে কোয়স্বাতোর ও সমগ্র দক্ষিণ-মহিস্বরে গঙ্গ বা কোঙ্গু-(মতান্তরে চের )-বংশীয় রাজস্যগণ রাজ্যবিস্তার করিয়াছিলেন। প্রথমে কড়র নগরে ও তৎপরে কাবেরীতারব ত্তী তালকড় নগরে তাহদের রাজধানী স্থাপিত হইয়াছিল। খৃষ্টীয় ৯ম শতাম্বে চোলরাজগণের অভু্যদয়ে কোঙ্গুবংশের অধঃপতন ঘটে। শিলালিপি পাঠে জানা যায় যে, গঙ্গবংশীয় পুৰ্ব্ব নরপতিগণ জৈনধৰ্ম্মাবলম্বী ছিলেন। খৃষ্টায় ২য় অন্ধে জৈনধৰ্ম্ম পরিত্যাগ করিয়া তাহার। সনাতন হিন্দুধৰ্ম্মের আশ্রয় গ্রহণ করেন। পুৰ্ব্ব-মহিম্বরে স্বপ্রাচীন পল্লববংশীয় রাজগণ রাজত্ব করিড়েন । তাহারা খৃষ্টীয় ৭ম শতান্ধে চালুক্যরাজগণের নিকট পরাভূত হহলেও খৃষ্টীয় ১০ম শতাব্দ পর্য্যস্ত শক্রপুঞ্জের প্রতিদ্বন্দ্বিতাচরণ করিতে বিরত হন নাই । চালুকগণ খৃষ্টীয় ৪র্থ শতান্ধে এখানে আসিয়া প্রভাব বিস্তার করেন । পুণপ্রতাপে রাজ্য শাসন করিয়া একটা বিস্তীর্ণ সাম্রাজ্য gাপন করিয়াছিলেন। শেষোক্ত শতাকে বল্লালবংশীয় সর্দারগণ চালুক্যরাজকে পরাভূত করিয়া তাহার রাজ্য অধিকার করিয়া লন । চোল ও কলচুরিবংশীয় নরপতিগণ এখানে অতি অল্পকালই রাজত্ব করিয়াছিলেন। এই হোয়শাল বল্লালবংশীয় নরপতিগণ জৈনধৰ্ম্মাবলম্বী, বার ও উন্নতচেত ছিলেন। তাহার। বৰ্ত্তমান সীমান্তভুক্ত সমগ্র মছিমর প্রদেশ এবং কেীয়ম্বাতোর, সালেম, ধারবাড় প্রভৃতি রাজ্যের কতকাংশ অধিকারপূর্বক শাসনকাৰ্য্য পরিচালনা করিতেন । ১৩১৯ খৃষ্টাব্দ পর্য্যস্ত তাহার। দ্বারসমুদ্রে (দ্বারকাৰতাপত্তন বৰ্ত্তমান হলেৰীড়) রাজপতাকা উওর্টান করিয়াছিলেন । উক্ত বর্ষে দিল্লীশ্বর আলাউদ্দীনের L. 89-8 ) খৃষ্টীয় ১২শ শতাব্দ পর্য্যস্ত তাহার এখানে । মহিত্যুর বিখ্যাত মুসলমান-সেনানী মালিক কাফুর দাক্ষিণাত্যবিজয়ে আসিয়া বল্লালরাজকে পরাভূত ও বন্দী এবং তাহার রাজ্য লুণ্ঠন করেন। উহার ১৬ বর্ষ পরে মহম্মদ তোগলক-প্রেরিত মুসলমান সেনাদল দ্বারসমুদ্র বিধ্বস্ত করিয়াছিল। এখনও হোয়শালেশ্বরের শিল্পমণ্ডিত দেবমন্দির প্রাচীন সমৃদ্ধির পরিচয় দিতেছে । এতদ্ভিন্ন ক একটা জৈন ও হিন্দুমন্দির প্রাচীন জৈন ও হিন্দুযুগের প্রাধান্ত ঘোষণা করিতেছে। হোয়শাল-বল্লালবংশের অবনতির সঙ্গে সঙ্গেই দাক্ষিণাত্যে তুঙ্গভদ্রাতীরবর্তী বিজয়নগরে আর একটা হিন্দু রাজবংশের অভু্যখান হয়। ১৩৩৬ খৃষ্টাব্দে বরঙ্গলরাজের হুঙ্ক ও বুদ্ধ নাম দুই জন প্রধান কৰ্ম্মচারী বিজয়নগরে আসিয়া রাজপাট স্থাপন করে। হক হরিহর নাম গ্রহণপুৰ্ব্বক সিংহাসনে উপবিষ্ট হন । তৎপ্রতিষ্ঠিত এই রাজবংশ ‘নরসিংহ”-বংশ নামে প্রসিদ্ধ হইয়াছিল। মুসলমান বাহ্মণী রাজবংশ এই হিন্দুরাজবংশের চিরবিরোধী ছিল । ১৫৬৫ খৃষ্টাব্দে দাক্ষিণাত্যের প্রসিদ্ধ শাহী-বংশচতুষ্টয় একত্র হইয়। বিজয়নগরাধিপ রামরাজকে তালিকোটের যুদ্ধে পরাজিত ও নিহত করেন। তাহার ংশধরগণ হানপ্রভ হইলে ও দক্ষিণে পলাইয়া গিয়া পেচুকোও ও পরে চন্দ্রগিরিতে আসিয়া রাজপাট স্থাপন করেন। এখানে থাকিয় তাহারী কিছুকালের জন্ত বিজেতা মুসলমান রাজগণের প্রতিপক্ষতাচরণ করিয়াছিলেন । পেমুকোণ্ডার নরসিংহ-বংশের শেষ নরপতির শাসনপ্রভাব হ্রাস হইয়া আসিলে, স্থানীয় পলিগার-সর্দারগণ বিদ্রোহাচরণ করিয়া স্বাধীনতা অবলম্বনে প্রয়াসী হয় । এই সময়ে দক্ষিণমহিমুরের উদৈয়ারগণ, উত্তরে কেলডার নায়কগণ, পশ্চিম বলমের ( মঞ্জরাবাদ ) নায়কগণ এবং চিত্তলযুগ ও তারিকেরের বেদর-সর্দারগণ এক যোগে ১৬১০ খৃষ্টাব্দে নরসিংহরাজপ্রতিনিধি তিরুমলের দুৰ্ব্বলতায় উৎসাহিত হইয়া রাজা উদৈয়ারের অধিনায়কতায় শ্রীরঙ্গপত্তনদুর্গ আক্রমণ ও জয় করেন। তদবধি মহিমুরে উদৈয়ার-রাজবংশের প্রতিষ্ঠা হয় । ( পুৰ্ব্ব পুৰ্ব্ব রাজবংশের বিবরণ তত্তৎ শব্দে দ্রষ্টব্য । ] উক্ত উদৈয়ার (বোদেয়ার)-রাজ বিজয়রাজ হইতে নবম পুরুষ অধস্তন । প্রবাদ এইরূপ, ভ্রাত কৃষ্ণরাজের সহিত বিজয়রাজ স্বীয় জন্মভূমি সৌরাষ্ট্রান্তর্গত দ্বারকা হইতে ১৩৯৯ খৃষ্টাব্দে দাক্ষিণাত্যে আগমন করেন । ক্ষত্রিয় ছিলেন। বিজয়নগর-রাজবংশের যশোরবি দাক্ষিণাত্য-গগনে পুণপ্রভায় প্রতিভাত হইলে, এই যাদববংশ বীরত্বের পরাকাটা প্রদর্শন করিয়াছিল । * তদন্থসারে রাজtল্পগ্রহে তাহারা দর্গারু ইহারা যাদববংশীয়