পাতা:বিশ্বকোষ প্রথম খণ্ড.djvu/১০৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

अक्रोधैो [+• ] अछांधैौ بـــتمـــــــــــی قمنافسة. يع. দেয়। পুচ্ছের শাদা পাখা, শাদার উপর কাল রঙের জাজি দেওয়া,—তাহাই অঙ্গামীদের অধিক প্রিয়। মনে ধরিলে তাহার একটা পালক আট আনা দিয়া ক্রয় { করে। কিন্তু পোষাকের রুচি সকলের সমান নয় । কেহ কেহ কেবল বাউরী কাটিয়া ফুরফুরে চুল উড়াইয়া দেয়, মাথায় কোন রকম বেশভূষা পরে না। কেহ বা তালু কের লোমে মালা করিয়া মাথায় জড়াইয়া রাখে। কানের ভূষণও অনেক। তাহার মধ্যে কর্ণফুলটাই সকলে অধিক ভাল বাসে। এই ফুলে বেশ একটু কারিগরি অাছে। প্রথমে লাল পশমের ছোট থোবা! থোবার চারি পাশে ছোট চামরের মত ছাগ লোমের ঝালর । মধ্যস্থলে সবুজ পোকার পালক, পরকোলার মত লাগানো। থালকের ধারে ধারে শাদা বীজ মুক্তার মত সাজানো থাকে। ফুলের বোট কানের পশ্চাতে ধনশূকরের ধাতে আঁটিয়া দেওয়া। ট্রাতের গোড়ায় নানা বর্ণের বেত দিয়া কাজ করা। অনেকে র্কাসার মাকড়ী, কাপাসের গোছা এবং পার্থীর পালকও কানে পরিয়া থাকে। কণ্ঠভূষণের মধ্যে হাড়ের মালা ; অর্কীক, কাচ, শাখ এবং কড়ীর মালাই অধিক চলিত। বাহুতে হাতীর দাতের পদক কিম্বা বেতের তাড়। হাটুর নিয়ে বিচিত্র বেতের মল ৷ অবিবাহিতা বালিকার চুল রাখে না, সমস্ত মাথা পরিষ্কার করিয়া কামার। বিবাহের পর তাহারা চুল রাখিয়া দেয় ; একটু বড় হইলে তাহাতে খোপা বাধে । স্ত্রীলোকদের গলার অলঙ্কার প্রায় পুরুষদের মত। কুমারীর কানে শাখের পাশ পরে। বিবাহিত স্ত্রীলোকদের কানে মাকড়ী এবং বাহুতে র্কাসার অলঙ্কার। অঙ্গামীদের নিজের অস্ত্র কেবল দা ও বর্শা। ইদানীং তাহারা অনেকগুলি বন্দুক পাইয়াছে। কাহার হাতে বন্দুক কি পিস্তল দেখিলে তাহা লইবার জন্য প্রাণপণে চেষ্টা করে। সহজে না পাইলে চুরি করিবার উপায় দেখে। যখন ইহার রণসজ্জায় দল বাধিয়া বাহির হয়, সে সময়ের দৃপ্ত অতিশয় ভয়ঙ্কর। সৰ্ব্বাঙ্গ অস্ত্রশস্ত্রে | ও নানা প্রকার বেশভূষায় মুসজ্জিত , তাহার ঘন ঘন গম্ভীর চীৎকার করে। তখন চারিদিক শিহরিয়া উঠে, পৰ্ব্বত দুলিতে থাকে; ৰমুমতি বুঝিতে পারেম যে, বুকের । উপর দিয়া বীর পুরুষ স্থাটিতেছে । ইহাদের বর্শা মনা ময় । নিকটে কাহাকেও আঘাত । করিলে প্রায় নিষ্ফল হয় না। বর্শায় ফল প্রায় এক হাত হইতে দেড় হাত লম্বা, তিন চারি অঙ্গুলি প্রশস্ত। তিন চারি হাত লম্বা হস্কার মাথায় সেই ফল লাগানো থাকে। হস্কার উপরে বিচিত্র লোম জড়ানো এবং তাহার অন্য ডগায় লোহার সরু ফল আঁটা । মাগার ভুলিয়াওঁ কখন বক্রভাবে বর্শা ঠেসাইয়া রাখে না । যে রূপেই রাখ, হস্কাটী সোজা থাক চাই। ইহাদের ঢালের কাঠাম তক্ত ও বাশে নিৰ্ম্মিত, তাহার উপর হাতীর কিম্ব বাঘের চৰ্ম্ম দিয়া ঢাকা । ঢালের উপরের দুই কোণে বেতের শিং বাহির করা, সেই শৃঙ্গের অগ্রভাগ চুলের গোছ দিয়া সুসজ্জিত। ঢালের নিম্নভাগ সরু । দুই পাশে এবং মধ্যস্থলে শাদা, কাল, নীল এবং রক্তবর্ণ পশম ও পালক। নাগাদের কৃষিকার্য্যের অস্ত্র দা, কুঠার এবং কোদাল ; ইহাতেই তাহারা সকল কাজ সম্পন্ন করিতে পারে। অঙ্গামীদের কোন দ্রব্যে বিতৃষ্ণ নাই। জগতে যাহা কিছু মড়িয়া বেড়াইতে জানে, নাগার তাহাই বেশ রুচিপূৰ্ব্বক ভোজন করে। কুকুরের মাংস যেমন সুখাদ্য তেমমি সৎপথ্য। সিদ্ধ করিয়৷ থাইলে শরীরে কোন ব্যাধি থাকে না । কিন্তু যে জাতি এত নিৰ্ব্বিকার, তাহাদের মুখে দুগ্ধ কেন রুচে না, বলিতে পারি না। দুধের বাট মুখের কাছে ধরিলে তাহার ওয়াক তুলিয়া সারা হয়। অঙ্গামীরা কখন এক স্ত্রীর বর্তমানে অন্ত কাহাকেও বিবাহ করিতে পারে না । কিন্তু স্ত্রী মনে করিলে স্বামীকে ছাড়িতে পারে, স্বামীরও ইচ্ছা হইলে পত্নীকে ত্যাগ করে। তখন কাহারও আর পুনর্বিবাহ করিতে আপত্তি থাকে না। ইহাদের বিবাহ বরকন্যার ইচ্ছাতেই হয়। উভয়ের মন মিলিয়া গেলে বাটীর কর্তার আপত্তি করেন না। তবে, আবস্তক হইলে তাহারা সৎপরামর্শ দিতে পারেন। বিবাহে ও শ্রাদ্ধাদি ক্রিয়াকলাপে উদর পুরিয়া মদ্য মাংস ভোজন ভিন্ন অন্ত ঘটা কিছুই নাই। পিতার মৃত্যুর পর পুত্রের পৈতৃক বিষয় সমান অংশ করিয়া যায়। বাড়ীট কেবল কনিষ্ঠ পুত্রের থাকে, তাহাতে অন্য ছেলেদের সত্ত্ব নাই। বাটীর বিধবা স্ত্রীলোকেরা যাবজ্জীবন খাইতে পরিতে পায়,কিন্তু নিজের বস্ত্ৰালঙ্কার ভিন্ন অল্প কোন সম্পত্তির অংশ পায় না। স্ত্রীপুরুষের মধ্যে বিচ্ছেদ ঘটিলে পরিত্যক্ত স্ত্রী সমস্ত বিষয়ের তিন ভাগের এক ভাগ অংশ পায় । ত্যক্ত স্ত্রীর অপোগণ্ড সস্তান থাকিলে কিছুকাল সে মায়ের কাছে থাকে, বড় হইলে পিত্রালয়ে ফিরিয়া জানে। -