পাতা:বিশ্বকোষ প্রথম খণ্ড.djvu/২০৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

पञाँग्न धकों • Fr -- | bుషి ] আবার প্লাম্বা কত ? স্ত্রীলোকের রাত্রি দিন কেবল | আপনাদের রূপের গরিমাতেই ভারী হইয়া থাকে। পৰ্ব্বতের উচ্চ ছুরারোহ স্থানে ইহাদের ঘর। পাহাড়ে উঠিতে বিশেষ অভ্যাস না থাকিলে তেমন স্থানে কেহই সহজে যাইতে পারে না । পুরুষের প্রায় সকলেই বিবস্ত্র । কাপড় পর—সে কেবল ইচ্ছার কাজ । কখন মন হইল ত একবার একখানি কৌপীন পরিল। মন হইল না,—তাহাতেই সুখী। স্বভাব যেমন গড়িয়াছেন তেমনি বিবস্ত্র হইয়া থাকিল। কিন্তু স্ত্রীলোকদেয় গায়ে একটা করিয়া জামা থাকে। জামাট ছোট ; তাহাতে হাটু পর্য্যস্তও ঢাকা পড়ে না । সস্তান জন্মিলে পর তাহার। বক্ষঃস্থল খুলিয়। স্তন বাহির করিয়া রাখে। ইহার ততটা অলঙ্কারপ্রিয় নহে, তবু ছোট ছোট কড়ী, পাথর প্রভৃতি অযত্নস্থলভ ভূষণ দিয়া অঙ্গের সাজ করে। তুঙ্গথীদের যাবতীয় গৃহকৰ্ম্মের ভার স্ত্রীলোকের হাতে। তুঙ্গথার একটর অধিক বিবাহ করে না। অসভ্য হউক, পাহাড়ে বিবস্ত্র হইয়া থাকুক্‌—সে কথা ধরি না ; কিন্তু প্রেম হৃদয়ের একটা হান্ধী সামগ্রী নয়, মনে মনে, গাঢ় রূপে প্রাণে প্রাণে মিশিয়া থাকিতে হয়, সে সুখের দাম্পত্যভাব তাহার বেশ বুঝে । পতি পত্নীর, পত্নী—পতির ; এক জনের বঁাচনে দুজনে বঁাচে, একমরণে দুজনে মরে, এই পবিত্র ভালবাসাটুকুতাহারা বেশ জানে। তেমন পণ্ডয় মত হৃদয়ে এমন স্বৰ্গীয় সুথ কোথা হইতে আসে ? আসিবার অনেক কথা আছে। তাঙ্কাদের প্রেম সামান্ত গাইট-ছড়া বাধা হইতে হয় না; সে সাত পাকের বন্ধন নয়। তুঙ্গথা-কন্যাদের গর্ডাষ্টমে বিবাহ নাই, তাহারা অনেক দিন আইবড় থাকে। পলর ষোল বৎসর বয়ঃক্রম হয় ; তখন সেই কুৎসিত অঙ্গেই যৌবনোচিত কেমন একটু লাবণ্য-প্রভা ফুটিয়া উঠে। এই বয়সে আমাদের সভ্যসমাজের অভাগিনী বালিকার দৈবাৎ যে কাজ করিলে কুলে কালী পাড়িয়া জন্মের মত কলঙ্কের পসরা মাথায় করেন, দুষ্কৰ্ম্ম হউক জার স্বকৰ্ম্ম হউক,—তুঙ্গথাদের উত্তরকালের এত দাম্পত্যস্থখ সেই কাজ হইতে। যৌবন দেখা দিলেই বালিকার যুবাপুরুষের সঙ্গে থাকে ; বনে বনে ঘুরিয়া বেড়ায়। ফুল তুলে, মালাগাখে ; আপনি পরে, সঙ্গের বন্ধুর গলায় পরাইয়া দেয়। যে কথা বলিয়াছি, তত, স্বখেয় প্রেম-সঞ্চায় এখানে । একবার দেখি, দুবার দেখি, চক্ষু গুরিয়া সারাদিন দেখি ; আবার স্বাস্থারে আদি স্বৰ্গ । - - ভালবালি, তাহাকে অস্তরে বাহিরে জাগ্ৰত স্বপ্নে দেখিতে পাই । সারাবেল যাহার সঙ্গে থাকি, আমি জানি সে কেমন, সে জানে আমি কেমন ; আমি তারে চাই, সে আমায় চায়, এমন করিয়া মনের সঙ্গে মম যোড়। দিবার ঘটক উভয়ের মন । পিতা মাতার কথায় হাতে হাত ষোড়া দিলে সে মন টুকু মিলে না। তুঙ্গথারা হউক না কেন বমবাসী, কিন্তু আমাদের সমাজে যে প্রথা নাই তাহারই ধে নিমা করিতে হইবে, এ কথার অর্থ কিছু বুঝি না। ভ্রুণহত্য, যথার্থ ব্যভিচার বনবাসীদের ঘরে নাই। প্রশয়, আর জীবিকার জন্তু পুরুষ-সাক্ষাৎ, এ দুটা কথার ভেদ তাহার বেশ বুঝিয়াছে। জামাদের সভ্যদেশের ভিতর জীবিকা লাভের জন্ত দুশ্চরিত্রা বালিকার বাস করিতে ঠাই পায়, এ কথা শুনিলে তাহাদের শরীর রোমাঞ্চিত হয়, অন্তরাত্মা পর্য্যস্ত শিহরিয়া উঠে। তুঙ্গথাদের বিবাহে ধৰ্ম্মানুষ্ঠানের সঙ্গে কিছুই বাধ৷ বাধি নাই। পাত্র কন্যার মন হইলেই বিবাহ হয়। বিবাহের পর স্ত্রীলোকের জগতে পতি বৈ আর কিছুই জানে না । তখন পতিব্ৰত্য কেমন, ভালবাসা কাহারে বলে, সতী সাবিত্রীকেও একবার আসিয়া জানিয়া যাইতে হয়। বিবাহিত বালিকার পরপুরুষের সঙ্গে থাকে না ; উপপতি উপপত্নী—এ সকল কথায় তাহাদের নরকের চেয়েও অধিক ঘৃণা । দৈবাৎ কেহ পরস্ত্রীকে আক্রমণ করিলে তখনি তাহার প্রাণদণ্ড কয়৷ হয় । এই জাতির মধ্যে এমন সুখের দাম্পত্যভাব থাকিলেও তাহার কেনা দাসীর মত স্বামীর কাছে বাধা থাকে না। স্ত্রীলোকের স্বামীর কাছে কষ্ট পাইলে আপনাদের পতিকে ত্যাগ করিতে পারে। কিন্তু পতি পত্নীকে ত্যাগ করিতে হইলে, কিম্বা পত্নী আপনার স্বামীকে ছাড়িতে হইলে নিজ নিজ সম্প্রদায়ের প্রধান ব্যক্তির কাছে অর্থদণ্ড দিতে হয়। অর্থদণ্ড না দিলে দম্পতির মধ্যে ছাড়াছাড়ি হয় না । চট্টগ্রামাদির অনেক অসভ্য পাহাড়ীদের মধ্যে দাসত্ব প্রথা চলিত অাছে। কাহারও ঋণ করা আবশুক ছইলে সে আপনার একটা সন্তান কিম্বা পরিবারের মধ্যে কোন ব্যক্তিকে মহাজনের কাছে বাধা রাখে। খাতককে স্থা লাগে না, সেই বন্ধকী মন্থয্যের কায়িক পরিশ্রমই সুদের তুল্য গণ্য হয়। ঋণ পরিশোধ করিলে বন্ধকী ব্যক্তি স্থাপনার বাটতে ফিরিয়া আসে। কোন