পাতা:বিশ্বকোষ প্রথম খণ্ড.djvu/২০৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

जान मश -- F সাপ রাখিয়া তাছাতে আবস্থলখাকে ফেলিয়া দিয়া তাহার প্রাণবধ করা হইল। রাজা জানিতেন না যে, তাহার সভায় রাক্ষস আসিয়াছে; তিনি আদর করিয়া তাছাকে কল্প সম্প্রদান করিলেন । রাক্ষস দেখিল, অষ্টপ্রহর মানুষের কাছে থাকিতে হয় ; যে দিকে বসি যে দিকে দাড়াই কেবল মানুষের গন্ধ ভর ভর করিতেছে। লোভ ক দিন সম্বরণ করা যায় ? কি জানি কোন দিন কাহাকে থাইয়া ফেলিব ; অতএব এমন স্থান হইতে বিদায় লওয়াই ভাল। এই ভাবিয়া সে শ্বশুরের কাছে বিদায় চাহিল। রাজা অনেক দাস দাসী সঙ্গে দিয়া কল্প ও জামাইকে বিদায় করিলেন। পথের মধ্যে গিয়া মনুষ্য মাংস খাইবার জন্য রাক্ষসটা অত্যন্ত ব্যাকুল হইয়া উঠিল। সঙ্গে রাজকন্ত। রহিয়াছে, সে কিছুই জানে না। পাছে মানুষ খাওয়া দেখিলে ভয় পায়, তাই এক স্থানে ছাউনী করিরা সে স্ত্রীকে বলিল,—“তুমি এই শিবিরে থাক, আমি দুই এক জন অনুচর সঙ্গে লইয়া মৃগয়া করিয়া আসি’। রাক্ষস এই রূপে প্রত্যহ শীকার করিতে গিয়া অরণ্যের ভিতর সঙ্গের অনুচর দিগকে মারিয়া থাইত । রাজকন্যা কোন কথা জিজ্ঞাসা করিলে বলিত যে,—‘বন্য পশুতে তাহদিগকে মারিয়া ফেলিয়াছে। রাক্ষস; দুই একটা করিয়া ক্রমে সকলকেই খাইতে লাগিল,—শেষে বাকি এক জন ভৃত্য। তাহাকেও সঙ্গে লইয়া মৃগয়া করিতে গেল। রাজকন্ত গোপনে সঙ্গে সঙ্গে গিয়া সমস্ত ব্যাপার স্বচক্ষে দেখিলেন। কিন্তু দৈবের অনুগ্রহে তিনি নিজে গ্রাণে প্রাণে বাচিয়া গিয়াছিলেন । [ See captain P. H. Lewin's Wild Races of S, E, India. ] এই গল্পটতেও বেশ জানা যাইতেছে যে, পূৰ্ব্বে আরাকান প্রভৃতি স্থানের অসভ্য লোকের মানুষ খাইত । তুঙ্গথাদের প্রত্যেক গ্রামে এক এক জন করিয়া সর্দার আছে। রাজার মান সন্ত্ৰম অধিক কিছুই নাই ; প্রজার। তাছাকে কেবল এক ঝুড়ী শস্ত ও এক কলসী পচাই মদ দেয়,--ইহাই তাহার রাজস্ব। আরও একটা মানের কাজ আছে। যুদ্ধ হইলে সর্দারকে লুঠের অংশ বেশী করিয়া দিতে হয় । প্রজাদের ইচ্ছা হইলে তাহার। এক গ্রাম হইতে অম্ভ গ্রামে গিয়া বাস করিতে পারে। তাই সর্দারের লোকের কাছে জাদৱ পাইবার নিমিত্ত L Str8 J --- আদ মগ - - সকলকেই ভাল বাসেন এবং সুখে রাখিবার জন্য চেষ্টা করেন । যিনি মহাবীর এবং অসমসাহসী ; শত্র আলিলে । যুদ্ধ করিতে গিয়া হটিয় আসেন মা ; বিবাদ মিটাইবার সময় পক্ষপাত করেন না, তিনিই সর্দারের যোগ্য পাত্র। তুঙ্গথার তাহাকেই প্রধান বলিয়া মানে । তুঙ্গথাদের পাহাড়ে অধিক পীড়াদি নাই ; সেখানে সচরাচর আশি নব্বই বৎসরের বৃদ্ধ লোক দেখিতে পাওয়া যায় । কদাচিৎ সংক্রামক ওলাউঠা বসন্তু উপস্থিত হয়, কিন্তু সেট নীচেয় বাঙ্গালীদের দোষে । বাঙ্গালীদের মধ্যে সংক্রামক রোগ হইলেও পাহাড়ীর তাহা দের কাছে দ্রব্যসামগ্ৰী লইতে আসে, কাজেই পাহাড়ের উপরেও শেষে ওলাউঠা বসন্তু ঘটিয় পড়ে । পাহাড়ীর আরবার ( চনারূবে ) মালা করিয়া গলায় পরে। তাহাদের বিশ্বাস, ঐ মাল। পরিলে শরীরে কোন প্রকার রোগ থাকে না। দৈবাৎ পীড়া হইলে ইহাদের অন্ত ঔষধ কিছুই নাই ; যে কোন রোগ হৌক ন। তাহারা পাহাড়ী বোড়ার পিত্ত ও বিষ্ঠা খায় । কিন্তু ঠিক কথা বুঝিয়া দেখিলে, রোগ শোকগুলা কেবল বনদেবতাদের কোপেই ঘটে। তাহাদের একটু তুষ্ট করিয়া রাখিতে পারিলে অমঙ্গলের ভয় থাকে না । তাই, পরিবারের মধ্যে কাহারও পীড়া হইলে পাহাড়ীর আগে বনদেবতার পূজা করে। কিন্তু মহামারী নিবারণের ঘটা আরও বেশী রকম । ইহার স্ত্রীপুরুষ, বালক বালিকা সকলে মিলিয়া নৃত্যগীত করে। সদ্যঃ সদ্যঃ কাপাসের সুত কাটিয়া তাহাতে গ্রাম বেড়িয়া গণ্ডী দেওয়া হয়। পল্লীবাসীরা দেবতার কাছে মুগা, শূকর প্রভৃতি নানাপ্রকার পশু বলি দিয়া তাহাদের রক্ত সেই সুতায় লাগাইতে থাকে। গৃহিণীর ঘর দ্বার পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করিয়া ধারে দ্বারে নবীন পল্পৰ পত্রের রচনা ঝুলাইয় দেয়। এই সময়ে এক গ্রাম হইতে গ্রামান্তরে কেহ যাইতে পায় না। দৈবাৎ বলপূর্বক কেহ গ্রামে প্রবেশ করিতে আসিলে তুমুল যুদ্ধ উপস্থিত হয়। তুঙ্গথার এই নিয়মকে খাঙ্গ কহে। তিন দিনের পর শ্বাঙ্গ ভাঙ্গিয়া যায় । তুঙ্গথার অসভ্য, সে কথা মানি। তাহার লেখা পড়া জানে মা, তাহাও সত্য। কিন্তু প্রতিজ্ঞা পালন করিতে জগতে এমন জাতি আর দ্বিতীয় নাই। একবার যাহা মুখে জানিবে, ব্ৰহ্মাও রসাতলে গেলেও তাছার অন্যথা হইবে না । সত্য করিবার সময়ে তাহারা শস্ত,