পাতা:বিশ্বকোষ প্রথম খণ্ড.djvu/৩০২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অমুযাজ [૨૧] অনুযাজ কি, এখন তাহা বুঝিতে কতকটা কষ্ট হয়। বহুকাল পূৰ্ব্বে যাস্কও এই সকল শব্দ লইয়া বিস্তর গোল করিয়া গিয়াছেন। প্তাহার মতে অনুযাজ, প্রযাজ শব্দে অগ্নিদেবতাককে বুঝায়। যথা, নিরুক্ত ৮। ২১ । অথ কিং ? দেবতা: প্রযাজানুযাজা: ? আগ্নেয়া ইত্যেকে । * ¥ আগ্নেয়া বৈ প্রধাজী আগ্নেয়া অনুযাজা ইতি চ ব্রাহ্মণম্। চন্দোদেবতা ইত্যপরম । ছন্দাংসি বৈ গ্র্যাজাশনাংস্তনুযাজ ইতি চ ব্রাহ্মণম । ঋতুদেবতা ইত্যপরম্। ঋতবে বৈ প্রযাজা ঋতবোহমুযাজ ইতি চ ব্রাহ্মণম। পশুদেবতা ইত্যপরম্। পশবো বৈ প্র্যাজা: পশবোহমুযাজ ইতি চ ব্রাহ্মণম। প্রাণদেবতা ইত্যপরম। প্রাণী বৈ প্র্যাজা: প্ৰাণ বৈ অনুযাজ ইতি চ ব্রাহ্মণম্। আত্মদেবতা ইত্যপরম। আত্মা বৈ প্রযাজ আত্মা বৈ অনুযাজ ইতি চ ব্রাহ্মণম। আগ্নেয়া ইতি তু স্তুতিঃ । ভক্তিমাত্রমিতরৎ। কিমর্থম্পুনরিতি? উচ্যতে, —যস্তৈ দেবতায়ৈ হবিগৃ"ীতং স্থাৎ, তং মনসা ধ্যায়েদ বষট করিযান্নিতি হ বিজ্ঞায়তে। তাহার পর, প্রযাজ ও অনুযাজের দেবতা কে ? কাছার মতে, ‘আগ্নেয়’ । কারণ ব্রাহ্মণের মতে, প্রযাজ ও অনুযাজ অগ্নি দেবতার। অন্ত মতে, ইহাদের দেবতা ছন্দঃ। কারণ, ব্রাহ্মণের মতে, প্রযাজ ও অনুযাজ ছন্দোদেযতার। অন্তের মতে, ইহাদের দেবতা ঋতু। গ্রযাজ ও অনুযাজ ঋতুদেবতার, ইহা ব্রাহ্মণের মত । অপর মতে, ইহাদের দেবতা পশু। কারণ ব্রাহ্মণের মতে, প্রযাজ ও অনুযাজ পঞ্চদেবতার। অন্ত মতে, ইহাদের দেবতা প্রাণ। কারণ ব্রাহ্মণের মতে, প্রযাজ ও অনুযাজ প্রাণদেবতার। অপর মতে, ইহাদের দেবতা আত্মা । কারণ ব্রাহ্মণের মতে, প্রযাজ ও অনুযাজ আত্মদেবতার । কিন্তু এই সকল সামের অগ্নিই দেবতা। অন্তান্ত মত ভক্তি ভিন্ন আর কিছুই নহে। কিন্তু সে সকল মত হয় কেন ? কথিত আছে, যে দেবতাকে হবিদান করিতে হইবে, বন্ধট কারের সমর মনে মনে তাহাকে ধ্যান করা চাই, তাহা সকলেই জানেন। ঐতরেয় ব্রাহ্মণে স্পষ্টই লেখা আছে যে, অনুযাজ দেবতা বিশেষকে বুঝার এবং তাছারা সংখ্যায় এগার स्म " १िl, ত্রয়ন্ত্রিংশদ্বৈ দেবাঃ সোমপাস্ত্রয়ন্ত্রিংশদসোমপা: | অক্টে বসৰ একাদশরুদ্রা; দ্বাদশাদিত্যাঃ প্রজাপতিশ্চ বযটকারশ্চৈতে দেৰাঃ সোমপা: 1, 帶 একাদশ প্র্যাজ একাদশামুফাজা একাদ- " শোপযাজ এতে অসোমপা: পশুভাজনঃ । সোমেন সোমপান প্রণাতি পণ্ডন অসোমপান । ( ঐতরেয় ব্রাহ্মণ ২। ১৮)। তেত্রিশ জন দেবতা সোমরস পান করেন, আর তেত্রিশ জন দেবতা সোম পান করেন না। অষ্টবসু, একাদশ রুদ্র, দ্বাদশ আদিত্য, প্রজাপতি এবং বর্ষটকার, ইহঁারা সোম পান করেন। একাদশ প্রযাজ, একাদশ অনুযাজ এবং একাদশ উপযাজ, ইহঁারা সোম পান করেন না, তাহারা পশুবলি গ্রহণ করেন। যাহারা সোম পান করেন, ঋত্বিক তাহাদিগকে সোমরস দিয়া তৃপ্ত করেন, আর র্যাহার সোম পান করেন না, তাহাদিগকে পশুবলি দিয়া তৃপ্ত করিতে হয়। এগার জন প্রযাজ দেবতা এই,–১। দেবীদ্বার। —২। উষা নক্ত –৩। দেবীজোষ্টি —৪। উর্জ ও আহুতি -৫। দেবহোতা –৬। তিস্রদেবীঃ (তিনটী দেবী, ইলা সরস্বতী এবং ভারতী ) —৭। বর্হিস্থ – ৮। নরাশংস —৯। বনস্পতি --১০ । বহির্বারিতীনাম ( জলপুর্ণ কুম্ভে নিক্ষিপ্ত কুশ ) —১১। অগ্নিস্বিষ্টকৃৎ । যজ্ঞ করিবার পূৰ্ব্বে ঋত্বিক প্রথমে হোমাগ্নি প্ৰজলিত করিতেন । তাহার পর প্রযাজ মন্ত্রাদি পাঠ করা হইলে পশু বলি দেওয়া হইত। সেই পশুমাংস দিয়া ঋত্বিকৃ হোম করিতে থাকিতেন। যজ্ঞের শেষভাগে অনুযাজ মন্ত্ৰ পড়িতে হইত। প্রথম মন্ত্র বহিদেবতাকে (যজ্ঞীয় বেদী বা কুশাসনকে ) উদ্দেশ করিয়া পঠিত হইত। যথা—“দেবং বহির্বজুবনে বসুধেয়ন্ত বেতু ’ । এই খানে যে ধন ( বলি) রাখা হইবে, হে ধনদেবতা ( অগ্নি ) ! ! বহিদেবতা তাহ গ্রহণ করুন। এই রূপে এক একটা । মন্ত্র পড়িয়া একাদশ অনুযাজের নামে হোম করার বিধি আছে । অবশেষে উপযাজ অঙ্গ। হোতা বলি স্থানের কাষ্ঠ অাহয়ণ করিয়া একটী ধিষ্ণ্যতে রাখিতেন। রাখিয়া তাহার পশ্চাতে নিজে বসিতেন। ধিষ্ণ্যের এক দিকে অগ্নিঞ্জ, অন্ত দিকে মার্জালি অগ্নি থাকিত। তাহার পর ঋত্বিক বলি দেওয়া পশুর লাজুল আনিয়াধিষ্ণ্যের অগ্নিতে । হোম করিতেন। একাদশ অনুযাঙ্গাদির পত্নীরা ঐ লাস্কুলের হোমে অতিশয় সন্তুষ্ট হইতেন। (অনুবাজাদি যজ্ঞের বিস্তারিত বিবরণ ৪ । ১৬। ১৭। হিরণ্যকৃেশি