পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (সপ্তম সম্ভার).djvu/১২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

अंब्र९-जांश्छिा-जरáांझ আবেগ সংবরণ করিয়া সহজভাবে কহিল, সে সত্যি, এক্ষুনি তোমার যাওয়া হয় না ; কিন্তু লঙ্ক্যের গাড়িতে নিশ্চয় যাবে বল ? নইলে আমি খাবার নিয়ে বসে বসে ভাবব, আর- g কিন্তু মন্তব্যটা তাহার মহিমের দীর্ঘশ্বাসে যেন নিবিয়া গেল । সে মলিন হইয়া সভয়ে কহিল, ও-বেলা যেতে পারবে না ? তবে এই অন্ধকার রাত্রে কার বাড়িতে —কিন্তু বলিতে বলিতেই সে থামিয়া গেল। যাহার বাটীতে তাহার স্বামীর রাত্রি যাপনের সম্ভাবন, সে কথা মনে হইতেই তাহার মুখশ্ৰী গম্ভীর ও বিবর্ণ হইয়া উঠিল। বোধ করি তাহার মনের কথা মহিম বুঝিল না। জিজ্ঞাসা করিল, কলকাতায় আমাকে কোথায় যেতে বল ? অচলা তৎক্ষণাৎ জবাব দিল, কেন, বাবার ওখানে । মহিম ঘাড় নাড়িয়া কহিল, না । না কেন ? সেও কি তোমার নিজের বাড়ি না ? মহিম তেমনি মাথা নাড়িয়া জানাইল, না । অচলা কহিল, না হয় সেখানে কেবল দুটো দিন থেকেই আমরা পশ্চিমে চলে যাবো । না ! অচলা জানিত, তাহাকে টলানো সম্ভব নয়। একটুখানি চিন্তা করিয়া বলিল, তবে চল, এখান থেকেই আমরা পশ্চিমের কোন সহরে গিয়ে উঠি গে । আমি সঙ্গে থাকলে কোথাও আমাদের কষ্ট হবে না আমি বেশ জানি । কিন্তু গহনাগুলো ত বেচতে হবে ; সে কলকাতা ছাড়া হবে কি করে ? মহিম আর একদিকে চাহিয়া নীরব হইয়া রহিল । অচলা ব্যগ্র-কণ্ঠে জিজ্ঞাসা করিল, পশ্চিমেও ত বড় সহর আছে, সেখানেও ত বিক্রী করা যায় ? আমার বাক্সে প্রায় ছশ টাকা আছে, এখন তাতেই ত আমাদের যাওয়া হতে পারে ? চুপ করে রইলে যে ? বল না শীগগীর । মহিম স্ত্রীর চোখের দিকে চাহিতে পারিল না, কিন্তু জবাব দিল ; বলিল, তোমার গহনা নিতে পারব না আচল । অকস্মাৎ একট গুরুতর ধাক্কা খাইয়া যেন অচলা পিছাইয়া গেল। খানিক পরে কহিল, কেন পারবে না, শুনতে পাই ? মহিম তাহার উত্তর দিল না এবং কিছুক্ষণ পর্য্যস্ত উভয়ে নিস্তব্ধ হইয়া রহিল । হঠাৎ অচলা একসঙ্গে একরাশ প্রশ্ন করিয়া বসিল । কহিল, পৃথিবীতে স্বামী কী কেবল তুমি একটি ? দুঃসময়ে তারা নেন কি করে ? স্ত্রীর গহনা থাকে কি জন্তে ? এত কষ্টে এগুলো বাচাতে গেলেই বা কেন ? বলিয়া সে ছোট টিনের বাক্সটা হাত $38