পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (সপ্তম সম্ভার).djvu/১৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

शृश्मीई র্তাহাকে রাধিয়া খাওয়ানোর মধ্যে যে কদৰ্য্য প্রতারণা লুকায়িত রহিয়াছে, সে ব থা ষে অচলার অগোচর নাই এবং এই ভদ্র-নারীর হৃদয়ের বিবেক যে কিছুতেই এই গোপন করার গভীর দুষ্কৃতি হইতে আপনাকে অব্যাহতি দিতেছে না, ইহা তাহার ঐহীন পাণ্ডুর মুখের উপর স্পষ্ট দেখিতে পাইয়া সে আর কোনদিকে দৃষ্টিপাত না করিয়া মুখ-হাত ধোয়ার আছিলায় দ্রুতবেগে সিড়ি দিয়া নীচে নামিয়া গেল। তা হলে আমি চললুম, বলিয়া সঙ্গে সঙ্গে রামচরণবাবুও স্বরেশের অনুসরণ করিলেন। মুহূৰ্ত্তকালমাত্র অচলা হতবুদ্ধি হইয়া দাড়াইয়া পুহিল, তার পরেই নিজেকে জোর করিয়া সচেতন করিয়া ডাকিল, একবার শুমুন— বৃদ্ধ ফিরিয়া দেখিলেন, সুরমা কি যেন বলিতে চাহিয়াও নীরবে নতনেত্রে দাড়াইয়া আছে। তথন কয়েক পদ অগ্রসর হইয়া আসিয়া কহিলেন, আর একট। কথা তোমাকে জানাবার আছে মা ! তোমার সঙ্কোচ যখন কোনমতেই কাটতে চাইচে মা, তখন—কি জান স্বরম, ছেলেবেলায় আমি ছিলাম পাড়ার মেজদা । তোমার বাপের চেয়ে হয়ত বয়সে ছোটও হব না । তা হলে আমাকে কেন মেজজ্যাঠামশাই বলে ডেকো না মা ! এই বৃদ্ধ যে তাহাকে অত্যন্ত স্নেহ করিতেন, আচলা তাহ প্লানিত। ভালবাসার এই প্রকাশ্বতায় তাহার চোখের কোণে যেন জল আসিয়া পড়িল। তাই সে শুধু নিঃশব্দে ঘাড় নাড়িয়া সম্মতি জানাইল । বৃদ্ধ প্রশ্ন করিলেন, আর কিছু কি বলবে ? অচলা তেমনি নীরবে ক্ষণকাল মাটির দিকে চাহিয়া থাকিয়া এইবার বোধ হয় নিজের সমস্ত শক্তিই এক করিয়া শুধু অক্ষুটে বলিল, কিন্তু আমার বাবা ব্রাহ্ম ছিলেন । রামচরণবাবু হঠাৎ চমকিয়া গেলেন । কহিলেন, সত্যিকারের, ন পাচজন কলকাতায় এসে দু'দিন সখ করে যেমন হয়, তেমন ? তারা ব্রাহ্মদের দলে বসে হিন্দুদের কোসে গালাগালি দেয়—তেমন গাল সত্যিকারের ব্রাহ্মরা কখনো মুখে আনতেও পারে না—তার পরে ঘরে ফিরে সমাজে দাড়িয়ে সেই ব্রাহ্মদের নাম করে আবার এমনি গালিগালাজ করে যে, তেমন মধুর বচন হিন্দুদের চোঁদপুরষও কখনো উচ্চারণ করতে পারে না । বলি, তেমনি নয় ও মা ? তা হয় ত আমার এতটুকু আপত্তি নেই। অচলার চোখ-মুখ লজ্জায় রাঙা হইয়া উঠিল, সে কেবলমাত্র কহিল, না তিনি সত্যিকার ব্রহ্ম । উত্তর শুনিয়া বৃদ্ধ একটু যেন দমিয়া গেলেন। কিন্তু একটু পরেই প্রফুল্লমুখে বলিলেন, তা হলেনই বা বাবা ব্ৰহ্ম, মেয়ে ত আর তার খাতক নয় যে, ५१न छद्र &bూ)