পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (সপ্তম সম্ভার).djvu/২০৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শরৎ-সাহিত্য-সংগ্ৰহ পালন করতে চাইলেন না-তুলসী দেওয়ার দিনটাতেও কিছুতে উপবাস করলেন ন-ভাল, এ যদি তামাস হয় ত কিছু কঠিন তামাসা বটে। আচ্ছা স্বরেশবাবু, বিবাহ ত আপনার হিন্দু-মতেই হয়েছিল ? স্বরেশ কহিল, হ্যা । বৃদ্ধ স্বল্প মৃন্থ হাসিতে লাগিলেন, কহিলেন, তা আমি জানি। অচলার প্রতি চাহিয়া বলিলেন, যদিচ তোমাকে আমার অনেক কথা বলার আছে মা, কিন্তু তোমার বাবার ব্রান্ধ হওয়ায় আর কোন দুঃখ নাই ! এমন ব্রাহ্ম আমি অনেক জানি, যারা সমাজে গিয়েও চোথ বোজেন, অল্প-স্বল্প অনাচারও করেন ; কিন্তু মেয়ের বিয়ের বেলা আর হিসেবে গোল করেন না। যাক, আমার একটা ভাবনা দূর হ’ল। কিন্তু তাহার অপেক্ষাও অনেক বেশি ভাবনা দূর হইয়া গেল স্বরেশের। সে তৎক্ষণাৎ বৃদ্ধের স্বরে স্বর মিলাইয়া বলিয়া উঠিল, আপনি ঠিক বলেছেন রামবাবু, আজকাল এই দলের লোকই বেশি। র্তারা— হঠাৎ উভয়েই চমকিয়া উঠিল। কথার মাঝখানেই অচলার তীক্ষু কণ্ঠস্বর ঠিক যেন গর্জন করিয়া উঠিল। সে স্বরেশের মুখের উপর দুই চক্ষুর তীব্র দৃষ্টি নিবদ্ধ করিয়া বলিল, এত অপরাধের পরেও তোমার অপরাধ বাড়াতে লজ্জা হয় না? আবার তা আমারই মুখের উপরে ? তুমি জানো, এ সব মিথ্যে ? তুমি জানো বাবা ঠক নন, তিনি মনে-জ্ঞানে যথার্থ-ই ব্রাহ্ম-সমাজের। তুমি জানো, তিনি—, বলিতে বলিতেই সে চৌকি ছাড়িয়া উঠিয়া দাড়াইল । স্বরেশ প্রথমটা থতমত খাইল, কিন্তু ঘাড় ফিরাইয়া বৃদ্ধের বিস্ময়-বিক্ষরিত চোখের প্রতি চাহিয়া অকস্মাৎ সেও যেন জলিয়া উঠিল, বলিল, মিছে কথা কিসের ? তোমার বাবা কি হিন্দুঘরে তার মেয়েকে বিয়ে দিতে রাজি ছিলেন না ? তুমিও সত্যি কথা বলে। অচলা আর প্রত্যুত্তর দিল না। বোধ হয় মুহূৰ্ত্তকাল নিঃশবে থাকিয় আপনাকে সামলাইয়া লইল, তারপর ধীরে ধীরে বলিল, সে-কথা আজ আমাকে জিজ্ঞাসা করছ কেন ? তার হেতু কি সংসারে সকলের চেয়ে বেশী তুমি নিজেই জানো না ? তুমি ঠিক জানে, আমি কি, আমার বাবা কি, এই নিয়ে তোমার সঙ্গে বচস করতে আমার শুধু যে প্রবৃত্তি হয় না তাই নয়, আমার লজ্জ করে । তোমার যা ইচ্ছে হয় ও কে বানিয়ে বল, কিন্তু আমি শুনতে চাইনে। বল—আমি চললুম। বলিয়া সে একরকম কৃতপদেই পাশের ঘরে গিয়া প্রবেশ করিল। সে. চলিয়া গেল, কিন্তু কিছুক্ষণের নিমিত্ত উভয়েই যেন নিশ্চল পাথরের মত হইয়া গেল। वृक cवांथ कब्रि नि७ांख्हे धरमञ्च फूल ७कदाब ऊँग्नि शकt$ांद्र छछ ट्ठ సినిe