পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (সপ্তম সম্ভার).djvu/২৭৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

श्jब्र६-लiशिखठ-श९Gवंश् বিন্দু হাসিমুখে বলিল, ই, গঙ্গা পণ্ডিতের পাঠশালে পাঠিয়ে দিচ্চি। আশীৰ্ব্বাদ কর দিদি, আজকের দিন যেন ওর সার্থক হয়। চাকরের দিকে ফিরিয়া চাহিয়া বলিল, ভৈরব, পণ্ডিতমশাইকে আমার নাম করে বিশেষ করে বলে দিস, ছেলেকে আমার যেন কেউ মার-ধোর না করে। দিদি, এই পাঁচটা টাকা ধর, বেশ করে একখানি সিদে সাজিয়ে টাকা কটি দিয়ে কদমের হাতে পাঠশালায় পাঠিয়ে দাও। বলিয়া গভীর স্নেহে চুমা খাইয়া ছেলেকে কোলে তুলিয়া লইয়া চলিয়া গেল। অন্নপূর্ণার দুই চোখে অশ্রু উচ্ছসিত হইয়া উঠিল ; তিনি বামুনঠাকরুণকে উদেশ করিয়া বলিলেন, ছেলে নিয়েই ব্যতিব্যস্ত। তবু পেটে ধরেনি—তা হলে না জানি ও কি করত । পাচিক কহিল, সেজন্তেই ভগবান বোধ করি দিলেন না, আঠার-উনিশ বছর বয়স হ’ল— কথাটা শেষ হইতে পাইল না। ছোটবে এক ফিরিয়া আসিয়া বলিল, দিদি, বঠ ঠাকুরকে বলে আমাদের বাড়ির সামনে একটা পাঠশালা করে দেওয়া যায় না ? অামি সমস্ত খরচ দেব । * - অন্নপূর্ণ হাসিয়া ফেলিলেন। বলিলেন, এখনো সে দু-পা যায়নি ছোটবে, এর মধ্যেই তোর মতলব ঘুরে গেল। না হয় তুইও যা না, পাঠশালায় গিয়ে বসে থাকবি । বিন্দু অপ্রতিভ হইয়া বলিল, মতলব ঘোরেনি দিদি। কিন্তু ভাবচি আড়ালে থাকা এক, আর চোখের সামনে এক । পোড়োরা সব দুষ্ট ছেলে, ওকে ছোটটি পেয়ে যদি মার-ধোর করে । - অন্নপূর্ণ বলিলেন, করলেই বা। ছেলেরা মারামারি করেই। তা ছাড়া সকলের ছেলেই সমান ছোটবেী, তাদের বাপ-মা প্ৰাণ ধরে যদি পাঠশালে দিতে পেরে থাকে, তুই পারবিনে কেন ? পরের সঙ্গে তুলনা করাটা বিন্দু একেবারে পছন্দ করিত না । তাই বোধ করি মনে মনে অসন্তুষ্ট হইয়াছিল—তোমার এক কথা দিদি । ধর কেউ যদি ওর চোখে কলমের খোচাই দেয়—তা হলে ? - অন্নপূর্ণ তাহার মনের ভাব বুঝিয়া হাসিয়া বলিলেন, তা হলে ডাক্তার দেখাবি। কিন্তু সত্যি বলচি তোকে, আমি ত সাত দিন সাত রাত ভাবলেও খোঁচাখুঁচির কখা মনে করতে পারতুম না! এত ছেলে পড়ে, কে কার চোখে কলমের খোচা দেয় তাও ত শুনিনি । - বিজু কহিল, তুমি শোননি বলেই কি এমন কাও হতে পারে না? দৈবাতের ዻያላዋ