পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (সপ্তম সম্ভার).djvu/৩৭৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শরৎ-সাহিত্য-সংগ্ৰহ ৰৈপ্তের ধৰ্ম্ম, পূত্রের ধৰ্ম্ম—এই চারি প্রকার নির্দেশ করা হইয়াছে, জাতি বা মানুষ নয় অর্থাৎ সেই পরমপুরুষের মুখ হইতে যজন, যাজন, অধ্যয়ন, অধ্যাপনা প্রভৃতি এক শ্রেণীর বৃত্তি ; তাহাকেই ব্রহ্মণ্যধৰ্ম্ম বা ব্রাহ্মণ বলিবে । হাত হইতে ক্ষত্রিয়–অর্থাৎ বল বা শক্তির ধৰ্ম্ম । এই প্রকার অর্থ যদি কেহ গ্রহণ করিতে চাহে, তাহাকে 'না' বলিয়া উড়াইয়া দিবে কি করিয়া ? কিন্তু এইখানে একটা প্রশ্ন করিতে চাহি। এই যে এতক্ষণ ধরিয়া ঠোকাঠুকি কাটাকাটি করিয়া কথার শ্রাদ্ধ হয় গেল, তাহা কাহার কি কাজে আসিল ? মনের অগোচর ত পাপ নাই ? কতকটা বিদ্যা প্রকাশ করা ভিন্ন কোন পক্ষের আর কোন কাজ হইল কি ? পাশ্চাত্য পণ্ডিতেরা যদি বলিয়াই ছিলেন, চাতুৰ্ব্বৰ্ণ হিন্দুর বিরাট ভ্রম এবং অধঃপতনের অন্ততম কারণ এবং ইহা ঋকবেদের সনয়েও ছিল না—তবে ভববিভূতিবাবু যদি প্রতিবাদই করিলেন, তবে শুধু গায়ের জোরে তাদের কথাগুলা উড়াইয়া দিবার ব্যর্থ চেষ্টা না করিয়া কেন প্রমাণ করিয়া দিলেন না, এ-প্রথা বেদে আছে ! কারণ, বেদ অপৌরুষেয়, তাহার ভুল হইতে পারে না—জাতিভেদ প্রথা স্বশৃঙ্খলার সহিত সমাজপরিচালনের যে সত্য-সতাই একমাত্র উপায়, তাহা এই সব বৈজ্ঞানিক, সামাজিক এবং ঐতিহাসিক নজির তুলিয়া দিয়া প্রমাণ করিয়া দিলাম। তবে ত তাল ঠুকিয়া বলা যাইতে পারিত, এই দেখ, আমাদের অপৌরুষেয় বেদে যাহা আছে, তাহা মিথ্যাও নয় এবং তাহাকে অবলম্বন করিয়া হিন্দু ভুলও করে নাই, অধঃপথেও যায় নাই। তা যদি না করিলেন, তবে তাহারা জাতিভেদকে ভ্রমই বলুন, আর ঘাই বলুন, সে-কথার উল্লেখ করিয়া শুধু শ্লোকের নজির তুলিয়া উহাদিগকে কানা বলিয়া, সঙ্কীর্ণচৈত বলিয়া, আর রাশি রাশি হা-হুতাশ উচ্ছ্বাসের প্রবাহ বহাইয়া দিয়াই কি কোন কাজ হইবে ? বেদের মধ্যেও যখন রূপকের স্থান রহিয়াছে, তখন বুদ্ধি-বিচারেরও অবকাশ আছে। স্বতরাং শুধু উক্তিকেই অকাট্য যুক্তি বলিয়া দাড় করানো যাইবে না। আমি এই কথাটাই আমার এই ভূমিকায় বলিতে চাহিয়াছি। অত:পর হিন্দুর সর্বশ্রেষ্ঠ সংস্কার বিবাহের কথা। ইনি প্রথমেই বলিতেছেন, “হিন্দুর এই পবিত্র বিবাহপদ্ধতি বহু সহস্ৰ বৎসর পূৰ্ব্বে,—ঋগ্বেদের সময়ে যেভাবে নিম্পন্ন হইত, আজও—একালের বৈদেশিক সভ্যতার সংঘর্বেও তাহা অনুমাত্র পরিবর্তিত হয় নাই।” অকুমাত্রও পরিবর্তিত ষে হয় নাই, তাহা নিম্নলিখিত উদাহরণে স্বম্পষ্ট করিয়াছেন— “তখনও বরকে কন্যার গৃহে গিয়া বিবাহ করিতে হইত,—এখনও তাহা হইয়া থাকে। আবার বিবাহের পর শোভাযাত্রা করিয়া বহুবিধ অলঙ্কারভূষিত কস্তাকে লইয়া শ্বস্তর-দত্ত নানাবিধ যৌতুক সহিত তখনও যেমন বর গৃহে প্রত্যাগমন করিতেন, এখনও সেইরূপ হইয়া থাকে। বিবাহযোগ্যকালে কস্তা-সম্প্রদানের बादइ! हिल ; किरू भै दग्रहणब्र ८कांन श्रृंब्रियांन निर्मिटे नाहे । कछ क्लद्रांण८ग्न Wor