পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (সপ্তম সম্ভার).djvu/৩৮৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শরৎ-সাহিত্য-সংগ্ৰহ কেন, তাহারা প্রতিবাদ করিয়া বলিবেন—কখখনো না। এটা হিউমার, ওটা উইট, সেটা আর্ট ইত্যাদি। জ্যাঠামো অন্তরে অনুভব করা যায়, কিন্তু অনুভব করানো যায় না। হিউমার কোথায় পাকামিতে পরিণত হয়, উইট্‌ কোথায় অঙ্গীল হইয়া উঠে, আট কোথায় আতিশয্যে ও ছেবলামিতে রূপান্তরিত হয়, সেটা যে-বয়সে বোঝা যায়, ততটা বয়স এখনও লেখিকার হয় নাই। তবে, আশা করি, এ দোষ একদিন শুধরাইবে । কিন্তু, তাহার না জানিয়া যা-ত উপমা দিবার স্বপক্ষে সে-রকম কৈফিয়ত কিছুই নাই। তাই দৃষ্টাস্তের মত দুই-একটা উল্লেখ করিব মাত্র। একস্থানে বলিতেছেন, “বিজন-পথে চলিতে চলিতে অকস্মাৎ পায়ের নীচে দংশনোস্থ্যত সৰ্প দেখিলে পথিক যেমন আড়ষ্ট কাঠ হইয়া দাড়ায়, ইত্যাদি।” তাই বটে! একটা ন্যাকড়া কিংবা দড়ির টুকরো দেখিলে লাফাইয়া কে কার ঘাড়ে পড়িৰে ঠিক থাকে না, আড়ষ্ট হইয়াই দাড়ায় ! তাও আবার যে-সে সর্প নয়—একেবারে দংশনোন্তত সপ! ইনি যে লেখেন নাই, রান্নাঘরে হঠাৎ জলন্ত আগুনের টুকরো পায়ের নীচে মাড়াইয়া ধরিয়া রাধুনী যেমন অবাক হইয়া ই করিয়া দাড়ায়,—ইহাই পরম ভাগ্য । আর একস্থানে লিখিতেছেন, “দীপ্ত সূৰ্য্যালোকের উপর মেঘ আসিয়া পড়িলে তাহা যেমন এক-মুহূর্তেই মান হইয়া যায়, শিবানীর মুখ তেমনি মুহূর্বেই অন্ধকার হইয়া আসিল ।” এটা অলঙ্কার না উপমা ? কিন্তু দীপ্ত সূৰ্য্যালোকের উপর মেঘ আসিয়া পড়িলে কি হয় ? শাদা দেখায় । কিন্তু লেখিকা ঐ যে মান বলিয়াছেন, কাজেই তাহার অন্ধকার মুখের সহিত স্বৰ্য্যালোক পতিত মেঘের তুলনা করিবার অধিকার জন্মিয়াছে ! এই কি ? আর এক জায়গায় গভীর কৃষ্ণবর্ণ মেঘের গায়ে বক প্রভৃতিকে উড়িতে দেখিয় তাহার মনে হইয়াছে যেন ‘কৃষ্ণতারকা উড়িয়া যাইতেছে। কাল মেঘের তলায় বক কি কৃষ্ণতারকার মত দেখায় ? তা ছাড়া ‘কৃষ্ণতারকা’ই বা কি ? রাত্রে আকাশের পানে চাহিয়া কোনদিন ত কাল কুচ কুচে নক্ষত্র চোখে পড়ে না। আর যদি চোখের তারাই হয়, সেও ত সাদা পদার্থের মাঝখানে থাকে। কালো মেঘের সঙ্গে তাহার সাদৃশুই বা কোথায় ? প্রকৃতি-দেবীর উপর উৎপাত আরও অনেক আছে—সেইগুলি একটুখানি হস করিয়া করা উচিত ছিল। কেন না, নিজে যাহা জানি না, তাহা না জানানই বুদ্ধির কাজ । স্বাহা হউক, বইখানি শুনিয়াছি ৫৬শ পাতার ; আমি মাত্র ২৫৩•খানি পাতা পড়িয়াছি ; স্বতরাং আশা করিতেছি, যাহা পড়ি নাই তাহার মধ্যে ভাল ভাল জিনিসই রহিয়া গিয়াছে। মেয়েটাও বলিতেছিল, বইখানি জ্ঞানগর্ত। বেদ, কোরান, বাইবেল, রামায়ণ, মহাভারত, এথিক্স, মেটাফিজিক্স, রামপ্রসাদী, তন্ত্ৰমন্ত্র, ঝাড়ফুক, মারণ, উচাটন, বশীকরণ-সমস্তই আছে। এ-ছাড়া সংস্কৃত, হিন্দী, 9ማኒ”