পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (সপ্তম সম্ভার).djvu/৩৮৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শরৎ-সাহিত্য-সংগ্ৰহ বাস্তবিক, লোকের কুসংস্কারে হিন্দুধন্মের অনেক ভাল জিনিস লোপ পাইতেছে, এটা কোনমতেই হইতে দেওয়া উচিত নয়। ক্রযুক্ত লালবিহারী দে, গোবিন্দ সামস্তকে সাপের মস্তর শিখাইয়া দিয়াছিলেন। আমিও পেট কামড়ানির একটা মন্তর জানি, যদি কাহারও উপকার হয়, তাই লিখিতেছি। অবগু আমার মন্তর অব্যর্থ কি না বলিতে পারি না। এ বাড়ির পুরুষগুলা গোয়ার গোছের, ওসব বিশ্বাস করিতে চাহে নী—তাই যাচাই করিয়া লইবার স্ববিধ ঘটে নাই। যে বাড়ির পুরুষেরা শিষ্ট শাস্ত সেখানে পরথ হইতে পারিবে। মস্তর এই— - “পেট কামড়ানি, পেট কামড়ানি, ভাল হবি ত হ’ ; নইলে কামড়ে কামড়ে কি গরু বাছুর - মেরে ফেলবি !” রোগীর পেটে হাত বুলাইয়া তিনবার বলিতে হয়। এবার শ্ৰীমতী নিরুপমার কথা কিছু বলিব। ইহাদের মধ্যে নিরুপমার রচনাকে অনেক দিক হইতে ভাল বলিতেই হয় । সহজ, সরল ও বিনীত। যাকে ‘পাণ্ডিত্যের হুঙ্কার’ বলে সেটা নাই, এবং স্টেজ আস্ফালনিও কম। কথাবার্তাগুলি কথাবার্তারই মত। লেখার ভুল যে নাই তাহা নহে। ভুল কাহারই বা না থাকে, এবং থাকিলেই তাহা মহা লজ্জার বিষয় হয় না, যদি না ভুল যাচিয়া ঘরে আনি। যদি না সোজ পথ ছাড়িয়া অজানা পথের মধ্যে গিয়া পথ হারাই। শরীরে ঘা হওয়া এক এবং চুলকাইয়৷ ঘা করা আর । একটায় মায়া হয়, অপরটায় রাগ করিতে ইচ্ছা করে— মুখে আসিয়া পড়িতে চায়—বেশ হইয়াছে, যেমন কৰ্ম্ম। যদি পরিবে না, তবে যাও কেন ? নিরুপমা এই দোষটি করেন বলিয়া ইহার ভুলটা শুধু ভুল, কিন্তু ওঁদের ভুলগুলা ভুল ত বটেই এবং আরো কিছু। যাহারা সোজা পথে চলিয়া ভুল করে তাদের ভুল একদিন আপনি শুধরাইয়া যায়, কিন্তু যাহারা বাক পথে চলিতে চায়, অথচ পথ চেনে না, তাদের ভবিষ্যৎ অধিকতর বিপজ্জনক হইয়া উঠিতে থাকে। ইমতী নিরুপমার অন্নপূর্ণার মন্দির’ পড়িবার সময় দুই-একটা সোজা ভুল চোখে ঠেকিয়াছিল, কিন্তু এখন আর তাহা মনে করিতে পারিতেছি না। তবে, একটা মনে আছে, দৃষ্টাস্তের মত উল্লেখ করিতেছি। একস্থানে সস্তরণ মূঢ়ের স্বায়’ না বলিয়া সস্তরণহীণ মূঢ়ের ন্যায় বলিয়াছেন। এটা বুঝিবার ভুল। বঙ্কিমবাবু যেমন কৃষ্ণকাস্তের উইলের গোড়াতেই ‘ইহলোকান্তে না বলিয়া একাধিক বার ‘পরলোকাস্তে’ বলিয়াছেন—তেমনি । কিন্তু, এটা যদি রবিবাবুর অনুকরণ করা হইয়া থাকে, তাহা হইলে অন্তায় করা হইয়াছে। তিনি সস্তরণ মূঢ় রমেশ সঙ্গীতের ধাটুজলে' ইত্যাদি বলিয়াছেন, সস্তরণহীন বলেই নাই। যাহা হউক, এটা ধর্তব্যের ogbre