পাতা:১৯০৫ সালে বাংলা.pdf/১৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

[ ১১৪ ]

লাগিলেন। প্রতিনিধিবর্গ সেই স্বদেশভক্ত জন সমূহের সম্মুখে উপস্থিত হইলে তাঁহাদিগকে পুষ্পমাল্যে সুশোভিত করা হইল। সর্ব্বাগ্রে দেশমান্য শ্রীযুক্ত সুরেন্দ্রনাথ বন্দোপাধ্যায়, তৎপার্শ্বে শ্রীযুক্ত কালীপ্রসন্ন কাব্যবিশারদ, শ্রীযুক্ত কৃষ্ণকুমার মিত্র, এণ্টী সার্কুলার সোসাইটির সভ্য স্বদেশভক্ত যুবকবৃন্দের সমভিব্যাহারে অগ্রসর হইতেছিলেন। এণ্টী সারকূলার সোসাইটির সভ্যগণ নিজ নিজ দ্রব্য সম্ভার মস্তকে বহন করিয়া “যায় যাবে জীবন চ’লে, মাগো, জগৎ মাঝে তোমার কাজে বন্দে মাতরম্ ব’লে” সঙ্গীতটী গাহিতে গাহিতে যখনষ্টেশন হইতে আসিতেছিলেন, তখন কার দৃশ্য প্রত্যক্ষ না করিলে অনুধাবন করা করা যায় না।

 প্রথমে একদল অতি বৃদ্ধ ব্রাহ্মণ অগ্রসর হইয়া সুরেন্দ্র বাবুকে আশীর্ব্বাদ করিলেন। শকটের অশ্ব খুলিয়া দেওয়া হইল। সুরেন্দ্র বাবু প্রভৃতি সেই শকটে আরোহণ করিলেন, উৎসাহী যুবকবৃন্দ সেই শকট টানিয়া আনিতে লাগিল। জনস্রোতের গতি ফিরিল, সকলে হ্যারিসন রোড দিয়া কলেজ স্কোয়ারে সমবেত হইলেন। সুরেন্দ্র বাবু শকটের উপর দণ্ডায়মান হইয়া সেই বিপুল জনসঙ্ঘকে লক্ষ্য করিয়া বক্তৃতা করিলেন। তিনি বলিলেন যে, ট্রেণে আসিবার সময় যে সকল ষ্টেশনে গাড়ী থামিয়াছিল, সেই সকল ষ্টেশনেই সমাগত ব্যক্তিবৃন্দকে দেশের বর্ত্তমান অবস্থা, এবং আমাদের কর্ত্তব্য সম্বন্ধে তিনি উপদেশ দিয়া আসিয়াছেন—সমস্ত রাত্রি তাঁহার এই ভাবেই অতিবাহিত হইয়া গিয়াছে। প্রত্যেক ষ্টেশনেই শত শত লোক উৎকণ্ঠিত