পাতা:১৯০৫ সালে বাংলা.pdf/৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
[ ২৪  ]

আমাদিগের আন্তরিক সহানুভূতিভাজন হইয়াছেন। কিন্তু স্বদেশের মঙ্গলের জন্য ইহারা যে লাঞ্ছনাভোগ করিয়াছেন আয়র্লণ্ড রুষিয়া ও চীনের স্বদেশভক্তদিগের নিগ্রহের তুলনায় তাহা কিছুই নহে। আয়র্লণ্ডবাসীরা নানা নিগ্রহভোগের পর এক্ষণে তাঁহাদিগের চির বাঞ্ছিত স্বায়ত্তশাসনলাভের পথে বহুদূর অগ্রসর হইয়াছেন। রুষিয়ার অধিবাসিবুন্দ বহু নির্য্যতন সহ্য করিয়া রুষিয়ার যথেচ্ছাচারপরায়ণ সম্রাটের নিকট অল্প স্বত্ব ও অধিকার লাভ করেন নাই। বিবিধ লাঞ্ছনাভোগ করিয়া সংস্কারক সম্প্রদায়ের সহায়তায় চীনের অধিবাসীরা এক্ষণে উন্নতিপথে প্রবেশ করিয়াছেন, চীনে এক্ষণে নূতন জাতীয় জীবনের সঞ্চার হইয়াছে। স্বদেশের জন্য নিগ্রহভোগ আত্মত্যাগের উৎকৃষ্ট ও উচ্চ উদাহরণ। এবংবিধ আত্মত্যাগ ব্যতীত কোন মহৎ কার্য্যই সুসম্পন্ন হয় না। আমাদিগের স্বদেশবাসিগণ এই সর্ব্ব প্রথম স্বদেশের জন্য সংঘর্ষে প্রবৃত্ত হইয়াছেন, তাঁহাদিগকে ভবিষ্যতে এতদপেক্ষা বহুগুণ নিগ্রহভোগ এবং আত্মত্যাগ করিবার জন্য প্রস্তুত হইতে হইবে। সংকল্প সাধনে যতই বিঘ্ন উপস্থিত হউক না কেন তাঁহাদিগকে মনুষোচিত দৃঢ়তা সহকারে পণ রক্ষার্থ চেষ্টা করিতে হইবে।
 স্বদেশের শিল্প বাণিজ্যের উন্নতি-সাধন করিতে গিয়া লোকে যে বৃটিশ গবর্ণমেণ্টের ন্যায় সুসভ্য ও উন্নতিশীল গবর্ণমেণ্টের হস্তে নিগৃহীত হইয়াছে, ইহাই আমার নিকট সর্ব্বাপেক্ষ বিচিত্র ব্যাপার বলিয়া বোধ হয়; নূতন প্রদেশের শাসনকর্ত্তারা,