পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (নবম সম্ভার).djvu/৩৬৬: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিসংকলন থেকে
TarunnoBot (আলোচনা | অবদান)
Text from Google OCR
 
আফতাব বট (আলোচনা | অবদান)
পাইউইকিবট স্পর্শ সম্পাদনা
 
(কোনও পার্থক্য নেই)

২২:০০, ১০ জুলাই ২০১৮ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শরৎ-সাহিত্য-সংগ্ৰহ নারীর সম্মান তাহার নিজের জন্ত নহে, তাহার সম্মান নির্ভর করে পুত্র-প্রসবের উপর। পুরুষের কাছে এই যদি তাহার নারী-জীবনের একটিমাত্র উদ্দেশ্য হইয়া থাকে, ইহা কোনমতেই তাহার গৌরবের বিষয় হইতে পারে না। কিন্তু সত্যই তাই। : এ-ছাড়া তাহার কাছে সংসার আর কিছুই আশা করে না, এবং সে যত-কিছু সন্মান দিয়া আসিয়াছে তাহা এই জন্যই। আমাদের শাস্ত্রে ক্ষেত্রজ সন্তানের বিধি আছে। কুন্তীকে পঞ্চপাণ্ডবের, অম্বিকা-অম্বালিকাকে পাণ্ডু-ধুতরাষ্ট্রের জন্ম দিতে হইয়াছিল। সতী নারীর পক্ষে ইহা শ্লাঘার কথা নহে। প্রাচীন ইহুদী সমাজে অপুত্ৰক বিধবা । ভ্রাতৃজায়াকে সন্তান-কামনায় দেবরের উপপত্নী হইয়া থাকিতে হইত। নারীর জন্ত যে-সকল শাস্ত্রীয় বিধি-ব্যবস্থা ভূটরনমির পচিশ অধ্যায়ের গোড়ার দিকে লিপিবদ্ধ করা আছে, পড়িলে ঘূণা জন্মিয় যায়। মনে হয়, সন্তান-কামনায় ইহাদের সমাজে নারীকে কি না করিতে হইত। এমনি আফ্রিকাতেও সস্তানের জন্য নারীকে বাধ্য হইয়া অসাধ্য সাধন করিতে হইত। হারবার্ট স্পেন্সর লিখিয়াছেন, Dahoman like all other semi-barbarians considers a numerous family the highest blessing. wifroi; of woot it is no disgrace for an unmarried woman to become the mother of numerous family; woman's irregularities are easily forgiven if she bears many children. Sfâlonso NGO it is honourable for a girl to have children. She then gets a wealthier husband and her father is paid a higher halym for her. So টেষ্টামেণ্ট বাইবেলের মতে স্ত্রীর সন্তান না হওয়া মহাপাপ। নারীর মূল্য কি দিয়া যে ধাৰ্য্য হয় সে-কথা বুঝাইবার জন্য আর বেশী নজির তুলিয়া গ্রন্থের কলেবর বৃদ্ধি করিতে ইচ্ছা করি না । পুরুষের এই স্বার্থের জন্তই যে তার মান, এইজন্তই যে মৰ্য্যাদা, আবশ্যক হইলে এ সত্য আরও সহস্র প্রকারে প্রমাণ করা যায়, কিন্তু সে প্রয়োজন বোধ করি নাই। কিন্তু স্বার্থের জন্তই যে পুরুষ তাহাকে চিরদিন নিৰ্য্যাতন এবং অপমান করিয়া আসিয়াছে, এ-সম্বন্ধে আরো কিছু বলা আবশ্বক। কেন না, এ-কথা পুরুষে বুঝিলেও স্ত্রীলোক বুঝে না, বোধ করি বুঝিতে চাহে না । সংসারে ছোট-খাটো মুখ-শাস্তির মধ্যে থাকিয়া স্বামীর মুখের দিকে চাহিয়া কি করিয়া সে মনে করিবে, এই স্বামী তাহার আন্তরিক মঙ্গল কামনা করে না । পিতার কাছে দাড়াইয়া কি করিয়া সে ভাবিবে, এই পিতা তাহার মিত্র নহে! বাস্তবিক পৃথগভাবে একটি একটি করিয়া দেখিলে এই সত্য হৃদয়ঙ্গম করা অসাধ্য, কিন্তু সমগ্রভাবে সমস্ত নারীজাতির মুখ-দুঃখের, ○2や