পাতা:গল্পগুচ্ছ (প্রথম খণ্ড).djvu/৭৯: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিসংকলন থেকে
JoyBot (আলোচনা | অবদান)
OCRed
 
আফতাব বট (আলোচনা | অবদান)
পাইউইকিবট স্পর্শ সম্পাদনা
(কোনও পার্থক্য নেই)

১৬:৪৬, ১১ জুলাই ২০১৮ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সম্পত্তি-সমর্পণ ዓ¢ তৃতীয় পরিচ্ছেদ যজ্ঞনাথের ঘরে নিতাই পালের এই অভাবনীয় সমাদর দেখিয়া গ্রামের লোক আশ্চর্য হইয়া গেল। বুঝিল, বৃদ্ধ আর বেশিদিন বাচিবে না এবং কোথাকার সেই বিদেশী ছেলেটাকেই সমস্ত বিষয় দিয়া বাইবে । বালকের উপর সকলেরই পরম ঈর্ষ উপস্থিত হইল, এবং সকলেই তাহার অনিষ্ট করিবার জন্য কৃতসংকল্প হইল। কিন্তু বৃদ্ধ তাহাকে বুকের পাজরের মতো ঢাকিয় বেড়াইত । ছেলেট মাঝে-মাঝে চলিয়া যাইবে বলিয়া শাসাইত। যজ্ঞনাথ তাহাকে প্রলোভন দেখাইতেন, “ভাই, তোকে আমি আমার সমস্ত বিষয়-আশয় দিয়া যাইব ।” বালকের বয়স অল্প কিন্তু এই আশ্বাসের মর্যাদা সে সম্পূর্ণ বুঝিতে পারিত ! তখন গ্রামের লোকেরা বালকের বাপের সন্ধানে প্রবৃত্ত হইল। তাহারা সকলেই বলিল, “আহা, বাপ-মার মনে না-জানি কত কষ্টই হইতেছে । ছেলেটাও তো পাপিষ্ঠ কম নয় ।” বলিয়া ছেলেটার উদেশে অকথ্য উচ্চারণে গালি প্রয়োগ করিত। তাহার এতই বেশি ঝাজ যে, ন্যায়ুবুদ্ধির উত্তেজনা অপেক্ষ তাহাতে স্বার্থের গাত্রদাহ বেশি অনুভূত হইত। বৃদ্ধ একদিন এক পথিকের কাছে শুনিতে পাইল, দামোদর পাল বলিয়া এক ব্যক্তি তাহার নিরুদিষ্ট পুত্রের সন্ধান করিয়া বেড়াইতেছে, অবশেষে এই গ্রামের অভিমুখেই আদিতেছে। নিতাই এই সংবাদ শুনিয়া অস্থির হইয়া উঠিল । ভাবী বিষয়-আশয় সমস্ত ত্যাগ করিয়া পলায়নোল্পত হইল । যজ্ঞনাথ নিতাইকে বারম্বার আশ্বাস দিয়া কহিলেন, “তোমাকে আমি এমন স্থানে লুকাইয়া রাখিব যে, কেহই খুজিয়া পাইবে না । গ্রামের লোকেরাও না ।” বালকের ভারি কৌতুহল হইল, কহিল, “কোথায় দেখাইয়া দাও-মা।” যজ্ঞনাথ কহিলেন, “এখন দেখাইতে গেলে প্রকাশ হইয়া পড়িবে। রাত্রে দেখাইব ।” اولین