পাতা:রাজর্ষি-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.djvu/১৪৪: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিসংকলন থেকে
আফতাব বট (আলোচনা | অবদান)
পাইউইকিবট স্পর্শ সম্পাদনা
পাতার অবস্থাপাতার অবস্থা
-
মুদ্রণ সংশোধন করা হয়নি
+
মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে
পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে):পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে):
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
প্রকাশ-পূর্বক অত্যন্ত পোষ-মানা বিনীত হাস্য হাসিতে হাসিতে রাজার সম্মুখে আসিয়া দাঁড়াইল।
রাজর্ষি S80

প্রকাশপূর্বক অত্যন্ত পোষ-মান বিনীত হান্ত হাসিতে হাসিতে রাজার সম্মুখে আসিয়া দাড়াইল । {}
রাজা তাহাকে দেখিয়াই জলিয়া উঠিলেন। বলিলেন, “হাসি কিসের জন্ত ! তুমি কি আমার সঙ্গে ঠাট্ট পাইয়াছ ! তুমি কি রহস্ত করিতে আসিয়াছ !”
রাজা তাহাকে দেখিয়াই জ্বলিয়া উঠিলেন। বলিলেন, “হাসি কিসের জন্য! তুমি কি আমার সঙ্গে ঠাট্টা পাইয়াছ! তুমি একি রহস্য করিতে আসিয়াছ!”

অমনি চোপদার জমাদার বরকন্দাজ মন্ত্রী অমাত্য সকলেই হাকার দিয়া উঠিল । তৎক্ষণাৎ কেদারেশ্বরের বিকশিত দন্তপংক্তির উপর
অমনি চোপদার জমাদার বরকন্দাজ মন্ত্রী অমাত্য সকলেই হাঁকার দিয়া উঠিল। তৎক্ষণাৎ কেদারেশ্বরের বিকশিত দন্তপঙ‍্‍ক্তির উপর যবনিকাপতন হইল।
• যবনিকাপতন হইল ।

ছত্রমাণিক্য কহিলেন, “তোমার কী বলিবার আছে শীঘ্ৰ বলিয়া চলিয়া যাও ।”
ছত্রমাণিক্য কহিলেন, “তোমার কী বলিবার আছে শীঘ্র বলিয়া চলিয়া যাও।”
কেদারেশ্বরের কী বলিবার ছিল মনে পড়িল না । অনেক কষ্টে সে মনে মনে যে বক্তৃতাটুকু গড়িয়া তুলিয়াছিল তাহ পেটের মধ্যেই চুরমার হইয়া গেল ।

অবশেষে রাজা যখন বলিলেন, “তোমার যদি কিছু বলিবার না থাকে তো চলিয়া যাও” তখন কেদারেশ্বর চটুপটু একটা যা হয় কিছু বলা আবশ্যক বিবেচনা করিল।
কেদারেশ্বরের কী বলিবার ছিল মনে পড়িল না। অনেক কষ্টে সে মনে মনে যে বক্তৃতাটুকু গড়িয়া তুলিয়াছিল তাহা পেটের মধ্যেই চুরমার হইয়া গেল।
চোখে মুখে কণ্ঠস্বরে সহসা প্রচুর পরিমাণে করুণরস সঞ্চার করিয়া বলিল, “মহারাজ, ধ্রুবকে কি ভুলিয়া গিয়াছেন ?”

ছত্রমাণিক্য অত্যন্ত আগুন হইয়া উঠিলেন। মুর্থ কেদারেশ্বর কিছুই বুঝিতে না পারিয়া কহিল, “সে যে মহারাজের জন্য 'কাকা কাকা' করিয়া কাদিয়া সারা হইতেছে।” o
অবশেষে রাজা যখন বলিলেন “তোমার যদি কিছু বলিবার না থাকে তো চলিয়া যাও”, তখন কেদারেশ্বর চটপট একটা যা হয় কিছু বলা আবশ্যক বিবেচনা করিল। চোখে মুখে কণ্ঠস্বরে সহসা প্রচুর পরিমাণে করুণ রস সঞ্চার করিয়া বলিল, “মহারাজ, ধ্রুবকে কি ভুলিয়া গিয়াছেন?”
ছত্রমাণিক্য কহিলেন, “তোমার আস্পর্ধ তো কম নয় দেখিতেছি । তোমার ভ্রাতু-পুত্র আমাকে কাক বলে! তুমি তাহাকে এই শিক্ষা দিয়াছ !”

কেদারেশ্বর অত্যস্ত কাতরভাবে জোড়হন্তে কছিল, “মহারাজ-*
ছত্রমাণিক্য অত্যন্ত আগুন হইয়া উঠিলেন। মূর্খ কেদারেশ্বর কিছুই বুঝিতে না পারিয়া কহিল, “সে যে মহারাজের জন্য কাকা কাকা করিয়া কাঁদিয়া সারা হইতেছে।”

ছত্রমাণিক্য কহিলেন, “তোমার আস্পর্ধা তো কম নয় দেখিতেছি। তোমার ভ্রাতুষ্পুত্র আমাকে কাকা বলে? তুমি তাহাকে এই শিক্ষা দিয়াছ!”

কেদারেশ্বর অত্যন্ত কাতর ভাবে জোড়হস্তে কহিল, “মহারাজ– ”

১৯:২২, ৬ অক্টোবর ২০১৮ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

প্রকাশ-পূর্বক অত্যন্ত পোষ-মানা বিনীত হাস্য হাসিতে হাসিতে রাজার সম্মুখে আসিয়া দাঁড়াইল।

রাজা তাহাকে দেখিয়াই জ্বলিয়া উঠিলেন। বলিলেন, “হাসি কিসের জন্য! তুমি কি আমার সঙ্গে ঠাট্টা পাইয়াছ! তুমি একি রহস্য করিতে আসিয়াছ!”

অমনি চোপদার জমাদার বরকন্দাজ মন্ত্রী অমাত্য সকলেই হাঁকার দিয়া উঠিল। তৎক্ষণাৎ কেদারেশ্বরের বিকশিত দন্তপঙ‍্‍ক্তির উপর যবনিকাপতন হইল।

ছত্রমাণিক্য কহিলেন, “তোমার কী বলিবার আছে শীঘ্র বলিয়া চলিয়া যাও।”

কেদারেশ্বরের কী বলিবার ছিল মনে পড়িল না। অনেক কষ্টে সে মনে মনে যে বক্তৃতাটুকু গড়িয়া তুলিয়াছিল তাহা পেটের মধ্যেই চুরমার হইয়া গেল।

অবশেষে রাজা যখন বলিলেন “তোমার যদি কিছু বলিবার না থাকে তো চলিয়া যাও”, তখন কেদারেশ্বর চটপট একটা যা হয় কিছু বলা আবশ্যক বিবেচনা করিল। চোখে মুখে কণ্ঠস্বরে সহসা প্রচুর পরিমাণে করুণ রস সঞ্চার করিয়া বলিল, “মহারাজ, ধ্রুবকে কি ভুলিয়া গিয়াছেন?”

ছত্রমাণিক্য অত্যন্ত আগুন হইয়া উঠিলেন। মূর্খ কেদারেশ্বর কিছুই বুঝিতে না পারিয়া কহিল, “সে যে মহারাজের জন্য কাকা কাকা করিয়া কাঁদিয়া সারা হইতেছে।”

ছত্রমাণিক্য কহিলেন, “তোমার আস্পর্ধা তো কম নয় দেখিতেছি। তোমার ভ্রাতুষ্পুত্র আমাকে কাকা বলে? তুমি তাহাকে এই শিক্ষা দিয়াছ!”

কেদারেশ্বর অত্যন্ত কাতর ভাবে জোড়হস্তে কহিল, “মহারাজ– ”