পাতা:গল্পগুচ্ছ (প্রথম খণ্ড).djvu/২৫১: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিসংকলন থেকে
আফতাব বট (আলোচনা | অবদান)
পাইউইকিবট স্পর্শ সম্পাদনা
Mohaguru (আলোচনা | অবদান)
পাতার অবস্থাপাতার অবস্থা
-
মুদ্রণ সংশোধন করা হয়নি
+
মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে
শীর্ষক (অন্তর্ভুক্ত হবে না):শীর্ষক (অন্তর্ভুক্ত হবে না):
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
{{rh||মধ্যবর্তিনী|২৪৭}}
পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে):পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে):
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
তাহা নিবারণ নিজেই বুঝিতে পারিল না। একেবারে পাগলের মতাে হইয়া হরসুন্দরীর কাছে গেল, বলিল, “সর্বনাশ হইয়াছে।”
মধ্যবর্তিনী Հ8Գ

তাহা নিবারণ নিজেই বুঝিতে পারিল না। একেবারে পাগলের মতো হইয়া হরমুন্দরীর কাছে গেল, বলিল, “সর্বনাশ হইয়াছে।”
{{gap}}হরসুন্দরী সমস্ত শুনিয়া একেবারে পাংশুবর্ণ হইয়া গেল।
হরমুন্দরী সমস্ত শুনিয়া একেবারে পাংশুবর্ণ হইয়া গেল । নিবারণ কহিল, "শীঘ্ৰ গহনাগুলো বহির করে ।” হরমুন্দরী কহিল, “সে তো আমি সমস্ত ছোটোবউকে দিয়াছি।” নিবারণ নিত্যস্ত শিশুর মতো অধীর হইয়া বলিতে লাগিল, "কেন দিলে ছোটোবউকে । কেন দিলে। কে তোমাকে দিতে বলিল ।”

হরমুন্দরী তাহার প্রকৃত উত্তর না দিয়া কহিল, “তাহাতে ক্ষতি কী হইয়াছে। সে তো আর জলে পড়ে নাই ।”
{{gap}}নিবারণ কহিল, “শীঘ্র গহনাগুলাে বহির করে।”
ভীরু নিবারণ কাতর স্বরে কহিল, “তবে যদি তুমি কোনো ছুতা করিয়া তাহার কাছ হইতে বাহির করিতে পার । কিন্তু, আমার মাথা খাও, বলিয়ে না যে, আমি চাহিতেছি কিম্বা কী জন্য চাহিতেছি ।”

তখন হরমুন্দরী মর্মাস্তিক বিরক্তি ও ঘৃণা-ভরে বলিয়া উঠিল, “এই কি তোমার ছলছুতা করিবার, সোহাগ দেখাইবার সময় । চলে * বলিয়া স্বামীকে লইয়া ছোটোবউয়ের ঘরে প্রবেশ করিল।
{{gap}}হরসুন্দরী কহিল, “সে তাে আমি সমস্ত ছােটোবউকে দিয়াছি।”
ছোটোবউ কিছু বুঝিল না । সে সকল কথাতেই বলিল, “সে আমি কী জানি ।”

ংসারের কোনো চিস্তা যে তাহাকে কখনো ভাবিতে হইবে এমন কথা কি তাহার সহিত ছিল । সকলে আপনার ভাবনা ভাবিবে এবং সকলে মিলিয়া শৈলবালার আরাম চিন্তা করিবে, অকস্মাৎ ইহার ব্যতিক্রম হয়, এ কী ভয়ানক অন্যায়।
{{gap}}নিবারণ নিতান্ত শিশুর মতাে অধীর হইয়া বলিতে লাগিল, “কেন দিলে ছােটোবউকে। কেন দিলে। কে তােমাকে দিতে বলিল।”
তখন নিবারণ শৈলবালার পায়ে ধরিয়া কাদিয়া পড়িল ৷ শৈলবালা কেবলই বলিল, “সে আমি জানি না। আমার জিনিস আমি কেন দিব ।”

নিবারণ দেখিল, ওই দুর্বল ক্ষুদ্র সুন্দর সুকুমারী বালিবfট লোহার সিন্দুকের অপেক্ষাও কঠিন। হরমুন্দরী সংকটের সময় স্বামীর এই দুর্বলতা দেখিয়া ঘৃণায় জর্জরিত হইয়া উঠিল। শৈলবালার চাবি বলপূর্বক কাড়িয়া লইতে গেল । শৈলবালা তৎক্ষণাং চাবির গোছা প্রাচীর লঙ্ঘন করিয়া পুষ্করিণীর মধ্যে ফেলিয়া দিল ।
{{gap}}হরসুন্দরী তাহার প্রকৃত উত্তর না দিয়া কহিল, “তাহাতে ক্ষতি কী হইয়াছে। সে তাে আর জলে পড়ে নাই।”

{{gap}}ভীরু নিবারণ কাতর স্বরে কহিল, “তবে যদি তুমি কোনাে ছুতা করিয়া তাহার কাছ হইতে বাহির করিতে পার। কিন্তু, আমার মাথা খাও, বলিয়ো না যে, আমি চাহিতেছি কিম্বা কী জন্য চাহিতেছি।”

{{gap}}তখন হরসুন্দরী মর্মান্তিক বিরক্তি ও ঘৃণাভরে বলিয়া উঠিল, “এই কি তােমার ছলছুতা করিবার, সােহাগ দেখাইবার সময়। চলো।” বলিয়া স্বামীকে লইয়া ছােটোবউয়ের ঘরে প্রবেশ করিল।।

{{gap}}ছােটোবউ কিছু বুঝিল না। সে সকল কথাতেই বলিল, “সে আমি কী জানি।”

{{gap}}সংসারের কোনাে চিন্তা যে তাহাকে কখনো ভাবিতে হইবে এমন কথা কি তাহার সহিত ছিল। সকলে আপনার ভাবনা ভাবিবে এবং সকলে মিলিয়া শৈলবালার আরাম চিন্তা করিবে, অকস্মাৎ ইহার ব্যতিক্রম হয়, এ কী ভয়ানক অন্যায়।

{{gap}}তখন নিবারণ শৈলবালার পায়ে ধরিয়া কাঁদিয়া পড়িল। শৈলবালা কেবলই বলিল, “সে আমি জানি না। আমার জিনিস আমি কেন দিব।”

{{gap}}নিবারণ দেখিল, ওই দুর্বল ক্ষুদ্র সুন্দর সুকুমারী বালিকাটি লােহার সিন্দুকের অপেক্ষাও কঠিন। হরসুন্দরী সংকটের সময় স্বামীর এই দুর্বলতা দেখিয়া ঘৃণায় জর্জরিত হইয়া উঠিল। শৈলবালার চাবি বলপূর্বক কাড়িয়া লইতে গেল। শৈলবালা তৎক্ষণাৎ চাবির গােছা প্রাচীর লজ্জন করিয়া পুষ্করিণীর মধ্যে ফেলিয়া দিল।

{{nop}}

২০:২০, ৩ জুন ২০১৯ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
মধ্যবর্তিনী
২৪৭

তাহা নিবারণ নিজেই বুঝিতে পারিল না। একেবারে পাগলের মতাে হইয়া হরসুন্দরীর কাছে গেল, বলিল, “সর্বনাশ হইয়াছে।”

 হরসুন্দরী সমস্ত শুনিয়া একেবারে পাংশুবর্ণ হইয়া গেল।

 নিবারণ কহিল, “শীঘ্র গহনাগুলাে বহির করে।”

 হরসুন্দরী কহিল, “সে তাে আমি সমস্ত ছােটোবউকে দিয়াছি।”

 নিবারণ নিতান্ত শিশুর মতাে অধীর হইয়া বলিতে লাগিল, “কেন দিলে ছােটোবউকে। কেন দিলে। কে তােমাকে দিতে বলিল।”

 হরসুন্দরী তাহার প্রকৃত উত্তর না দিয়া কহিল, “তাহাতে ক্ষতি কী হইয়াছে। সে তাে আর জলে পড়ে নাই।”

 ভীরু নিবারণ কাতর স্বরে কহিল, “তবে যদি তুমি কোনাে ছুতা করিয়া তাহার কাছ হইতে বাহির করিতে পার। কিন্তু, আমার মাথা খাও, বলিয়ো না যে, আমি চাহিতেছি কিম্বা কী জন্য চাহিতেছি।”

 তখন হরসুন্দরী মর্মান্তিক বিরক্তি ও ঘৃণাভরে বলিয়া উঠিল, “এই কি তােমার ছলছুতা করিবার, সােহাগ দেখাইবার সময়। চলো।” বলিয়া স্বামীকে লইয়া ছােটোবউয়ের ঘরে প্রবেশ করিল।।

 ছােটোবউ কিছু বুঝিল না। সে সকল কথাতেই বলিল, “সে আমি কী জানি।”

 সংসারের কোনাে চিন্তা যে তাহাকে কখনো ভাবিতে হইবে এমন কথা কি তাহার সহিত ছিল। সকলে আপনার ভাবনা ভাবিবে এবং সকলে মিলিয়া শৈলবালার আরাম চিন্তা করিবে, অকস্মাৎ ইহার ব্যতিক্রম হয়, এ কী ভয়ানক অন্যায়।

 তখন নিবারণ শৈলবালার পায়ে ধরিয়া কাঁদিয়া পড়িল। শৈলবালা কেবলই বলিল, “সে আমি জানি না। আমার জিনিস আমি কেন দিব।”

 নিবারণ দেখিল, ওই দুর্বল ক্ষুদ্র সুন্দর সুকুমারী বালিকাটি লােহার সিন্দুকের অপেক্ষাও কঠিন। হরসুন্দরী সংকটের সময় স্বামীর এই দুর্বলতা দেখিয়া ঘৃণায় জর্জরিত হইয়া উঠিল। শৈলবালার চাবি বলপূর্বক কাড়িয়া লইতে গেল। শৈলবালা তৎক্ষণাৎ চাবির গােছা প্রাচীর লজ্জন করিয়া পুষ্করিণীর মধ্যে ফেলিয়া দিল।