পাতা:জাপানে-পারস্যে-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৪৪: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিসংকলন থেকে
পাইউইকিবট স্পর্শ সম্পাদনা
Mouryan (আলোচনা | অবদান)
পাতার অবস্থাপাতার অবস্থা
-
মুদ্রণ সংশোধন করা হয়নি
+
মুদ্রণ সংশোধন করা হয়নি
শীর্ষক (অন্তর্ভুক্ত হবে না):শীর্ষক (অন্তর্ভুক্ত হবে না):
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
{{RunningHeader|৩৪|চাঁদের পাহাড়|}}
পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে):পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে):
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
මේව8 জাপানে-পারস্ত্যে
{{center|জাপানে-পারস্যে}}

কিছুই এগোয় না। আর যেটুকু বাশি শুনে পাগল হয়ে চলি, যে-চলায় মরা বাচা জ্ঞান থাকে না, সেই পাগলের চলাতেই জগং এগিয়ে চলেছে। সেই চলাকে নিন্দার ভিতর দিয়ে, বাধার ভিতর দিয়ে চলতে হয়, কোনো নজির মানতে গেলেই তাকে থমকে দাড়াতে হয়। তার এই চলার বিরুদ্ধে হাজার রকম যুক্তি আছে, সে যুক্তি তর্কের দ্বারা খণ্ডন করা যায় না। তার এই চলার কেবল একটিমাত্র কৈফিয়ং আছে, —সে বলছে ওই অন্ধকারের ভিতর দিয়ে বঁাশি আমাকে ডাকছে। নইলে কেউ কি সাধ করে আপনার সীমা ডিঙিয়ে যেতে পারে ?
{{gap}}কিছুই এগোয় না। আর যেটুকু বাঁশি শুনে পাগল হয়ে চলি, যে-চলায় মরা বাঁচা জ্ঞান থাকে না, সেই পাগলের চলাতেই জগৎ এগিয়ে চলেছে। সেই চলাকে নিন্দার ভিতর দিয়ে, বাধার ভিতর দিয়ে চলতে হয়, কোনো নজির মানতে গেলেই তাকে থমকে দাঁড়াতে। তার এই চলার বিরুদ্ধে হাজার রকম যুক্তি আছে, সে যুক্তি তর্কের দ্বারা খণ্ডন করা যায় না। তার এই চলার কেবল একটিমাত্র কৈফিয়ৎ আছে, —সে বলছে ওই অন্ধকারের ভিতর দিয়ে বাঁশি আমাকে ডাকছে। নইলে কেউ কি সাধ করে আপনার সীমা ডিঙিয়ে যেতে পারে ?
যেদিক থেকে ওই মনোহরণ অন্ধকারের বঁশি বাজছে, ওই দিকেই মামুষের সমস্ত আরাধনা, সমস্ত কাব্য, সমস্ত শিল্পকলা, সমস্ত বীরত্ব, সমস্ত আত্মত্যাগ মুখ ফিরিয়ে আছে ; ওই দিকে চেয়েই মানুষ রাজ্যমুখ জলাঞ্জলি দিয়ে বিরাগী হয়ে বেরিয়ে গেছে, মরণকে মাথায় করে নিয়েছে। ওই কালোকে দেখে মানুষ ভুলেছে । ওই কালোর বঁশিতেই মানুষকে উত্তর মেরু দক্ষিণ মেরুতে টানে, অনুবীক্ষণ দূরবীক্ষণের রাস্ত বেয়ে মানুষের মন দুর্গমের পথে ঘুরে বেড়ায়, বারবার মরতে মরতে সমুদ্র-পারের পথ বের করে, বার বার মরতে মরতে আকাশ-পারের ডানা
যেদিক থেকে ওই মনোহরণ অন্ধকারের বাঁশি বাজছে, ওই দিকেই মানুষের সমস্ত আরাধনা, সমস্ত কাব্য, সমস্ত শিল্পকলা, সমস্ত বীরত্ব, সমস্ত আত্মত্যাগ মুখ ফিরিয়ে আছে ; ওই দিকে চেয়েই মানুষ রাজ্যসুখ জলাঞ্জলি দিয়ে বিরাগী হয়ে বেরিয়ে গেছে, মরণকে মাথায় করে নিয়েছে। ওই কালোকে দেখে মানুষ ভুলেছে । ওই কালোর বাঁশিতেই মানুষকে উত্তর মেরু দক্ষিণ মেরুতে টানে, অনুবীক্ষণ দূরবীক্ষণের রাস্তা বেয়ে মানুষের মন দুর্গমের পথে ঘুরে বেড়ায়, বারবার মরতে মরতে সমুদ্র-পারের পথ বের করে, বার বার মরতে মরতে আকাশ-পারের ডানা মেলতে থাকে ।
মেলতে থাকে ।
মানুষের মধ্যে যে-সব মহাজাতি কুলত্যাগিনী, তারাই এগচ্ছে,— ভয়ের ভিতর থেকে অভয়ে, বিপদের ভিতর দিয়ে সম্পদে । যারা সর্বনাশ কালোর বাশি শুনতে পেলে না, তারা কেবল পুথির নজির জড়ো করে কুল আঁকড়ে বসে রইল—তারা কেবল শাসন মানতেই আছে। তারা কেন বৃথা এই আনন্দলোকে জন্মেছে, যেখানে সীমা
{{gap}}মানুষের মধ্যে যে-সব মহাজাতি কুলত্যাগিনী, তারাই এগচ্ছে,— ভয়ের ভিতর থেকে অভয়ে, বিপদের ভিতর দিয়ে সম্পদে । যারা সর্বনাশ কালোর বাঁশি শুনতে পেলে না, তারা কেবল পুঁথির নজির জড়ো করে কুল আঁকড়ে বসে রইল—তারা কেবল শাসন মানতেই আছে। তারা কেন বৃথা এই আনন্দলোকে জন্মেছে, যেখানে সীমা
/কাটিয়ে অসীমের সঙ্গে নিত্যলীলাই হচ্ছে জীবনযাত্র, যেখানে বিধানকে
/কাটিয়ে অসীমের সঙ্গে নিত্যলীলাই হচ্ছে জীবনযাত্র, যেখানে বিধানকে ভাসিয়ে দিতে থাকাই হচ্ছে বিধি ।
ভাসিয়ে দিতে থাকাই হচ্ছে বিধি ।

১১:২১, ২৯ জুন ২০১৯ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
৩৪
চাঁদের পাহাড়
জাপানে-পারস্যে

 কিছুই এগোয় না। আর যেটুকু বাঁশি শুনে পাগল হয়ে চলি, যে-চলায় মরা বাঁচা জ্ঞান থাকে না, সেই পাগলের চলাতেই জগৎ এগিয়ে চলেছে। সেই চলাকে নিন্দার ভিতর দিয়ে, বাধার ভিতর দিয়ে চলতে হয়, কোনো নজির মানতে গেলেই তাকে থমকে দাঁড়াতে। তার এই চলার বিরুদ্ধে হাজার রকম যুক্তি আছে, সে যুক্তি তর্কের দ্বারা খণ্ডন করা যায় না। তার এই চলার কেবল একটিমাত্র কৈফিয়ৎ আছে, —সে বলছে ওই অন্ধকারের ভিতর দিয়ে বাঁশি আমাকে ডাকছে। নইলে কেউ কি সাধ করে আপনার সীমা ডিঙিয়ে যেতে পারে ? যেদিক থেকে ওই মনোহরণ অন্ধকারের বাঁশি বাজছে, ওই দিকেই মানুষের সমস্ত আরাধনা, সমস্ত কাব্য, সমস্ত শিল্পকলা, সমস্ত বীরত্ব, সমস্ত আত্মত্যাগ মুখ ফিরিয়ে আছে ; ওই দিকে চেয়েই মানুষ রাজ্যসুখ জলাঞ্জলি দিয়ে বিরাগী হয়ে বেরিয়ে গেছে, মরণকে মাথায় করে নিয়েছে। ওই কালোকে দেখে মানুষ ভুলেছে । ওই কালোর বাঁশিতেই মানুষকে উত্তর মেরু দক্ষিণ মেরুতে টানে, অনুবীক্ষণ দূরবীক্ষণের রাস্তা বেয়ে মানুষের মন দুর্গমের পথে ঘুরে বেড়ায়, বারবার মরতে মরতে সমুদ্র-পারের পথ বের করে, বার বার মরতে মরতে আকাশ-পারের ডানা মেলতে থাকে ।  মানুষের মধ্যে যে-সব মহাজাতি কুলত্যাগিনী, তারাই এগচ্ছে,— ভয়ের ভিতর থেকে অভয়ে, বিপদের ভিতর দিয়ে সম্পদে । যারা সর্বনাশ কালোর বাঁশি শুনতে পেলে না, তারা কেবল পুঁথির নজির জড়ো করে কুল আঁকড়ে বসে রইল—তারা কেবল শাসন মানতেই আছে। তারা কেন বৃথা এই আনন্দলোকে জন্মেছে, যেখানে সীমা /কাটিয়ে অসীমের সঙ্গে নিত্যলীলাই হচ্ছে জীবনযাত্র, যেখানে বিধানকে ভাসিয়ে দিতে থাকাই হচ্ছে বিধি ।