পাতা:জাপানে-পারস্যে-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৮৮: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
টাইপো সংশোধন |
|||
শীর্ষক (অন্তর্ভুক্ত হবে না): | শীর্ষক (অন্তর্ভুক্ত হবে না): | ||
১ নং লাইন: | ১ নং লাইন: | ||
{{RunningHeader||১৪|}} |
|||
পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে): | পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে): | ||
১ নং লাইন: | ১ নং লাইন: | ||
{{gap}}যেমন যেমন দেখছি তেমনি তেমনি লিখে যাওয়া আর সম্ভব নয়। |
|||
Ꮌ8 |
|||
পূর্বেই লিখেছি, জাপানিরা বেশি ছবি দেওয়ালে টাঙায় না, গৃহসজ্জায় ঘর |
|||
ভরে ফেলে না। যা তাদের কাছে রমণীয়, তা তারা অল্প করে দেখে |
|||
দেখা সম্বন্ধে এরা যথার্থ ভােগী বলেই, দেখা সম্বন্ধে এদের পেটুকতা নাই |
|||
এরা জানে, অল্প করে না দেখলে পূর্ণ পরিমাণে দেখা হয় না। জাপান-দেখ |
|||
সম্বন্ধেও আমার তাই ঘটছে ;—দেখবার জিনিস একেবারে হুড়মুড় করে |
|||
চারিদিকে থেকে চোখের উপর চেপে পড়ছে ;তাই প্রত্যেকটিকে সুম্প |
|||
করে সম্পূর্ণ করে দেখা এখন আর সম্ভব হয় না। এখন কিছু রেখে কিছু |
|||
বাদ দিয়ে চলতে হবে। |
|||
এখানে এসেই আদর অভ্যর্থনার সাইক্লোনের মধ্যে পড়ে গেছি ; সেই সঙ্গে খবরের কাগজের চরের চারিদিকে তুফান লাগিয়ে দিয়েছে । এদে ফাক দিয়ে যে জাপানের আর কিছু দেখব, এমন আশা ছিল না। জাহাজে এরা ছেকে ধরে, রাস্তায় এর সঙ্গে সঙ্গে চলে, ঘরের মধ্যে এর ঢুকে পড়তে |
|||
{{gap}}এখানে এসেই আদর অভ্যর্থনার সাইক্লোনের মধ্যে পড়ে গেছি ; সেই |
|||
ংকোচ করে না । |
|||
সঙ্গে খবরের কাগজের চরেরা চারিদিকে তুফান লাগিয়ে দিয়েছে। এদের |
|||
এই কৌতুহলীর ভিড় ঠেলতে ঠেলতে, অবশেষে টােকিও শহরে এে পৌঁছনো গেল। এখানে আমাদের চিত্রকর বন্ধু য়োকোয়াম টাইক্কানে বাড়িতে এসে আশ্রয় পেলুম । এখন থেকে ক্রমে জাপানের অন্তরের পরিচ |
|||
ফাঁক দিয়ে যে জাপানের আর কিছু দেখব, এমন আশা ছিল না। জাহাজে |
|||
⚫ | |||
এরা ছেঁকে ধরে, রাস্তায় এরা সঙ্গে সঙ্গে চলে, ঘরের মধ্যে এরা ঢুকে পড়তে |
|||
প্রথমেই জুতো জোড়াটাকে বাড়ির দরজার কাছে ত্যাগ করতে হল। বুঝলুম জুতো জোড়াটা রাস্তার, পা জিনিসটাই ঘরের। ধুলে জিনিসটাও দেখলুম এদের ঘরের নয়, সেটা বাইরের পৃথিবীর । বাড়ি |
|||
সংকোচ করে না। |
|||
jknj |
|||
{{gap}}এই কৌতূহলীর ভিড় ঠেলতে ঠেলতে, অবশেষে টোকিও শহরে এসে |
|||
পৌপৌঁছনো গেল। এখানে আমাদের চিত্রকর বন্ধু য়োয়ামা টাইক্কানে |
|||
বাড়িতে এসে আশ্রয় পেলুম । এখন থেকে ক্রমে জাপানের অন্তরের পরিচ |
|||
⚫ | |||
{{gap}}প্রথমেই জুতাে জোড়াটাকে বাড়ির দরজার কাছে ত্যাগ করতে |
|||
হল। বুঝলুম জুতাে জোড়াটা রাস্তার, পা জিনিসটাই ঘরের। ধূলে |
|||
জিনিসটাও দেখলুম এদের ঘরের নয়, সেটা বাইরের পৃথিবীর। বাড়ি |
১২:৪৯, ২৯ জুন ২০১৯ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
যেমন যেমন দেখছি তেমনি তেমনি লিখে যাওয়া আর সম্ভব নয়। পূর্বেই লিখেছি, জাপানিরা বেশি ছবি দেওয়ালে টাঙায় না, গৃহসজ্জায় ঘর ভরে ফেলে না। যা তাদের কাছে রমণীয়, তা তারা অল্প করে দেখে দেখা সম্বন্ধে এরা যথার্থ ভােগী বলেই, দেখা সম্বন্ধে এদের পেটুকতা নাই এরা জানে, অল্প করে না দেখলে পূর্ণ পরিমাণে দেখা হয় না। জাপান-দেখ সম্বন্ধেও আমার তাই ঘটছে ;—দেখবার জিনিস একেবারে হুড়মুড় করে চারিদিকে থেকে চোখের উপর চেপে পড়ছে ;তাই প্রত্যেকটিকে সুম্প করে সম্পূর্ণ করে দেখা এখন আর সম্ভব হয় না। এখন কিছু রেখে কিছু বাদ দিয়ে চলতে হবে।
এখানে এসেই আদর অভ্যর্থনার সাইক্লোনের মধ্যে পড়ে গেছি ; সেই সঙ্গে খবরের কাগজের চরেরা চারিদিকে তুফান লাগিয়ে দিয়েছে। এদের ফাঁক দিয়ে যে জাপানের আর কিছু দেখব, এমন আশা ছিল না। জাহাজে এরা ছেঁকে ধরে, রাস্তায় এরা সঙ্গে সঙ্গে চলে, ঘরের মধ্যে এরা ঢুকে পড়তে সংকোচ করে না।
এই কৌতূহলীর ভিড় ঠেলতে ঠেলতে, অবশেষে টোকিও শহরে এসে পৌপৌঁছনো গেল। এখানে আমাদের চিত্রকর বন্ধু য়োয়ামা টাইক্কানে বাড়িতে এসে আশ্রয় পেলুম । এখন থেকে ক্রমে জাপানের অন্তরের পরিচ পেতে আরম্ভ করা গেল।
প্রথমেই জুতাে জোড়াটাকে বাড়ির দরজার কাছে ত্যাগ করতে হল। বুঝলুম জুতাে জোড়াটা রাস্তার, পা জিনিসটাই ঘরের। ধূলে জিনিসটাও দেখলুম এদের ঘরের নয়, সেটা বাইরের পৃথিবীর। বাড়ি