পাতা:ভগ্নহৃদয় - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.djvu/১৮: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
|||
পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে): | পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে): | ||
২১ নং লাইন: | ২১ নং লাইন: | ||
হয়ত হৃদয়ে তব কিসের যাতনা |
হয়ত হৃদয়ে তব কিসের যাতনা |
||
আপনি মুরলা তাহা জানিতে পারনা! |
আপনি মুরলা তাহা জানিতে পারনা! |
||
হয়ত গো যৌবনের |
হয়ত গো যৌবনের বসন্ত সমীরে |
||
মানস-কুসুম তব ফুটেছে সুধীরে, |
মানস-কুসুম তব ফুটেছে সুধীরে, |
||
প্রণয় বারির তরে তৃষায় আকুল |
প্রণয় বারির তরে তৃষায় আকুল |
০৩:৫৫, ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১২
ভগ্নহৃদয় ।
আপনার মনে ভ্ৰমিতে দুজনে
ধরি ধরি হাতে হাতে!
তখন না জানি কি মন্ত্র, কবি গো,
দিলে মুরলার কানে!
কি মায়া না জানি দিয়েছিলে পড়ি
সখীর তরুণ প্রাণে!
বেলা হোয়ে এল সজনি এখন,
করিয়াছে পান প্রভাত-কিরণ
ফুল-বধূটীর অধর হইতে
প্রতি শিশিরের কণা।
তুই থাক্ হেথা আমি যাই ফিরে,
অমনি ডাকিয়া লব মালতীরে,
একেলা ত বালা, অত ফুলমালা
গাঁথিবারে পারিবনা!
কবি।—মুরলা, তোমার কেন, ভাবনার ভাব হেন?
কতবার শুধায়েছি বলনি আমারে!
লুকায়োনা কোন কথা, যদি কোন থাকে ব্যথা
রুধিয়া রেখোনা তাহা হৃদয় মাঝারে!
হয়ত হৃদয়ে তব কিসের যাতনা
আপনি মুরলা তাহা জানিতে পারনা!
হয়ত গো যৌবনের বসন্ত সমীরে
মানস-কুসুম তব ফুটেছে সুধীরে,
প্রণয় বারির তরে তৃষায় আকুল