পাতা:তিতাস একটি নদীর নাম.djvu/২৮৩: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিসংকলন থেকে
আফতাব বট (আলোচনা | অবদান)
পাইউইকিবট স্পর্শ সম্পাদনা
পাতার অবস্থাপাতার অবস্থা
-
মুদ্রণ সংশোধন করা হয়নি
+
মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে
শীর্ষক (অন্তর্ভুক্ত হবে না):শীর্ষক (অন্তর্ভুক্ত হবে না):
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
{{rh|তিতাস একটি নদীর নাম||২৭১}}
পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে):পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে):
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
নতুন জল মালোপাড়ার গায়ে ধাক্কা দিয়া তার পূর্ণত। ঘোষণা করিয়াছে। ঘরবাড়ির কিনারায় বেতঝোপ, বনজমানী, ছিট্‌কির গাছগাছালি ছিল—নুতন জলের তলায় এখন সেগুলির কোমর অবধি ডুবিয়া গিয়াছে। তার আশেপাশে ঢেউ ঢোকে না, স্রোত চলে, সেই স্রোতে নিরিবিলিতে উজাইয়৷ চলে ছোট ছোট মাছ। পুটি চাদ খলসে ডিম ছাড়িয়াছে, বাচ্চা হইয়াছে, সাতার কাটিতে আর দল বাধিয়া স্রোত ঠেলিয়া উজাইতে শিখিয়াছে সে-সব মাছের। থালা ধুইতে গেলে এত কাছ দিয়া চলে, যেন অঁাচল পাতিয়াই ধরা যাইবে। অনন্ত এখানে একটা ছোট জাল পাতিলে বেশ ধরিতে পারিত ! হাটে নিয়া বেচিতেও পারিত । এই সময় মাছের দর বাড়ে। উজনিয়া-জলে অঢেল মাছ ধরা দেয় না ; কমিবার মুখে মরা জলে যত মাছ মারা পড়ে, তখন মাছের দর থাকে
{{gap}}নতুন জল মালোপাড়ার গায়ে ধাক্কা দিয়া তার পূর্ণতা ঘোষণা করিয়াছে। ঘরবাড়ির কিনারায় বেতঝোপ, বনজমানী, ছিট্‌কির গাছগাছালি ছিল—নূতন জলের তলায় এখন সেগুলির কোমর অবধি ডুবিয়া গিয়াছে। তার আশেপাশে ঢেউ ঢোকে না, স্রোত চলে, সেই স্রোতে নিরিবিলিতে উজাইয়৷ চলে ছোট ছোট মাছ। পুঁটি চাঁদা খলসে ডিম ছাড়িয়াছে, বাচ্চা হইয়াছে, সাঁতার কাটিতে আর দল বাঁধিয়া স্রোত ঠেলিয়া উজাইতে শিখিয়াছে সে-সব মাছেরা। থালা ধুইতে গেলে এত কাছ দিয়া চলে, যেন আঁচল পাতিয়াই ধরা যাইবে। অনন্ত এখানে একটা ছোট জাল পাতিলে বেশ ধরিতে পারিত! হাটে নিয়া বেচিতেও পারিত। এই সময় মাছের দর বাড়ে। উজানিয়া-জলে অঢেল মাছ ধরা দেয় না; কমিবার মুখে মরা জলে যত মাছ মারা পড়ে, তখন মাছের দর থাকে কম। এখন দর খুব বেশি।

কম। এখন দর খুব বেশি। ঘাটে লোক নাই। নিরালা ঘাট পাইয়া ঝণকে ঝণকে
তারা ঘাট অতিক্রম করিতেছে। এই রকম কত ঘাট ডিঙ্গাইয়া আসিয়াছে, আরও কতঘাট ডিঙ্গাইতে হইবে, তারপর এত বাধা-বিল্পের পাহাড় ঠেলিয়। কোথায় গিয়া তাহাদের যাত্রা শেষ হইবে, কোথায় তাহাদের পথের শেষ, কে জানে! কে তার খোজ রাখে ? কিন্তু তারা উজাইবে । থালা দিয়া ঢেউ খেলাইয়া বাধা দাও, তারা আলোড়নে কাপিয়া কঁাপিয়া একটু পিছু হটিয়া যাইবে । কিন্তু জল স্থির হইলে আবার তার চলিতে থাকিবে । হাত বাড়াইয়া ধরিতে
{{gap}}ঘাটে লোক নাই। নিরালা ঘাট পাইয়া ঝাঁকে ঝাঁকে তারা ঘাট অতিক্রম করিতেছে। এই রকম কত ঘাট ডিঙ্গাইয়া আসিয়াছে, আরও কতঘাট ডিঙ্গাইতে হইবে, তারপর এত বাধা-বিঘ্নের পাহাড় ঠেলিয়া কোথায় গিয়া তাহাদের যাত্রা শেষ হইবে, কোথায় তাহাদের পথের শেষ, কে জানে! কে তার খোঁজ রাখে? কিন্তু তারা উজাইবে। থালা দিয়া ঢেউ খেলাইয়া বাধা দাও, তারা আলোড়নে কাঁপিয়া কাঁপিয়া একটু পিছু হটিয়া যাইবে। কিন্তু জল স্থির হইলে আবার তারা চলিতে থাকিবে। হাত বাড়াইয়া ধরিতে

০৭:১৬, ১৬ মার্চ ২০২০ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
তিতাস একটি নদীর নাম
২৭১

 নতুন জল মালোপাড়ার গায়ে ধাক্কা দিয়া তার পূর্ণতা ঘোষণা করিয়াছে। ঘরবাড়ির কিনারায় বেতঝোপ, বনজমানী, ছিট্‌কির গাছগাছালি ছিল—নূতন জলের তলায় এখন সেগুলির কোমর অবধি ডুবিয়া গিয়াছে। তার আশেপাশে ঢেউ ঢোকে না, স্রোত চলে, সেই স্রোতে নিরিবিলিতে উজাইয়৷ চলে ছোট ছোট মাছ। পুঁটি চাঁদা খলসে ডিম ছাড়িয়াছে, বাচ্চা হইয়াছে, সাঁতার কাটিতে আর দল বাঁধিয়া স্রোত ঠেলিয়া উজাইতে শিখিয়াছে সে-সব মাছেরা। থালা ধুইতে গেলে এত কাছ দিয়া চলে, যেন আঁচল পাতিয়াই ধরা যাইবে। অনন্ত এখানে একটা ছোট জাল পাতিলে বেশ ধরিতে পারিত! হাটে নিয়া বেচিতেও পারিত। এই সময় মাছের দর বাড়ে। উজানিয়া-জলে অঢেল মাছ ধরা দেয় না; কমিবার মুখে মরা জলে যত মাছ মারা পড়ে, তখন মাছের দর থাকে কম। এখন দর খুব বেশি।

 ঘাটে লোক নাই। নিরালা ঘাট পাইয়া ঝাঁকে ঝাঁকে তারা ঘাট অতিক্রম করিতেছে। এই রকম কত ঘাট ডিঙ্গাইয়া আসিয়াছে, আরও কতঘাট ডিঙ্গাইতে হইবে, তারপর এত বাধা-বিঘ্নের পাহাড় ঠেলিয়া কোথায় গিয়া তাহাদের যাত্রা শেষ হইবে, কোথায় তাহাদের পথের শেষ, কে জানে! কে তার খোঁজ রাখে? কিন্তু তারা উজাইবে। থালা দিয়া ঢেউ খেলাইয়া বাধা দাও, তারা আলোড়নে কাঁপিয়া কাঁপিয়া একটু পিছু হটিয়া যাইবে। কিন্তু জল স্থির হইলে আবার তারা চলিতে থাকিবে। হাত বাড়াইয়া ধরিতে