পাতা:আমি কেন ঈশ্বরে বিশ্বাস করিনা - প্রবীর ঘোষ.pdf/১২০: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
|||
পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে): | পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে): | ||
৩ নং লাইন: | ৩ নং লাইন: | ||
{{gap}}ভারতে বর্ণাশ্রম সৃষ্টি করেছিল মনুর দেওয়া ধর্মীয় অনুশাসন। মনু সংহিতা'য় মনু বললেনঃ |
{{gap}}ভারতে বর্ণাশ্রম সৃষ্টি করেছিল মনুর দেওয়া ধর্মীয় অনুশাসন। মনু সংহিতা'য় মনু বললেনঃ |
||
{{center| |
{{center|লােকানান্তু বিবৃদ্ধার্থং মুখবাহুরুপাদতঃ।}} |
||
{{center|ব্রাহ্মণং ক্ষত্রিয়ং বৈশ্যং |
{{center|ব্রাহ্মণং ক্ষত্রিয়ং বৈশ্যং শুদ্ৰঞ্চ নিরবর্তয়ৎ ॥ [১:৩১]}} |
||
{{gap}}অর্থাৎ, পৃথিবীর মানুষদের সমৃদ্ধি কামনায় পরমেশ্বর নিজের মুখ, বাহু, উরু ও পা থেকে যথাক্রমে ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য ও শূদ্র—এই চার বর্ণ সৃষ্টি করলেন। |
{{gap}}অর্থাৎ, পৃথিবীর মানুষদের সমৃদ্ধি কামনায় পরমেশ্বর নিজের মুখ, বাহু, উরু ও পা থেকে যথাক্রমে ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য ও শূদ্র—এই চার বর্ণ সৃষ্টি করলেন। |
||
{{gap}}ব্রাহ্মণদের কাজ তথা ধর্ম হল—অধ্যাপন, অধ্যয়ন, যজন, যাজন, দান, ও প্রতিগ্ৰহ, এই |
{{gap}}ব্রাহ্মণদের কাজ তথা ধর্ম হল—অধ্যাপন, অধ্যয়ন, যজন, যাজন, দান, ও প্রতিগ্ৰহ, এই ছয়টি। [১ঃ৮৮] |
||
{{gap}}ক্ষত্রিয়দের কাজ তথা ধর্ম—প্রজারক্ষণ, দান, যজ্ঞ, অধ্যয়ন, ভােগাসক্তি নিয়ন্ত্রণ। [১ : ৮৯] |
{{gap}}ক্ষত্রিয়দের কাজ তথা ধর্ম—প্রজারক্ষণ, দান, যজ্ঞ, অধ্যয়ন, ভােগাসক্তি নিয়ন্ত্রণ। [১ : ৮৯] |
||
১৭ নং লাইন: | ১৭ নং লাইন: | ||
{{center|একমেব তু শূদ্রস্য প্রভুঃ কৰ্ম্ম সমাদিশৎ।}} |
{{center|একমেব তু শূদ্রস্য প্রভুঃ কৰ্ম্ম সমাদিশৎ।}} |
||
{{center|এতেষামেব বর্ণানাং |
{{center|এতেষামেব বর্ণানাং শুশ্রূষামনসূয়য়া।। [১ঃ৯৯]}} |
||
{{gap}}অর্থাৎ, ক্ষুণ্ণ না হয়ে, প্রসন্নমনে ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয় ও বৈশ্যদের সেবা করা শূদ্রগণের প্রধান কর্তব্য, এই নির্দেশ ব্রহ্মা দিলেন। |
{{gap}}অর্থাৎ, ক্ষুণ্ণ না হয়ে, প্রসন্নমনে ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয় ও বৈশ্যদের সেবা করা শূদ্রগণের প্রধান কর্তব্য, এই নির্দেশ ব্রহ্মা দিলেন। |
||
{{gap}}‘শূদ্র' নামের এই দাসদের পারিশ্রমিক বা বেতন দিতে হত না। দেবার প্রশ্নই নেই। মনু বলেছেন-দাসত্বের কাজ নির্বাহ করার জন্য |
{{gap}}‘শূদ্র' নামের এই দাসদের পারিশ্রমিক বা বেতন দিতে হত না। দেবার প্রশ্নই নেই। মনু বলেছেন-দাসত্বের কাজ নির্বাহ করার জন্য বিধাতা শূদ্রকে সৃষ্টি করছেন—“দাস্যায়ৈর হি সৃষ্টোহসৌ ব্রাহ্মণস্য স্বয়ম্ভুবা" [৮:৪১৩]। কিন্তু দাসদের বাঁচিয়ে তো রাখতে হবে, বেগার খাটাবার জন্যেই বাঁচিয়ে রাখতে হবে । শিল্প ও কৃষির দ্বারা নিজেদের ভােগকে চরিতার্থ করার জন্য এইসব শিল্প দাস ও কৃমিদাসদের বাঁচিয়ে রাখতে হবে। সেইজন্য মনু বিধান দিয়েছেন—শুদ্ৰভৃত্যকে উচ্ছিষ্ট অন্ন, জীর্ণ বসন, জীর্ণ শয্যা বা ঘর দান করিবে [১০:১২৫]। |
||
{{center|O}} |
{{center|O}} |
||
{{center|'''মনু বলেছেন—দাসত্বের কাজ নির্বাহ করার জন্য বিধাতা শূদ্রকে সৃষ্টি'''}} |
{{center|'''মনু বলেছেন—দাসত্বের কাজ নির্বাহ করার জন্য বিধাতা শূদ্রকে সৃষ্টি'''}} |
||
{{center|'''করেছেন—“দাস্যায়ৈর হি |
{{center|'''করেছেন—“দাস্যায়ৈর হি সৃষ্টোহসৌ ব্রাহ্মণস্য স্বয়ম্ভুবা” [৮ঃ৪১৩]।'''}} |
||
{{center|'''কিন্তু দাসদের বাঁচিয়ে তাে রাখতে হবে, বেগার খাটাবার জন্যেই'''}} |
{{center|'''কিন্তু দাসদের বাঁচিয়ে তাে রাখতে হবে, বেগার খাটাবার জন্যেই'''}} |
||
{{center|'''বাঁচিয়ে রাখতে হবে। শিল্প ও কৃষির দ্বারা নিজেদের ভােগকে চরিতার্থ'''}} |
{{center|'''বাঁচিয়ে রাখতে হবে। শিল্প ও কৃষির দ্বারা নিজেদের ভােগকে চরিতার্থ'''}} |
০৮:৩৪, ৩ নভেম্বর ২০২০ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
আমাদের দেশের মানুষদের প্রধান ধর্ম ইসলাম ও হিন্দু বলে এই দু'টি ধর্ম নিয়ে আলােচনা সীমাবদ্ধ রেখেছি। অন্য প্রধান ধর্মগুলােতেও একইভাবে পুরুষ দ্বারা নারীকে অবদমিত রাখার ষড়যন্ত্র ব্যাপকভাবেই উপস্থিত।
ভারতে বর্ণাশ্রম সৃষ্টি করেছিল মনুর দেওয়া ধর্মীয় অনুশাসন। মনু সংহিতা'য় মনু বললেনঃ
অর্থাৎ, পৃথিবীর মানুষদের সমৃদ্ধি কামনায় পরমেশ্বর নিজের মুখ, বাহু, উরু ও পা থেকে যথাক্রমে ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য ও শূদ্র—এই চার বর্ণ সৃষ্টি করলেন।
ব্রাহ্মণদের কাজ তথা ধর্ম হল—অধ্যাপন, অধ্যয়ন, যজন, যাজন, দান, ও প্রতিগ্ৰহ, এই ছয়টি। [১ঃ৮৮]
ক্ষত্রিয়দের কাজ তথা ধর্ম—প্রজারক্ষণ, দান, যজ্ঞ, অধ্যয়ন, ভােগাসক্তি নিয়ন্ত্রণ। [১ : ৮৯]
বৈশ্যদের ধর্ম—পশুরক্ষণ, দান, যজ্ঞ, অধ্যয়ন, বাণিজ্য, ধনবৃদ্ধির জন্য ধনপ্রয়ােগ ও কৃষিকার্য পরিচালন। [১: ৯০]
শুদ্রদের কাজ বা ধর্ম--
অর্থাৎ, ক্ষুণ্ণ না হয়ে, প্রসন্নমনে ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয় ও বৈশ্যদের সেবা করা শূদ্রগণের প্রধান কর্তব্য, এই নির্দেশ ব্রহ্মা দিলেন।
‘শূদ্র' নামের এই দাসদের পারিশ্রমিক বা বেতন দিতে হত না। দেবার প্রশ্নই নেই। মনু বলেছেন-দাসত্বের কাজ নির্বাহ করার জন্য বিধাতা শূদ্রকে সৃষ্টি করছেন—“দাস্যায়ৈর হি সৃষ্টোহসৌ ব্রাহ্মণস্য স্বয়ম্ভুবা" [৮:৪১৩]। কিন্তু দাসদের বাঁচিয়ে তো রাখতে হবে, বেগার খাটাবার জন্যেই বাঁচিয়ে রাখতে হবে । শিল্প ও কৃষির দ্বারা নিজেদের ভােগকে চরিতার্থ করার জন্য এইসব শিল্প দাস ও কৃমিদাসদের বাঁচিয়ে রাখতে হবে। সেইজন্য মনু বিধান দিয়েছেন—শুদ্ৰভৃত্যকে উচ্ছিষ্ট অন্ন, জীর্ণ বসন, জীর্ণ শয্যা বা ঘর দান করিবে [১০:১২৫]।
১২০