পাতা:আমি কেন ঈশ্বরে বিশ্বাস করিনা - প্রবীর ঘোষ.pdf/১০৮: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
অ বট অনাকাঙ্ক্ষিত ফাঁক সরাচ্ছে, কোন সমস্যা? |
||
পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে): | পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে): | ||
১ নং লাইন: | ১ নং লাইন: | ||
লিখল, শ্মশানে কচি কচি ঘাস হয়। তারপর আর কি, “এই ঘাস গরুতে খায়" লিখেই সরাসরি ঝাঁপিয়ে পড়ল গরুর রচনায়। |
লিখল, শ্মশানে কচি কচি ঘাস হয়। তারপর আর কি, “এই ঘাস গরুতে খায়" লিখেই সরাসরি ঝাঁপিয়ে পড়ল গরুর রচনায়। |
||
{{gap}}আজ পর্যন্ত বহু ধর্মের ধর্মগুরুদের সঙ্গেই পরিচিত হয়েছি। অনেকের সঙ্গেই অধ্যাত্মবাদ, আত্মা, পরমাত্মা, নিয়তি, অলৌকিকত্ব, জন্মান্তরবাদ ইত্যাদি প্রসঙ্গ নিয়ে আলােচনা করার সুযােগ হয়েছে। কিন্তু আলােচনা যে বিষয়েই হােক, এক সময় তাঁদের প্রত্যেকের কাছেই গরুর রচনার মত এনে ফেলেছি একটি প্রশ্ন—ঈশ্বর মানুষ সৃষ্টি করেছিলেন কোন উদ্দেশ্যে |
{{gap}}আজ পর্যন্ত বহু ধর্মের ধর্মগুরুদের সঙ্গেই পরিচিত হয়েছি। অনেকের সঙ্গেই অধ্যাত্মবাদ, আত্মা, পরমাত্মা, নিয়তি, অলৌকিকত্ব, জন্মান্তরবাদ ইত্যাদি প্রসঙ্গ নিয়ে আলােচনা করার সুযােগ হয়েছে। কিন্তু আলােচনা যে বিষয়েই হােক, এক সময় তাঁদের প্রত্যেকের কাছেই গরুর রচনার মত এনে ফেলেছি একটি প্রশ্ন—ঈশ্বর মানুষ সৃষ্টি করেছিলেন কোন উদ্দেশ্যে? |
||
{{gap}}প্রত্যেকেরই উত্তর ছিল এক ও অভিন্ন। মানুষ সৃষ্টির উদ্দেশ্য ঈশ্বরের নাম ভজনা ও গুণ কীর্তন করা। সে ঈশ্বরকে কৃষ্ণ, যিশু, যেহােভা, আল্লাহ বা অন্য যে নামেই ডাকি। |
{{gap}}প্রত্যেকেরই উত্তর ছিল এক ও অভিন্ন। মানুষ সৃষ্টির উদ্দেশ্য ঈশ্বরের নাম ভজনা ও গুণ কীর্তন করা। সে ঈশ্বরকে কৃষ্ণ, যিশু, যেহােভা, আল্লাহ বা অন্য যে নামেই ডাকি। |
||
{{gap}}মানুষ সৃষ্টির উদ্দেশ্য যদি ঈশ্বর, আল্লাহ বা ওই ধরনের কোনও পরমাত্মার নাম ভজনা ও গুণকীর্তনই হয়ে থাকে, তাহলে অন্যান্য জীব সৃষ্টির কারণ কী? হাতি, ঘােড়া, বাঘ, ভাল্লুক, আরশােলা কি পিঁপড়ে, সব্বাই কি তবে ঈশ্বর ভজনা করে |
{{gap}}মানুষ সৃষ্টির উদ্দেশ্য যদি ঈশ্বর, আল্লাহ বা ওই ধরনের কোনও পরমাত্মার নাম ভজনা ও গুণকীর্তনই হয়ে থাকে, তাহলে অন্যান্য জীব সৃষ্টির কারণ কী? হাতি, ঘােড়া, বাঘ, ভাল্লুক, আরশােলা কি পিঁপড়ে, সব্বাই কি তবে ঈশ্বর ভজনা করে? ওইসব প্রাণীরা কোন ঈশ্বরের ভজনা করে? কৃষ্ণের না |
||
আল্লাহের |
আল্লাহের? যিশুর না বুদ্ধের? তাদের ঈশ্বর সাকার না নিরাকার? সাকার হলে দেখতে কেমন? পিঁপড়ের ঈশ্বর কি পিঁপড়ের মত দেখতে, বাঘের ঈশ্বর দেখতে বাঘের মত? |
||
{{center|O}} |
{{center|O}} |
||
১৯ নং লাইন: | ১৯ নং লাইন: | ||
{{gap}}আচ্ছা, মৃত্যুর পর সব প্রাণীদেরই আত্মার নিশ্চয়ই বিচার হয় |
{{gap}}আচ্ছা, মৃত্যুর পর সব প্রাণীদেরই আত্মার নিশ্চয়ই বিচার হয়? সব প্রাণীরই কি ন্যায়-অন্যায়, পাপ-পুণ্য বােধ আছে? একটা শুঁয়ােপােকা থেকে জেলিফিস, সব্বারই এই ধরনের বােধ আছে? মানুষ ছাড়া অন্য জীবদের মধ্যে অথবা বহু জীবদের মধ্যে যদি এই ধরনের ন্যায়-অন্যায়বােধ কাজ না করে, সেক্ষেত্রে সে-সব প্রাণীর পাপ-পুণ্যের বিচার হয় কীভাবে? ওদের পাপ-পুণ্যের হিসেব রাখার জন্যেও কি চিত্রগুপ্ত, কেরামান-কাতেবীনরা হিসেবের খাতা খুলে তৎপর? অথবা তৎপর রয়েছেন না কোনও ধর্মের ঈশ্বর বা ঈশ্বরের প্রতিনিধি? ভাইরাস থেকে শ্যাওলা—সব প্রাণীরই কি পাপ-পুণ্যের হিসেব হয়? |
||
সবারই শেষ বিচার করেন ঈশ্বর |
সবারই শেষ বিচার করেন ঈশ্বর? |
||
{{gap}}আচ্ছা, ভাইরাসের পাপ-পুণ্যের বােধােদয় হয় কোন বয়সে? আর, সজনে গাছটার বােধােদয় হয় কোন বয়স থেকে |
{{gap}}আচ্ছা, ভাইরাসের পাপ-পুণ্যের বােধােদয় হয় কোন বয়সে? আর, সজনে গাছটার বােধােদয় হয় কোন বয়স থেকে? বীজ থেকে গাছের বােধের উদয় আগে হয়? না, কলমের গাছের ন্যায়-অন্যায় বােধটা আগে টনটনে হয়? |
২০:১২, ১০ নভেম্বর ২০২০ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
লিখল, শ্মশানে কচি কচি ঘাস হয়। তারপর আর কি, “এই ঘাস গরুতে খায়" লিখেই সরাসরি ঝাঁপিয়ে পড়ল গরুর রচনায়।
আজ পর্যন্ত বহু ধর্মের ধর্মগুরুদের সঙ্গেই পরিচিত হয়েছি। অনেকের সঙ্গেই অধ্যাত্মবাদ, আত্মা, পরমাত্মা, নিয়তি, অলৌকিকত্ব, জন্মান্তরবাদ ইত্যাদি প্রসঙ্গ নিয়ে আলােচনা করার সুযােগ হয়েছে। কিন্তু আলােচনা যে বিষয়েই হােক, এক সময় তাঁদের প্রত্যেকের কাছেই গরুর রচনার মত এনে ফেলেছি একটি প্রশ্ন—ঈশ্বর মানুষ সৃষ্টি করেছিলেন কোন উদ্দেশ্যে?
প্রত্যেকেরই উত্তর ছিল এক ও অভিন্ন। মানুষ সৃষ্টির উদ্দেশ্য ঈশ্বরের নাম ভজনা ও গুণ কীর্তন করা। সে ঈশ্বরকে কৃষ্ণ, যিশু, যেহােভা, আল্লাহ বা অন্য যে নামেই ডাকি।
মানুষ সৃষ্টির উদ্দেশ্য যদি ঈশ্বর, আল্লাহ বা ওই ধরনের কোনও পরমাত্মার নাম ভজনা ও গুণকীর্তনই হয়ে থাকে, তাহলে অন্যান্য জীব সৃষ্টির কারণ কী? হাতি, ঘােড়া, বাঘ, ভাল্লুক, আরশােলা কি পিঁপড়ে, সব্বাই কি তবে ঈশ্বর ভজনা করে? ওইসব প্রাণীরা কোন ঈশ্বরের ভজনা করে? কৃষ্ণের না আল্লাহের? যিশুর না বুদ্ধের? তাদের ঈশ্বর সাকার না নিরাকার? সাকার হলে দেখতে কেমন? পিঁপড়ের ঈশ্বর কি পিঁপড়ের মত দেখতে, বাঘের ঈশ্বর দেখতে বাঘের মত?
মানুষ সৃষ্টির উদ্দেশ্য যদি ঈশ্বর, আল্লাহ বা ওই ধরনের কোনও
পরমাত্মার নাম ভজনা ও গুণকীর্তনই হয়ে থাকে, তাহলে অন্যান্য
জীব সৃষ্টির কারণ কী? হাতি, ঘােড়া, বাঘ, ভালুক, আরশোলা কি
পিঁপড়ে, সব্বাই কি তবে ঈশ্বর ভজনা করে?
আচ্ছা, মৃত্যুর পর সব প্রাণীদেরই আত্মার নিশ্চয়ই বিচার হয়? সব প্রাণীরই কি ন্যায়-অন্যায়, পাপ-পুণ্য বােধ আছে? একটা শুঁয়ােপােকা থেকে জেলিফিস, সব্বারই এই ধরনের বােধ আছে? মানুষ ছাড়া অন্য জীবদের মধ্যে অথবা বহু জীবদের মধ্যে যদি এই ধরনের ন্যায়-অন্যায়বােধ কাজ না করে, সেক্ষেত্রে সে-সব প্রাণীর পাপ-পুণ্যের বিচার হয় কীভাবে? ওদের পাপ-পুণ্যের হিসেব রাখার জন্যেও কি চিত্রগুপ্ত, কেরামান-কাতেবীনরা হিসেবের খাতা খুলে তৎপর? অথবা তৎপর রয়েছেন না কোনও ধর্মের ঈশ্বর বা ঈশ্বরের প্রতিনিধি? ভাইরাস থেকে শ্যাওলা—সব প্রাণীরই কি পাপ-পুণ্যের হিসেব হয়?
সবারই শেষ বিচার করেন ঈশ্বর?
আচ্ছা, ভাইরাসের পাপ-পুণ্যের বােধােদয় হয় কোন বয়সে? আর, সজনে গাছটার বােধােদয় হয় কোন বয়স থেকে? বীজ থেকে গাছের বােধের উদয় আগে হয়? না, কলমের গাছের ন্যায়-অন্যায় বােধটা আগে টনটনে হয়?
১০৮