পাতা:সুকুমার রায় রচনাবলী-প্রথম খণ্ড.djvu/৪০: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
Kaushik sur (আলোচনা | অবদান) |
অ বট অনাকাঙ্ক্ষিত ফাঁক সরাচ্ছে, কোন সমস্যা? |
||
পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে): | পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে): | ||
২১ নং লাইন: | ২১ নং লাইন: | ||
কিছুতেই সারাবে না এই তার ফন্দি— |
কিছুতেই সারাবে না এই তার ফন্দি— |
||
একদিন এনে তারে এইখানে ভুলিয়ে, |
একদিন এনে তারে এইখানে ভুলিয়ে, |
||
গেঁটেবাত ঘেঁটে-ঘুঁটে সব দেব |
গেঁটেবাত ঘেঁটে-ঘুঁটে সব দেব ঘুলিয়ে। |
||
কার কানে কট্কট্ কার নাকে সর্দি, |
কার কানে কট্কট্ কার নাকে সর্দি, |
||
এস, এস, ভয় কিসে? আমি আছি বদ্যি। |
এস, এস, ভয় কিসে? আমি আছি বদ্যি। |
২০:২৮, ১০ নভেম্বর ২০২০ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
একবার দেখে যাও ডাক্তারি কেরামৎ—
কাটা ছেঁড়া ভাঙা চেরা চট্পট্ মেরামৎ।
কয়েছেন গুরু মোর, “শোন শোন বৎস,
কাগজের রোগী কেটে আগে কর মক্স।”
উৎসাহে কি না হয়? কি না হয় চেষ্টায়?
অভ্যাসে চট্পট্ হাত পাকে শেষটায়।
খেটে খুটে জল হ’ল শরীরের রক্ত—
শিখে দেখি বিদ্যেটা নয় কিছু শক্ত।
কাটা ছেঁড়া ঠুক্ঠাক্, কত দেখ যন্ত্র,
ভেঙে চুরে জুড়ে দেই তারও জানি মন্ত্র।
চোখ বুজে চট্পট্ বড়-বড় মূর্তি,
যত কাটি ঘ্যাঁস্ ঘ্যাঁস্ তত বাড়ে ফূর্তি।
ঠ্যাং-কাটা গলা-কাটা কত কাটা হস্ত,
শিরিষের আঠা দিয়ে জুড়ে দেয় চোস্ত।
এইবারে বলি তাই, রোগী চাই জ্যান্ত—
ওরে ভোলা, গোটাছয় রোগী ধরে আন্ তো!
গেঁটেবাতে ভুগে মরে ও পাড়ার নন্দী,
কিছুতেই সারাবে না এই তার ফন্দি—
একদিন এনে তারে এইখানে ভুলিয়ে,
গেঁটেবাত ঘেঁটে-ঘুঁটে সব দেব ঘুলিয়ে।
কার কানে কট্কট্ কার নাকে সর্দি,
এস, এস, ভয় কিসে? আমি আছি বদ্যি।
শুয়ে কেরে? ঠ্যাং-ভাঙা? ধ’রে আন্ এখেনে,
স্ক্রুপ দিয়ে এঁটে দেব কিরকম দেখে নে।
গালফোলা কাঁদো কেন? দাঁতে বুঝি বেদনা?
এস এস ঠুকে দেই—আর মিছে কেঁদো না;
এই পাশে গোটা দুই, ওই পাশে তিনটে—
দাঁতগুলো টেনে দেখি— কোথা গেল চিমটে?
ছেলে হও, বুড়ো হও, অন্ধ কি পঙ্গু,
মোর কাছে ভেদ নাই, কলেরা কি ডেঙ্গু—
কালাজ্বর, পালাজ্বর, পুরানো কি টাট্কা,
হাতুড়ির এক ঘায়ে একেবারে আট্কা !