পাতা:সিরাজদ্দৌলা - অক্ষয়কুমার মৈত্রেয়.pdf/৩০৯: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
অ বট অনাকাঙ্ক্ষিত ফাঁক সরাচ্ছে, কোন সমস্যা? |
অ বট অনাকাঙ্ক্ষিত ফাঁক সরাচ্ছে, কোন সমস্যা? |
||
পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে): | পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে): | ||
১ নং লাইন: | ১ নং লাইন: | ||
হইল |
হইল; ক্লাইব বাহিরে আসিয়া ফরাসি-দূতকে ডাকিয়া বলিলেন, ‘আর |
||
সন্ধি হইবে না; অতঃপর কেবল যুদ্ধ। |
সন্ধি হইবে না; অতঃপর কেবল যুদ্ধ। |
||
৭ নং লাইন: | ৭ নং লাইন: | ||
সুতরাং নূতন পণ্টন আসিয়াছে বলিয়াই যে তাঁহাদের মতিপরিবর্তন হইল, |
সুতরাং নূতন পণ্টন আসিয়াছে বলিয়াই যে তাঁহাদের মতিপরিবর্তন হইল, |
||
ফরাসিরা তাহা সহজেই বুঝিতে পারিলেন। তাঁহারা চন্দননগরে সংবাদ |
ফরাসিরা তাহা সহজেই বুঝিতে পারিলেন। তাঁহারা চন্দননগরে সংবাদ |
||
পাঠাইলেন যে, আর সন্ধির আশা বৃথা |
পাঠাইলেন যে, আর সন্ধির আশা বৃথা; অতঃপর কেবল যুদ্ধ ! |
||
{{gap}}ইংরাজ-দরবার স্থির করিলেন, অতঃপর কেবল যুদ্ধ ! কিন্তু ওয়াটসন |
{{gap}}ইংরাজ-দরবার স্থির করিলেন, অতঃপর কেবল যুদ্ধ ! কিন্তু ওয়াটসন |
||
১৩ নং লাইন: | ১৩ নং লাইন: | ||
যুদ্ধঘােষণা করিবেন না, এ সংবাদে ক্লাইব হতবুদ্ধি হইয়া পড়িলেন। জাহাজ- |
যুদ্ধঘােষণা করিবেন না, এ সংবাদে ক্লাইব হতবুদ্ধি হইয়া পড়িলেন। জাহাজ- |
||
গুলি ওয়াটসনের আজ্ঞাবহ, জাহাজ না লইয়া চন্দননগর আক্রমণ করা |
গুলি ওয়াটসনের আজ্ঞাবহ, জাহাজ না লইয়া চন্দননগর আক্রমণ করা |
||
বিড়ম্বনা মাত্র |
বিড়ম্বনা মাত্র; সুতরাং ওয়াটসকে বুঝাইবার জন্য সকলেই ব্যস্ত হইয়া |
||
উঠিলেন। কিন্তু ওয়াটসনের সংকল্প অচল অটল। সকলেই বুঝিয়াছিলেন |
উঠিলেন। কিন্তু ওয়াটসনের সংকল্প অচল অটল। সকলেই বুঝিয়াছিলেন |
||
যে সিরাজদ্দৌলার অনুমতি পাওয়া অসম্ভব |
যে সিরাজদ্দৌলার অনুমতি পাওয়া অসম্ভব; তথাপি ওয়াটসনের অনুরােধে |
||
নবাবের অনুমতির জন্য অপেক্ষা করিতে হইল। |
নবাবের অনুমতির জন্য অপেক্ষা করিতে হইল। |
||
২২:১৩, ১০ নভেম্বর ২০২০ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
হইল; ক্লাইব বাহিরে আসিয়া ফরাসি-দূতকে ডাকিয়া বলিলেন, ‘আর
সন্ধি হইবে না; অতঃপর কেবল যুদ্ধ।
সহসা ইংরাজের মতিপরিবর্তন হইল কেন, ফরাসিরা অার তাহা লইয়া কোনরূপ অন্দোলন করিলেন না। ইংরাজ তাহাদের পুরাতন বন্ধু (!) সুতরাং নূতন পণ্টন আসিয়াছে বলিয়াই যে তাঁহাদের মতিপরিবর্তন হইল, ফরাসিরা তাহা সহজেই বুঝিতে পারিলেন। তাঁহারা চন্দননগরে সংবাদ পাঠাইলেন যে, আর সন্ধির আশা বৃথা; অতঃপর কেবল যুদ্ধ !
ইংরাজ-দরবার স্থির করিলেন, অতঃপর কেবল যুদ্ধ ! কিন্তু ওয়াটসন তাহাতে সম্মত হইলেন না। নবাবের অনুমতি না পাইলে তিনি কিছুতেই যুদ্ধঘােষণা করিবেন না, এ সংবাদে ক্লাইব হতবুদ্ধি হইয়া পড়িলেন। জাহাজ- গুলি ওয়াটসনের আজ্ঞাবহ, জাহাজ না লইয়া চন্দননগর আক্রমণ করা বিড়ম্বনা মাত্র; সুতরাং ওয়াটসকে বুঝাইবার জন্য সকলেই ব্যস্ত হইয়া উঠিলেন। কিন্তু ওয়াটসনের সংকল্প অচল অটল। সকলেই বুঝিয়াছিলেন যে সিরাজদ্দৌলার অনুমতি পাওয়া অসম্ভব; তথাপি ওয়াটসনের অনুরােধে নবাবের অনুমতির জন্য অপেক্ষা করিতে হইল।
ওয়াট্সন ভাবিয়াছিলেন যে, সিরাজদ্দৌলা দিল্লীর ভয়ে জড়সড় হইয়া ছেন, এ সময়ে একটু তর্জন গর্জন করিয়া পত্র লিখিলে অবশ্যই অনুমতি পাওয়া যাইবে। তিনি সেই উদ্দেশ্যে লিখিয়া পাঠাইলেন :-
স্পষ্ট কথা বলিবার সময় উপস্থিত হইয়াছে। শান্তিরক্ষা করা যদি আপনার অভিপ্রেত হয়, অসহায় প্রজাপুঞ্জের ধনপ্রাণ রক্ষা করা যদি আপনার রাজধৰ্ম্ম হয়, তবে অদ্য হইতে দশ দিবসের মধ্যে আমাদের প্রাপ্য শেষ কপর্দক পর্যন্ত পরিশােখ করিয়া দিবেন। অন্যথাচরণ করিলে সমূহ দুর্ঘটনা উপস্থিত হইবে। আমরা কেবল, সরল ব্যবহার করিয়া আসিতেছি, এখনও সরল ব্যবহার করিবার জন্যই বলিতেছি আমাদের অবশিষ্ট সেনাদল শীঘ্রই কলিকাতায় উপনীত হইবে, এবং আবশ্যক বুঝি