মাঝির ছেলে: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিসংকলন থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Safuan12616 (আলোচনা | অবদান)
"{{শীর্ষক | শিরোনাম = মাঝির ছেলে | লেখক = মানিক বন্দ্যোপাধ্..." দিয়ে পাতা তৈরি
 
সম্পাদনা সারাংশ নেই
৩ নং লাইন: ৩ নং লাইন:
| লেখক = মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়
| লেখক = মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়
| অনুবাদক =
| অনুবাদক =
| আদ্যক্ষর =
| আদ্যক্ষর =
| অনুচ্ছেদ =
| অনুচ্ছেদ =
| পূর্ববর্তী =
| পূর্ববর্তী = [[\এক\]]
| পরবর্তী =
| পরবর্তী =
| বছর = ১৯২৯ খ্রিস্টাব্দ
| বছর = ১৯২৯
| টীকা =
| টীকা =
}}
}}


<pages index="মাঝির ছেলে - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf" from=1 to= 109/>
<pages index="মাঝির ছেলে - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf" from=1 to= 2/>
{{page break}}
<pages index="মাঝির ছেলে - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf" from=3 to= 3/>
{{page break}}
<pages index="মাঝির ছেলে - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf" from=4 to= 4/>
{{page break}}
<pages index="মাঝির ছেলে - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf" from=5 to= 7/>
{{page break}}

{{PD-India}}

১৬:৩৬, ২০ নভেম্বর ২০২০ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

মাঝির ছেলে

মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়

ইণ্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েটেড্ পাব্‌লিশিং কোং প্রাইভেট লিঃ

৯ ৩ ম হা ত্মা গা ন্ধী রো ড, ক লি কা তা — ৭

প্রথম সংস্করণঃ
৭ই অগ্রহায়ণ,
১৮৫১ শকাব্দ

২.৫০
নঃ পঃ

প্রচ্ছদসজ্জাঃ
অজিত গুপ্ত

প্রকাশকঃ শ্রীজিতেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়, বি. এ.
৯৩, মহাত্মা গান্ধী রোড, কলিকাতা-৭
মুদ্রাকরঃ শ্রীবিমলকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়
তারকনাথ প্রেস
২, ফড়িয়াপুকুর স্ট্রীট, কলিকাতা-৪

ছোটখাট স্টীমার ঘাট আটখামার। নদী এখানে খুব চওড়া। কুয়াশা যখন নদীর বুকে একটুও নেই, এপারে দাঁড়িয়ে ওপারের দিকে তাকালে মনে হবে নদীর ওপার বুঝি পিছিয়ে পিছিয়ে দূরে গিয়ে চোখের সামনে জমাটি-বাঁধা কুয়াশার মত ঝাপসা হয়ে আসছে।

 সারাদিনে মোটে তিনটি স্টীমার ভেড়ে আটখামারে। সকালে, দুপুরে আর সন্ধ্যার পর। যাত্রী আর মালপত্র ওঠে নামে এত কম যে স্টীমার কোম্পানীর পরিচালকেরা তাদের টাইমটেবল দেখে আটখামার নামটা একবোরে তুলে দেবার কথাটাও মাঝে মাঝে ভাবেন।

 একদিন সকালে ঘাটের কাছে ছোট একটি নৌকার গলুই-এ বসে হারু মাঝির ভাইপো নাগা খেসারির ডাল চিবোচ্ছিল। আকাশ বেয়ে সূর্য সবে হাতখানেক ওপরে উঠেছে, স্টীমার আসতে অনেক দেরি। মাঝ নদীতে একটি স্টীমার দেখা যাচ্ছে, কিন্তু এ স্টীমার ঘাটের ধারে কাছেও ভিড়বে না, দূর দিয়ে চলে যাবে। কোথায় যাবে কে জানে? সারাদিন কত জাহাজ যায় নদী দিয়ে, রাত্রে কত জাহাজ থেকে সার্চ লাইটের তীব্র আলো এসে চোখ ঝলসে দেয়, তারা কোথা থেকে আসে আর কোথায় যায় জানতে এমন ইচ্ছা করে নাগার!

 পাশে একটি নৌকা এসে ভিড়ল, করমতলার তালুকদার যাদববাবুর নৌকা। যাদববাবু ব্যস্তভাবে ছই-এর ভেতর থেকে বেরিয়ে এসে লাফ দিয়ে তীরে উঠলেন,—হাসিমুখে মাথাটা একটু কাত করে নাগার অস্তিত্ব স্বীকার করে নিয়ে, মনে যাতে তার কষ্ট না হয় যে তাকে তিনি একেবারে গ্রাহ্যই করলেন না। প্রথম দেখলে যাদববাবুকে মোটা মনে হয়, আর বিস্ময় জাগে যে এমন মোটা মানুষটার মানানসই ভুঁড়ি কোথায় গেল? তারপর বুঝা যায়, তিনি ঠিক মোটা নন, একটু ঢিলধরা জবরদস্ত পালোয়ানী চেহারা বলে মোটা মনে হয়। এককালে তিনি নাকি মস্ত কুস্তিগীর ছিলেন, কুস্তি ছেড়ে দেবার পর শরীরটা নরম হয়ে গেছে।

এই লেখাটি বর্তমানে পাবলিক ডোমেইনের আওতাভুক্ত কারণ এটির উৎসস্থল ভারত এবং ভারতীয় কপিরাইট আইন, ১৯৫৭ অনুসারে এর কপিরাইট মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে। লেখকের মৃত্যুর ৬০ বছর পর (স্বনামে ও জীবদ্দশায় প্রকাশিত) বা প্রথম প্রকাশের ৬০ বছর পর (বেনামে বা ছদ্মনামে এবং মরণোত্তর প্রকাশিত) পঞ্জিকাবর্ষের সূচনা থেকে তাঁর সকল রচনার কপিরাইটের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যায়। অর্থাৎ ২০২৪ সালে, ১ জানুয়ারি ১৯৬৪ সালের পূর্বে প্রকাশিত (বা পূর্বে মৃত লেখকের) সকল রচনা পাবলিক ডোমেইনের আওতাভুক্ত হবে।