পাতা:মিবার-গৌরব-কথা - হেমলতা দেবী.pdf/২৯: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
Bodhisattwa (আলোচনা | অবদান) |
|||
পাতার অবস্থা | পাতার অবস্থা | ||
- | + | মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে | |
পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে): | পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে): | ||
১ নং লাইন: | ১ নং লাইন: | ||
⚫ | মালদেবের দুহিতা! একি পুরুষ না নারী। কিছুই বুঝিতে পারিতেছি না—ইহারই হস্তে কি আমার প্রাণ যাইবে? বিবাহান্তে হামির বাসর গৃহে গিয়া বসিলেন। সে স্থানও নির্জ্জন এবং নিরানন্দ। নববধু তাঁহার পার্শ্বে বসিয়া রহিয়াছেন, হামির সন্দেহের সহিত একবার বধূর দিকে, একবার গৃহের চারিদিকে চাহিয়া দেখিতেছেন, কিন্তু একেবারে নীরব। কে যেন তাঁহার জিহ্বাকে অবশ করিয়া দিয়াছে। নববধু স্বামীর মনের ভয়ানক অবস্থা বুঝিতে পারিয়া আস্তে আস্তে বলিলেন, “যেরূপ ভাবে বিবাহ হইল, তাহাতে নিশ্চয়ই আপনি মনে নানা প্রকার সন্দেহ করিয়া কষ্ট পাইতেছেন। এইরূপ বিবাহ হইবার প্রকৃত কারণ আপনাকে বলিব, আপনি কিরূপ ভাবে গ্রহণ করিবেন জানি না। মহারাজ! আমি বাল-বিধবা ছিলাম,কবে যে আমার বিবাহ হইয়াছিল আমার স্মরণ হয় না। পিতা এই কারণেই লুকাইয়া আমাকে আপনার সহিত বিবাহ দিলেন, এবং এই কারণেই বিবাহের কোন আয়োজন হয় নাই। প্রার্থনা করি আপনি আমাকে ঘৃণা পূর্ব্বক পরিত্যাগ করিবেন না।” হামির কিছুক্ষণ নীরবে থাকিয়া বলিলেন, “রাজকুমারি, তোমার অপরাধ কি? আমি বিধিপূর্ব্বক তোমার পাণিগ্রহণ করিয়াছি, তুমি |
||
মালদেবের দুহিতা। একি পুরুষ না নারী। কিছুই বুঝিতে পারিতেছি না—ইহারই হস্তে কি আমার প্রাণ যাইবে? |
|||
বিবাহান্তে হামির বাসর গৃহে গিয়া বসিলেন। সে স্থানও নির্জন এবং নিরানন্দ। নববধু তাঁহার পার্শ্বে বসিয়া |
|||
রহিয়াছেন, হামির সন্দেহের সহিত একবার বধুর দিকে, একবার গৃহের চারিদিকে চাহিয়া দেখিতেছেন, কিন্তু একেবারে নীরব। কে যেন তাঁহার জিহ্বাকে অবশ করিয়া দিয়াছে। নববধু স্বামীর মনের ভয়ানক অবস্থা বুঝিতে পারিয়া আস্তে আস্তে বলিলেন, “যেরূপ ভাবে বিবাহ হইল, তাহাতে নিশ্চয়ই আপনি মনে নানা প্রকার |
|||
⚫ | সন্দেহ করিয়া কষ্ট পাইতেছেন। এইরূপ বিবাহ হইবার প্রকৃত কারণ আপনাকে বলিব, আপনি কিরূপ ভাবে গ্রহণ করিবেন জানি না। মহারাজ! আমি বাল-বিধবা ছিলাম,কবে যে আমার বিবাহ হইয়াছিল আমার স্মরণ হয় না। পিতা এই কারণেই লুকাইয়া আমাকে আপনার সহিত বিবাহ দিলেন, এবং এই কারণেই বিবাহের কোন আয়োজন হয় নাই। প্রার্থনা করি আপনি আমাকে ঘৃণা |
১২:০০, ১ অক্টোবর ২০২১ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ
মালদেবের দুহিতা! একি পুরুষ না নারী। কিছুই বুঝিতে পারিতেছি না—ইহারই হস্তে কি আমার প্রাণ যাইবে? বিবাহান্তে হামির বাসর গৃহে গিয়া বসিলেন। সে স্থানও নির্জ্জন এবং নিরানন্দ। নববধু তাঁহার পার্শ্বে বসিয়া রহিয়াছেন, হামির সন্দেহের সহিত একবার বধূর দিকে, একবার গৃহের চারিদিকে চাহিয়া দেখিতেছেন, কিন্তু একেবারে নীরব। কে যেন তাঁহার জিহ্বাকে অবশ করিয়া দিয়াছে। নববধু স্বামীর মনের ভয়ানক অবস্থা বুঝিতে পারিয়া আস্তে আস্তে বলিলেন, “যেরূপ ভাবে বিবাহ হইল, তাহাতে নিশ্চয়ই আপনি মনে নানা প্রকার সন্দেহ করিয়া কষ্ট পাইতেছেন। এইরূপ বিবাহ হইবার প্রকৃত কারণ আপনাকে বলিব, আপনি কিরূপ ভাবে গ্রহণ করিবেন জানি না। মহারাজ! আমি বাল-বিধবা ছিলাম,কবে যে আমার বিবাহ হইয়াছিল আমার স্মরণ হয় না। পিতা এই কারণেই লুকাইয়া আমাকে আপনার সহিত বিবাহ দিলেন, এবং এই কারণেই বিবাহের কোন আয়োজন হয় নাই। প্রার্থনা করি আপনি আমাকে ঘৃণা পূর্ব্বক পরিত্যাগ করিবেন না।” হামির কিছুক্ষণ নীরবে থাকিয়া বলিলেন, “রাজকুমারি, তোমার অপরাধ কি? আমি বিধিপূর্ব্বক তোমার পাণিগ্রহণ করিয়াছি, তুমি