পাতা:বড়দিদি-শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/৬২: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
Bodhisattwa (আলোচনা | অবদান) →মুদ্রণ সংশোধন করা হয়নি: "মথুরবাবু হাসিলেন–সে তোমার সমস্ত দখল করতে চায়, না, তুমি ত..." দিয়ে পাতা � |
Bodhisattwa (আলোচনা | অবদান) |
||
পাতার অবস্থা | পাতার অবস্থা | ||
- | + | মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে | |
শীর্ষক (অন্তর্ভুক্ত হবে না): | শীর্ষক (অন্তর্ভুক্ত হবে না): | ||
১ নং লাইন: | ১ নং লাইন: | ||
৫৭ {{right|বড়দিদি}} |
|||
পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে): | পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে): | ||
১ নং লাইন: | ১ নং লাইন: | ||
মথুরবাবু |
{{gap}}মথুরবাবু হাসিলেন, “সে তোমার সমস্ত দখল ক’র্তে চায়, না, তুমি তার সর্ব্বস্ব দখল ক’র্তে চাও,– কোন্টা?” |
||
{{gap}}ব্রাহ্মণ তখন হাতে পৈতা জড়াইয়া ম্যানেজারের হাত চাপিয়া ধরিলেন, “আমি যে এই দশ বছর থেকে সরকারে খাজনা জুগিয়ে আস্চি?” |
|||
{{gap}}“জমি ভোগ ক’র্চ, খাজনা দেবে না?” |
|||
{{gap}}“দোহাই আপনার–” |
|||
দোহাই আপনার– |
|||
ভাবটা মথুরবাবু বেশ |
{{gap}}ভাবটা মথুরবাবু বেশ বুঝিলেন। “বিধবাকে ফাঁকি দিতে চাও ত?” |
||
{{gap}}ব্রাহ্মণ নিঃশব্দে চাহিয়া রহিল। |
|||
কয় বিঘা জমি? |
|||
{{gap}}“কয় বিঘা জমি?” “পঁচিশ বিঘা।” |
|||
পঁচিশ বিঘা। |
|||
মথুরবাবু হিসাব করিয়া বলিলেন, |
{{gap}}মথুরবাবু হিসাব করিয়া বলিলেন, “অন্ততঃ তিন হাজার টাকা। জমিদার কাছারিতে কত সেলামি দেবে?” |
||
{{gap}}“যা হুকুম হবে, তাই,– তিনশ’ টাকা।” |
|||
{{gap}}“তিন শ’ টাকা দিয়ে তিন হাজার টাকা নেবে? আমার দ্বারা কিছু হবে না।” |
|||
ব্রাহ্মণ শুষ্কচক্ষে জল বাহির করিয়া বলিল, |
{{gap}}ব্রাহ্মণ শুষ্কচক্ষে জল বাহির করিয়া বলিল, “কত টাকা হুকুম হয়?” |
||
{{gap}}“এক হাজার দিতে পার্বে?” |
|||
তাহার পর গোপনে বহুক্ষণ ধরিয়া |
{{gap}}তাহার পর গোপনে বহুক্ষণ ধরিয়া দুইজনে পরামর্শ হইল, ফল এই দাঁড়াইল যে, যোগেন্দ্রনাথের বিধবার প্রতি বাকী খাজনা-বাবদ দশ বৎসরের সুদে-আসলে দেড়সহস্র টাকার নালিশ হইল। শমন বাহির হইল। কিন্তু মাধবীর নিকটে তাহা পৌঁছিল না। তাহার পর |
০৮:৩৫, ২০ ডিসেম্বর ২০১৪ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
৫৭
মথুরবাবু হাসিলেন, “সে তোমার সমস্ত দখল ক’র্তে চায়, না, তুমি তার সর্ব্বস্ব দখল ক’র্তে চাও,– কোন্টা?”
ব্রাহ্মণ তখন হাতে পৈতা জড়াইয়া ম্যানেজারের হাত চাপিয়া ধরিলেন, “আমি যে এই দশ বছর থেকে সরকারে খাজনা জুগিয়ে আস্চি?”
“জমি ভোগ ক’র্চ, খাজনা দেবে না?”
“দোহাই আপনার–”
ভাবটা মথুরবাবু বেশ বুঝিলেন। “বিধবাকে ফাঁকি দিতে চাও ত?”
ব্রাহ্মণ নিঃশব্দে চাহিয়া রহিল।
“কয় বিঘা জমি?” “পঁচিশ বিঘা।”
মথুরবাবু হিসাব করিয়া বলিলেন, “অন্ততঃ তিন হাজার টাকা। জমিদার কাছারিতে কত সেলামি দেবে?”
“যা হুকুম হবে, তাই,– তিনশ’ টাকা।”
“তিন শ’ টাকা দিয়ে তিন হাজার টাকা নেবে? আমার দ্বারা কিছু হবে না।”
ব্রাহ্মণ শুষ্কচক্ষে জল বাহির করিয়া বলিল, “কত টাকা হুকুম হয়?”
“এক হাজার দিতে পার্বে?”
তাহার পর গোপনে বহুক্ষণ ধরিয়া দুইজনে পরামর্শ হইল, ফল এই দাঁড়াইল যে, যোগেন্দ্রনাথের বিধবার প্রতি বাকী খাজনা-বাবদ দশ বৎসরের সুদে-আসলে দেড়সহস্র টাকার নালিশ হইল। শমন বাহির হইল। কিন্তু মাধবীর নিকটে তাহা পৌঁছিল না। তাহার পর