শ্যামা ঠাকুরাণী বলিলেন “তাড়িয়ে দেবে না, কি মাথায় করে নাচ্বে। চুপ কর্, তোরা ছেলে-মানুষ, এ সব কথার তোরা কি বুঝবি। কত বড় অপমানটা হোলো জানিস্।”
যুবকও ছাড়িল না; বলিল “আর সেই নিরপরাধা বৌটীকে বাজারে দাঁড় করিয়ে দিলে ভারি আমাদের মান বাড়ত। যে অপরাধ করল, তার কোন শাস্তির কথা নেই, কথা হোলো কি না, যারা শত বিপদ, শত লাঞ্ছনার ভয় না করে, সেই অনাথাকে আশ্রয় দিল, তাদিকে কেমন করে নির্য্যাতন করা যায়, তারই ব্যবস্থা।”
শ্যামা ঠাকুরাণী বলিলেন “জানিস্ নে, শুনিস্ নে; মাঝের থেকে মোড়োলী করতে আসিস্। এই যে শ্যামা বামণী দেখ্ছিস, এর কাছে কিছুই ছাপা নেই। ও বৌটা ঐ রকমই বজ্জাত ছিল। আমি আর কি না জানি; তবে গাঁয়ের বৌ, তাই এতদিন চাপা দিয়ে রেখেছিলাম। হয় না হয়, ঐ ত কালাচাঁদ বসে আছে, ওকে জিজ্ঞাসা কর্। আসল কথা ত জানিস্নে এতকাল গেল, কালাচাঁদ কিছু করল না; আর কা’ল রাত্তিরে, পাশের বাড়ীতে দশ গাঁয়ের লোক জমা, সেই সময় বৌকে আক্রমণ করতে গেল; এও কি বিশ্বাসের কথা।”
আর একটা যুবক বলিল “সে কি কথা পিসিঠাকরুণ, আমরা যে সেখানে উপস্থিত ছিলাম, আমরা যে স্বচক্ষে দেখেছি।”
“ছাই দেখেছিস্। আসল কথা ত তোরা বুঝলিনে। আমি