বৌদ্ধযুগ – মাণিকচন্দ্র রাজার গান – খ্রঃ ১১শ-১২শ শতাব্দী। সন্ধা কালত এক বাড়ীত উতরিনু যায়া। ঠাকরি (১) কালাইর ডাইল দিল বিয়রি (২) ধনির চাইল। তাহাকে থাইল হা হুতাশ হইয়া। ভেদ বমি হইয়া সে গেল মরিয়া। কাহে পাইলা ডাঙ্গ মাইল কাহে গোপাল ডাঙ্গ। ভাগত থাকিয়া আঙ্গটি ষোড়া মোক কল্যে দান ৷ কানটি গেল বান্দী আগেয়া পাণ খাও। হস্তীর দারুকা (৩) কাটিয়া দেও। মোর সোয়ামী নিবে চিন করিয়া। বিদেশী অতিথ হইলে ফেলবে মারিয়া॥ brS হস্তীর দারুকা দিলে কাটিয়া। হস্তীর দ্বারা পরীক্ষ। দুর হইতে আইসে হস্তী আইল চড়িয়া। দুর হইতে রাজাক পরণাম করিল। শু ডু দিয়া ধরিয়া রাজাক কান্ধত চড়াইল॥ এক ঘড়ি থাকিলে হস্তী ধৈর্য্য ধরিয়া। যাবৎ না আইসে কন্যা ছলনা করিয়া॥ হস্তীর পীঠি হইতে রাজা মৃত্তিকায় নামিল। হস্ত ধরি কন্ত দুইটা রাজাক মন্দিরত লইয়া গেল। হাসিয়া খেলিয়া কহা চিনা পুছা (৪) দিল। কেমন শুরু তোক জ্ঞান দিল শরীরর ভিতর। কেমন করি যাও তোর মায়র বরাবর॥ সোণালী ভোমরা হইল কায় বদলিয়া। ময়নার মহলে গেল চলিয়া। ময়নার বাঙ্গলায় যায় হুঙ্কার ছাড়ল। ময়নামতী চোরখা (৫) শূন্তে উড়াইয়া দিল। ঐত ময়না অজ বড় নাটক (৬)। চটকিয়া (৭) ধরিল চড়কার ছতর॥ রাজাকে গ্রহণ। আয় আয় বাছা মোর দুঃখিনীর ছলালিয়া। ময়নামতীর মলিয়ে। মাথার কেশ রাজার দুই অৰ্দ্ধ করিয়া॥ জননীর চরণে রাজা পৈল ভক্তিয়া। মথু নাপিতক আনিল ডাকিয়া। (১) ঠিকরে। (২) বিরণ বা বিল্লী। (৩) দড়ি, শৃঙ্খল। (৪) চেনা পরিচয়।, (৫) চরকা। (৬) নাটাই। (৭) চটক পক্ষী হুইয়া। -