তা সবার লাগি প্রাণ কান্দে কি কারণ।
বুঝিতে না পারি মুনি এই বিবরণ॥
যদি কৃপা কর মোরে অহে মুনিবর।
ইহার বৃত্তান্ত কত আমার গোচর॥
চণ্ডিকা-বিজয়।
১৭৩৩ শকের হস্তলিখিত পুথি দৃষ্টে এই পুস্তক নকল হয়। শ্রীযুক্ত হরগোপাল দাস কুণ্ডু আবিস্কর্ত্তা। দ্বিজ কমললোচন ১৬০৯—১৬৩০ খৃষ্টাব্দের কোন সময়ে পুস্তক রচনা করেন।
দ্বিজ কমললোচনের চণ্ডীর ১৭৩৩ শকের হস্তলিখিত পুথি দৃষ্টে রঙ্গপুর সাহিত্য-পরিষৎ কর্ত্তৃক এই গ্রন্থ মুদ্রিত হয়। রয়েল ৪১২ পৃষ্ঠায় পুস্তকখানি সম্পূর্ণ। গ্রন্থকার রঙ্গপুর জেলার মিঠাপুর থানার অন্তর্গত চাকড়াবাড়ী গ্রামে জন্মগ্রহণ করিয়াছিলেন। ইহার পূর্ব্ব-পুরুষের নাম যদুনাথ ছিল।
শুম্ভ নিশুম্ভের আজ্ঞা পাইল অসুরে।
ধূম্রলোচন বীর চলিল সমরে॥
নিজ সেনা তরে কহে যুদ্ধের কারণ।
সাজ সাজ বলি বীর ডাকে ঘনে ঘন॥
নব অক্ষৌহিণী সেনা সাজিছে প্রধানে।
এক এক বীর রণে যমজিত[১] বাণে॥
ধূম্রলোচনের যুদ্ধ সজ্জা।হিমালয়ে যাবে দৈত্য করিবারে রণ।
সারথিকে বোলে রথ করত সাজন॥
নীল মেঘ দিবারথ দেখি ভয়ঙ্কর।
ছোট নহে রথখানা দশ প্রহর॥
সেই রথ সাজিতে রথীর হুইল আজ্ঞা।
দুই শত মত্ত কুঞ্জরে টানে তার চাকা॥
চারি শত অশ্ব আর সেই রথ টানে।
যার এক ঘোড়া রাখে দশ বলবানে॥
মদমত্ত গজ সব ঐরাবতের নাতি।
উচ্চৈঃশ্রবা-সম ঘোড় চড়ে সেনাপতি॥
দুই ঘোড়ার মধ্যে এক এক কুঞ্জর।
তার পৃষ্ঠে আরোহণ যোদ্ধা বীরবর॥
কাঞ্চনের দণ্ড ধ্বজ রথের উপর।
কত বা নেতের উড়ে পতাকা সুন্দর॥
- ↑ যমজয়ী।