চণ্ডীকাব্য-ভবানীশঙ্কর দাস–১৭৭৯ খৃষ্টাব্দ। 989 শ্রীমন্তের জন্মোৎসব। যথেক বণিক্-বধূ আনন্দ হইয়া। ধনপতি স্থানে আসি মিলিলেন্ত গিয়া॥ জয়কার-ধ্বনি সর্ব্বে দিয়া ততক্ষণ। খুল্লনার পুত্রবত্ত কৈল দরশন। দেখিয়া সুন্দর শিশু সুখী হইয়া মনে। খুল্লনারে সম্বোধিয়া বলিলা তখনে ৷ তুমি সম ভাগ্যবতী নাহিক সংসারে। দেবতুল্য পুত্র জন্মিয়াছে তবোদরে॥ মনুষ্যের হেন রূপ না দেখিছি আর। শাপ হেতু জন্মিয়াছে দেবের কুমার॥ তদন্তরে বাহিরেতে বণিকৃ সকলে। নানান উৎসব করে মন কুতূহলে ৷ রাজবেশু নৃত্য করে বাজাইয়া তাল। ঢোল দগড় বাদ্য বাজয়ে বিশাল॥ ংস্ত করতাল বাজে বাজয়ে মৃদঙ্গ। মহী মধ্যে বারি দিয়া করিলেক পঙ্ক॥ মল্লযুদ্ধ প্রায় ভৃত্য সর্ব্বে খায় খেলা। পঙ্ক মধ্যে পড়ে কেহ অঙ্গে দিয়া ঠেলা॥ বণিকৃ সকলে মিলি অতি মনোরঙ্গে। দধির কুম্ভ লৈয়া করে ঢালি দেহি অঙ্গে। অন্তঃপুর মধ্যে এথা বণিকৃমুন্দরী। এই মতে পঙ্ক মধ্যে করে গড়াগড়ি॥ বৃদ্ধদাসী দুবলা আনন্দ-মানসেতে। দুই বাহু উৰ্দ্ধ করি লাগিল নাচিতে॥ ক্ষণে উদ্ধে করে কর ক্ষণে কক্ষে ধরে। ক্ষণে ক্ষণে পঙ্কেতে আছাড় খাইয়া পড়ে॥ ক্ষণে ক্ষণে পরিধানাম্বর যায় খসি। হাসিতে লাগিল যত বণিকের রূপসী॥ তদন্তরে নারী সর্ব্বে দেহ প্রক্ষালিয়া। চুত পল্লবিত ঘট লইয়া ভরিয়া॥ আনন্দে সকল নারী দিয়া জয়কার। গর্ভস্নান করাইল সাধুর কুমার।