বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয়। সুশীলার বারমাসী। শ্রীমন্ত স্বদেশে যাইতে চাহিলে তাহার স্ত্রী সিংহল-রাজকন্যা মুশীল র্তাহাকে আর একটি বৎসর সিংহলে থাকিতে অনুরোধ করিতেছেন। অগ্রাণেতে নাগেশ্বর কাল উপস্থিত। হেন সমে যাইতে বল নহে যে উচিত॥ আনন্দেতে নানা রস করন্থ অশন। বিচিত্র পালঙ্কোপরে করহ শয়ন॥ শুন শুন প্রাণনাথ না যাও দেশেতে। আমারে লইয়া আনন্দে বঞ্চহু সিংহলেতে॥ মাঘমাসে তেন রূপ হিমের সঞ্চার। না পারিব প্রাণনাথ দেশে যাইবার॥ আমা সঙ্গে সুখে প্রভু বঞ্চহু রজনী। আজ্ঞা কর আনি এথা তোমার জননী॥ (১) ফাল্গুনেতে হরির উৎসব সবে করে। নানা রঙ্গ করে লোকে প্রতি ঘরে ঘরে॥ আবির খেলাও প্রভু আমার সঙ্গতি। কি কারণে যাইবারে চাহ প্রাণপতি॥ মধুমাসে মনসিজ-সখা উপস্থিত। পিক সর্ব্বে নাদ করে অতি সুললিত॥ বৈশাখেতে নানা পুষ্প ফুটে ডালে ডালে। গ্রথিয়া মোহন মালা দিব তোমার গলে॥ নিত্য বাত করিলাম লইয়া চামর। নিজ রাজ্যে না যাইও গুন প্রাণেশ্বর॥ জ্যৈষ্ঠমাসে লোকচক্ষুর আতপ অত্যন্ত। গন্ধ লেপি দিব অঙ্গে শুন প্রাণকান্ত॥ শাশুড়ীরে আনাইব এই সিংহলেতে। এথাতে বঞ্চহু প্রভু কি কার্য্য দেশেতে॥ আষাঢ়েতে বর্ষাকাল হয় উপস্থিত। হেন সমে যাইতে দেশে না হয় উচিত। রাজ-ভোগ দ্রব্য প্রভু করহ ভোজন। খট্টার উপরে নাথ করহ শয়ন॥ (১) শ্রীমন্ত মাতৃ-দর্শন কামনায় দেশে शहड চাহিয়াছিলেন, তাই রাজকন্যা শাশুড়ীকে সিংহলে আনিবার কথা বলিতেছেন।