ধর্ম্মরাজের গীত-রূপরাম—খুঃ ১৫শ শতাব্দী। ○ケQ রূপরাম—খৃষ্টীয় পঞ্চদশ শতাব্দী। রূপরাম সম্ভবতঃ ১৫শ শতাব্দীতে তদীয় ধর্ম্মমঙ্গল রচনা করেন। ইনি ঘনরামের সহপাঠী ছিলেন বলিয়া যে প্রবাদ আছে, নানা কারণে আমরা তাহা বিশ্বাস করিতে পারি নাই। ইনি ধর্ম্ম-মঙ্গলকরদের মধ্যে “আদি রূপরাম” বলিয়া বিখ্যাত এবং একজন সুপ্রাচীন কবি। নয়ানী নাম্নী কুলটা রমণী ময়নাগড়ের রাজকুমার লাউসেনকে প্রলুব্ধ করিতে চেষ্টা করে। লাউসেনের সংযম ও কুলটার পরাজয়। শিবা বারুয়ের বোউ (১) হরিপালের বী। মনে করে নয়ানী ইহার যুক্তি কি ৷ বিদেশী কুমার যথা যাব সেই স্থান। বিলক্ষণ বেশে যাব তার বিদ্যমান॥ সুবন্ন (২) পেড়াতে (৩) ছিল ভাবের চিরুণী। নানা প্রবন্ধে কেশ বান্ধে আপনি॥ “ আঁচড়িয়া কুন্তল করিয়া সমতুল। বান্ধিল বিনোদ খোপা যার নাই মূল। কাঞ্চন পাটের গেছে (৪) বান্ধিল কবরী। মদন মল্লিকা মালে মকরন্দ ঝুরি॥ কবরী উপরে বন্ধে মনোহর যাদ। সারাদিন দেবের দেখিতে যায় সাধ। নয়ন ভরিয়া পরে মনোহর কাজল। টল টল করে কাণ সাপের যুগল (৫)॥ কপালে সিন্দুর পরে তপন-উদয়। চন্দন চন্দ্রিমা তার কাছে কাছে রয়॥ চন্দ্র-কোলে শোভা যেন করে তারাগণ। ঈষৎ করিয়া দিল বিন্দু বিচক্ষণ॥ এক ঠাঞি রবি শশী তারাগণ যুত। আনন্দ অন্ধুর কুলে বিজুরীর লতা ৷ লাউসেনে দেখিয়া ধরিতে নারি মন। প্রতি অঙ্গে পরে রাম সর্ব্ব আভরণ॥ নয়ানীর সাজ-সজ্জা। (১) বে।=বধু। (২) সুবর্ণ। (৩) পেড়াতে=পেটারীতে= বাপীতে। (৪) স্বর্ণমণ্ডিত জরীর ফিতা দ্বারা। (৫) সপাকৃতি কর্ণালঙ্কার। 8>