○ o8 সীতার বেশ-ভূষা। (১) পাটের ভুনি = পট্টবস্ত্র। - বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয়। স্নান কর্য পরাইবে উত্তম বসন। নানা অলঙ্কারে সীতা দিও দরশন॥ চলিলেন বিভীষণ রামের বচনে। মাথা নোঙাঞিঙা দাড়ান সীতা-সন্নিধানে॥ স্নান করি পর মা উত্তম বসন। নানা আভরণ পর মাণিক রতন॥ সীতা বলেন কি করিব বেশ সুবেশে। অমনি যাইব আমি রঘুনাথের পাশে। স্নান করিতে বিভীষণ করিল যতন। নানা অলঙ্কার আনে রাজা বিভীষণ॥ গন্ধর্ব্ব স্ত্রী যত পরম সুন্দরী। সীতার বেশ করিতে সভে দাড়ায় সারি সারি॥ কনকের সিংহাসনে বসান জানকী। নারায়ণ তৈল কেহ দেয় আমলকী॥ সীতার অঙ্গেতে দিল তিল পিঠালী। শুভ্র বস্ত্রে সীতার গায়ের তোলেন মলি ৷ গন্ধ আমলকী দিয়া সীতার মাথা ঘসি। সুবাসিত জল কেহো ঢালে কলসী কলসী॥ নেতের বসন দিয়া অঙ্গের মোছে পানী। পরিতে দিলেন সীতাকে বিচিত্র পাটের ভুনি (১)॥ নারায়ণ তৈল দেন জানকীর গায়। সুবাসিত জল আনি স্নান করায়॥ সুবর্ণ চিরুণী করি আঁচুড়িলা কেশ। নানা ছাদে কবরী বান্ধি বনাইলা বেশ॥ কিবা শোভা পায় তায় সুবর্ণের সিথি। গজমুকুতা তাহে দিলেন পাতি পাতি॥ নয়নে কাজল-রেখা সিথায় সিন্দর। দিনমণি দীপ্ত যেন শোভে কর্ণপুর। মাথার উপরে দিল কনকের চাপা। পীঠের মাঝে দোলে বেণী তায় কনকের বাপ॥ কঙ্কণ কনক চুড়ি বাহুর উপর তাড়। বিনি বায় বেশর দোলে গলে মণির হার॥ -