বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বিশ্বকোষ একাদশ খণ্ড.djvu/১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পর্তুগীজ [ No 1 পর্তুগীজ সময় জানিল শী রসুল খা নামক আমার একজন সেনাপতিকে গোয় আধিকার করিতে পাঠান । এই দুই সেনাপতিতে মিল ছিল স14 রসুল খাঁ তাহার উপর বিরক্ত হইয় তাহাকে দমন করিবার জঙ্গ পর্তুগীজদিগের সহিত মিলিত হইলেন। পুলদি খা পরাজিত ও পলায়ন করিতে বাধ্য হইলেন। এদিকে রসুল খ। বানেঝরিম্ অধিকার করিয়া গোয়ানগরী দেখিবার অভিপ্রায় প্রকাশ করিলেন। পর্ব গীজের এখন আপনাদিগের ভ্রম বুঝিতে পারিলেন। তখন নগরে ৪• • মাত্র পর্তুগীজ ছিল। ইহার প্রাণপণে মগর রক্ষা করিতে লাগিল। জয়ের কোন সম্ভাবনা নাই বুধিয়া পর্ব গীজপক্ষীয় অনেকেই রমুল খাঁর সহিত যোগদান করিল। পর্তুগীজদিগের এই বিপত্তিকালে আলবুকার্ক ভারত উপকুলে উপস্থিত হইলেন (১৫১২খৃষ্টাব্দ জানুয়ারী)। কোচিন, কল্পনূর, ভাটুকল প্রভৃতি স্থানে বাণিজ্যের বেন্দোবস্ত করির অক্টোবর মাসে তিনি গোয় রক্ষা করিষার জন্য অগ্রসর হইলেন । যাহারা পর্তুগীজদিগের বিরুদ্ধে উঠিয়াছিল বা বিপক্ষতাচরণের চেষ্টা করিতেছিল, এখন আলবুকার্কের আগমন সংবাদ পাইর অনেকেই তীত, বিচলিত ও নিরস্ত হইল। কৃএকবার যুদ্ধের পর রসুল খাও পরাজয় স্বীকার করিলেন। ইহার পর, কাম্বের অধিপতি ও আদিলশায় নিকট হইতে দূত জাসিয়া সন্ধির প্রস্তাব করিল। তৎকালে গার্সিয়া-দাসুসা দত্তোল অবরোধ করিয়াছিলেন । সন্ধির প্রস্তাব শুনিয়া আলবুকার্ক তাহাকে দত্তোল আক্রমণ করিতে নিষেধ করিলেন । এদিকে নরসিংহরাজ ও বেঙ্গীপুয়াধিপের সহিত তিনি মিত্রত স্থাপন করিলেন। পর্তুগীজ-অধিকার মধ্যে যে সকল আরবী ঘোটক আসিবে, তাহ অপর কাছাকেও না দিয়া বিজয়নগরে পাঠাইতে স্বীকৃত হইয়া তিনি নরসিংছরাজের নিকট হইতে ভাটুকলে বাণিজ্যকুঠী স্থাপনের আদেশ লইলেন। ভারতে যখন আলবুকার্কের যত্নে পর্তুগীজদিগের সৌভাগ্যোদয় হইতেছিল, সেই সময় তাহার কএকজন বিপক্ষ পর্ত গালরাজকে বুঝাইতেছিল, ‘গেীয়া নিতান্ত অস্বাস্থ্যকর शॉन, cनहै ऋांमब्रभांब्र अछ दूथ cशांकररुग्न ७ बरु अर्थवाब्र হইতেছে।’ পর্তুগালরাজ ও তাছাদের কথায় বিশ্বাস করিয়া জাল বুকার্ককে লিখিলেন, ‘গোয় যেরূপ অশ্বাস্থ্যকর স্থান, তাহাতে এই স্থান পরিত্যাগ করাই উচিত। জালঘুকার্কও ইহার যথাযথ উত্তর দিয়া পর্তুগালরাজের মিথ্য সম্মেহ দুর করিলেন। পর্তুগালরাজের আদেশে আলবুকার্ক ( ১৫১৩ খৃষ্টাব্দে ৮ই ফেব্রুয়ারী) ১৮•• পর্তুগীজ এবং ৮৩• মলবী ও


--- · v

কর্ণাটী নেীযোদ্ধ লইয়া আরবের প্রধান বন্দর আদেন আক্রমণে চলিলেন । ২৬এ মার্চ পর্তুগীজসৈন্ত তিন কি হইতে জানেন অীক্রমণ করিল। আদেনের শাসনকর্তা মীর মীর্জান প্রথমে মিষ্ট কথায় ও উপটৌকন পাঠাইয়া সন্ধির গ্রস্তাব করেন, কিন্তু তাহাতে কোন ফল না হওয়ায় তিনিও সসৈতে পর্তুগীজ আক্রমণ ব্যর্থ করিতে অগ্রসর হইলেন । উভয় পক্ষেই গোলাবৃষ্টি চলিল। পৰ্ত্ত গীজদিগের গোলায় নগরের যথেষ্ট ক্ষতি হইল, কিন্তু এবার পর্ভ গীজের আদেন-জয়ে সমর্থ হইল না। তথা হইতে জালবুকার্ক সসৈন্তে আরবসমুদ্র মধ্যে প্রবেশ করিলেন। এখন তাহার দুইট উন্ধেগু হইল, ১ম-কায়রোর জমির উর্বরতা নষ্ট করিবার জন্ত পাহাড় কাটিয়া নীলনদের স্রোত পরিবর্তন এবং ২য়—জেরুশীলেমের খৃষ্টমন্দির উদ্ধারের জঙ্ক বহু অশ্বারোহী সৈন্ত লইর অকস্মাৎ মদিন আক্রমণপূৰ্ব্বক মহম্মদের মূৰ্ত্তি-অনিয়ন । কিন্তু তাহার ইচ্ছ। পূর্ণ হইল না। অীয়বসমুদ্রবর্তী কএকটী বন্দরের সন্ধান, কতকগুলি আরবীপোত দহন ও লুণ্ঠন ব্যতীত এ যাত্রায় বিশেষ কোন স্থারী কাৰ্য্য সাধিত হয় নাই । 頓刻 আগষ্ট মাসে আলবুকার্ক দীউৰীপে ফিরিয়া আসিলেন । এখানকার মুসলমান শাসনকৰ্ত্ত তাহাকে যথেষ্ট সন্মাননা করিলেন। চেউলে আসিয়া আলবুকার্ক শুনিলেন, কতকগুলি মুসলমানজাহাজ মলি লইয়া কালিকট হইতে মক্কায় ষাইতেছে। অবিলম্বে লোক পাঠাইরা ঐ সকল জাহাজ অধিকার’ করিলেন । অতঃপর আলবুকার্ক কালিকটে হুৰ্গ নিৰ্ম্মাণ করিবার জg উঠিয়া পড়িয়া লাগিলেন। এই সময়ে ধাহাতে পর্তুগীজদিগের সহিত সামীরাজের সন্ধি স্থাপিত না হয়, কমনুর ও কোচিনের রাজা ভিতরে ভিতরে তাহার চেষ্টা করিতেছিলেন । সামরীরাজ কোন মতে পর্তুগীজদিগকে কালিকট বন্দরের হৃদয়ের উপর দুর্গ নিৰ্ম্মাণের অনুমতি দিলেন না। সামরীরাজের ভ্রাতা গোপনে গোপনে পর্তুগীজদিগের সছিত মিত্রত। স্থাপন করিয়াছিলেন। এখন আলবুকার্ক তাহাকে বলিয়া পাঠাইলেন, “তিনিই কালিকটের রাজা হইবেন । সামরীরাজকে বিষপ্রয়োগ দ্বারা হত্য করাই তাহার কৰ্ত্তব্য ।" রাজত্ৰাত৷ আলবুকার্কের এই ঘৃণিত প্রস্তাব গ্রহণ করিলেন। অল্পদিন পরেই বিষপানে সামীরাজ কলিগ্রাসে পতিত হইলেন । তাছার সহিত কলিকটে হিন্দু ও মুসলমান প্রাধান্ত তিরোহিত হইল। ভ্রাতৃহস্ত এখন সিংহাসনে বসিয়া পর্তুগীজদিগকে জাহান করিলেন। ঘূর্ব পর্তুগীজদিগের বহুদিনের আশা মুদ্ধি